এখনও ভারতের নয়াদিল্লিতে অবস্থান করছেন বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা। তবে তিনি ব্রিটিশ সরকারের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন। বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্ত্রিসভার বৈঠক করেছেন। আজ সর্বদলীয় বৈঠকে ভারতের লোকসভাকে বাংলাদেশ পরিস্থিতির ব্যাখ্যা দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
সোমবার (৫ আগস্ট) ভারতে গিয়ে শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা যিনি বৃটেনের নাগরিক, শেখ হাসিনার জন্য রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে বৃটেন সরকারের কাছে আবেদন করেছেন। আজ মঙ্গলবার এমনটা জানায় ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য হিন্দু।
এ ছাড়া শেখ রেহানার মেয়ে ব্রিটিশ সরকারের লেবার পার্টির এমপি এবং ইকোনমিক সেক্রেটারি টু দ্য ট্রেজারি টিউলিপ সিদ্দিকও শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আশ্রয়ে সহায়তা করছেন।
এদিকে, সোমবার রাতে নয়াদিল্লিতে সেফ হোমে শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছেন ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। এরপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ থেকে শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়া এবং বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে রাতে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকে বসেন। এ সময় তারা অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা সবচেয়ে ঘনিষ্ট উপদেষ্টা চীন এই বিপদের দিনে তার পাশে ছিল না।
এদিকে, আজ দিল্লিতে পার্লামেন্টে বাংলাদেশের শেখ হাসিনার পতনের ঘটনার সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে বিজেপি সরকার, তাতে সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য দেবেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুভ্রামানিয়াম জয়শঙ্কর। ভারতের বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধীও শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশের সর্বশেষ পরিস্থিতি লোকসভাকে জানাতে সরকারকে আহ্বান জানান।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতি ভারতের বড় রকমের কূটনৈতিক ব্যর্থতা। এ ছাড়া হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে সেনাপ্রধান না করতে ভারত আগেই শেখ হাসিনাকে সতর্ক করেছিল।
রয়টার্সের সুদিপ্ত গাঙ্গুলী এবং ভারতের দ্য ইকোনোমিক টাইমস বলছে, হাসিনার বিরুদ্ধে এটা পশ্চিমা ষড়যন্ত্র। তবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।
আরো পড়ুন : বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকার প্রশংসায় যুক্তরাষ্ট্র