ঢাকা ১০:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন আরব লীগের নেতারা

শনিবার ৩৪তম আরব লীগ শীর্ষ সম্মেলনের যোগ দিতে বাগদাদে পৌঁছান কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি। ছবি : এএফপি

ইরাকের বাগদাদে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আরব লীগের বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন। আজ শনিবার (১৭ মে) আঞ্চলিক নেতাদের ৩৪তম এই সম্মেলনে যোগ দেবেন ২২টি দেশের শীর্ষ নেতারা। বৈঠকে গাজার বর্তমান পরিস্থিতি এবং এর ভবিষ্যৎ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। খবর আরব নিউজের।

এরই মধ্যে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ও সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মাহমুদসহ লীগের নেতারা সম্মেলনে যোগ দিতে বাগদাদে পৌঁছেছেন।

এর আগে গত মার্চ মাসে মিশরের কায়রোতে অনুষ্ঠিত আরব লীগের জরুরি শীর্ষ সম্মেলনে গাজা উপত্যকার প্রায় ২০ লাখ বাসিন্দাকে তাদের ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ না করে কিভাবে পুনর্গঠন কাজ করা যায়, সে বিষয়ে একটি পরিকল্পনা প্রস্তাবনা অনুমোদন করা হয়েছিল। আজকের সম্মেলনে সেই পরিকল্পনার অগ্রগতি ও বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

গত জানুয়ারিতে হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর এই প্রথম আরব লীগের নেতারা একত্রিত হচ্ছেন। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে গাজায় ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামাসকে নির্মূল করার লক্ষ্যে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। এই প্রেক্ষাপটে আরব নেতাদের সম্মেলনে গাজার নিরাপত্তা ও মানবিক পরিস্থিতি গভীর উদ্বেগের কারণ হতে পারে।

তবে এই সম্মেলনটি কিছুটা হলেও আলোচনার বাইরে চলে যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মধ্যপ্রাচ্য সফরের কারণে। যদিও ট্রাম্পের সফর গাজায় নতুন কোনো যুদ্ধবিরতির আশা জাগাতে পারেনি, তবে তিনি সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এবং সিরিয়ার উপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন।

বাগদাদে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে সিরিয়ার প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শিবানি। আল-শারা তার অতীত রাজনৈতিক ভূমিকার জন্য সম্মেলনে থাকছেন না।

ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টাকারী ইরাক এই শীর্ষ সম্মেলনকে আঞ্চলিক মধ্যস্থতার একটি সুযোগ হিসেবে দেখতে চাইছে। সম্মেলনের আগে ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার ইসমাইল ঘানির বাগদাদ সফর এবং ইরানের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য আলোচনায় সমর্থন জানানোর বার্তা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

সব মিলিয়ে আরব লীগের এই বার্ষিক সম্মেলন মধ্যপ্রাচ্যের জটিল রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গাজার ভবিষ্যৎ এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে। নেতাদের আলোচনা ও তাদের সিদ্ধান্তগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকবে গোটা বিশ্ব।

কাতারের বিমান উপহার গ্রহণ ট্রাম্পের; সমালোচনায় তার সমর্থকরাও

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন আরব লীগের নেতারা

আপডেট সময় ০৬:১৭:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

ইরাকের বাগদাদে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আরব লীগের বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন। আজ শনিবার (১৭ মে) আঞ্চলিক নেতাদের ৩৪তম এই সম্মেলনে যোগ দেবেন ২২টি দেশের শীর্ষ নেতারা। বৈঠকে গাজার বর্তমান পরিস্থিতি এবং এর ভবিষ্যৎ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। খবর আরব নিউজের।

এরই মধ্যে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ও সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মাহমুদসহ লীগের নেতারা সম্মেলনে যোগ দিতে বাগদাদে পৌঁছেছেন।

এর আগে গত মার্চ মাসে মিশরের কায়রোতে অনুষ্ঠিত আরব লীগের জরুরি শীর্ষ সম্মেলনে গাজা উপত্যকার প্রায় ২০ লাখ বাসিন্দাকে তাদের ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ না করে কিভাবে পুনর্গঠন কাজ করা যায়, সে বিষয়ে একটি পরিকল্পনা প্রস্তাবনা অনুমোদন করা হয়েছিল। আজকের সম্মেলনে সেই পরিকল্পনার অগ্রগতি ও বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

গত জানুয়ারিতে হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর এই প্রথম আরব লীগের নেতারা একত্রিত হচ্ছেন। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে গাজায় ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামাসকে নির্মূল করার লক্ষ্যে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। এই প্রেক্ষাপটে আরব নেতাদের সম্মেলনে গাজার নিরাপত্তা ও মানবিক পরিস্থিতি গভীর উদ্বেগের কারণ হতে পারে।

তবে এই সম্মেলনটি কিছুটা হলেও আলোচনার বাইরে চলে যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মধ্যপ্রাচ্য সফরের কারণে। যদিও ট্রাম্পের সফর গাজায় নতুন কোনো যুদ্ধবিরতির আশা জাগাতে পারেনি, তবে তিনি সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এবং সিরিয়ার উপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন।

বাগদাদে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে সিরিয়ার প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শিবানি। আল-শারা তার অতীত রাজনৈতিক ভূমিকার জন্য সম্মেলনে থাকছেন না।

ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টাকারী ইরাক এই শীর্ষ সম্মেলনকে আঞ্চলিক মধ্যস্থতার একটি সুযোগ হিসেবে দেখতে চাইছে। সম্মেলনের আগে ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার ইসমাইল ঘানির বাগদাদ সফর এবং ইরানের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য আলোচনায় সমর্থন জানানোর বার্তা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

সব মিলিয়ে আরব লীগের এই বার্ষিক সম্মেলন মধ্যপ্রাচ্যের জটিল রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গাজার ভবিষ্যৎ এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে। নেতাদের আলোচনা ও তাদের সিদ্ধান্তগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকবে গোটা বিশ্ব।

কাতারের বিমান উপহার গ্রহণ ট্রাম্পের; সমালোচনায় তার সমর্থকরাও