ঢাকা ১১:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে যুগপৎ সঙ্গীদের সাথে আলোচনায় বিএনপি হামজার পর এবার আসছেন কানাডার সামিত সকল প্রকার অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের আহ্বান উপদেষ্টা আসিফের সরকারের মূল উদ্দেশ্য শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের কাছেও হার বাংলাদেশের; কঠিন সমীকরণে বিশ্বকাপ ভাগ্য পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা হাসিনাসহ ১২ জনের নামে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন মুসলিম সংখ্যলঘুদের নিয়ে বাংলাদেশের বক্তব্য ভারতের প্রত্যাখ্যান সংস্কার ও শেখ হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন নয় : গোলাম পরওয়ার

সিরিজ জয়ের পথে বাংলাদেশ

সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল গতকালই। হাসান মাহমুদের পাঁচ উইকেটে অল্প রানেই আটকে রাখা যায় পাকিস্তানকে।পরে ওপেনাররা এনে দেন দারুণ শুরু। শেষদিনের প্রথম সেশনে অবশ্য সাদমান ইসলাম ও জাকির হাসান ফিরেছেন। কিন্তু অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হকের জুটিতে জয়ের দিকে এগোচ্ছে বাংলাদেশ।

রাওয়ালপিন্ডিতে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের শেষটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। নিজেদের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করে ২৬২ রান। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭২ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান, বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৮৫ রান। শেষদিনের প্রথম সেশন শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ১২২ রান করেছে সফরকারীরা।
পঞ্চম দিনের শুরুটা বাংলাদেশ করে স্বপ্নকে সঙ্গী করে। পুরো টেস্ট সিরিজজুড়ে বারবার ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প লিখে, ধৈর্য ধরে, ইতিবাচক থেকেছে বাংলাদেশ। এর ফল পাওয়ার সম্ভাবনা বেশ জোরালো ছিল দিন শুরুর আগে থেকেই। সময় যত গড়িয়েছে, ততই সেটি আরও পোক্ত হচ্ছে।

শেষদিনে প্রথম ব্যাটার হিসেবে বাংলাদেশ হারায় জাকির হাসানের উইকেট। মীর হামজার বলে বোল্ড হয়ে যান আগের দিন দুর্দান্ত শুরু এনে দেওয়া এই ব্যাটার। তিনি অবশ্য ফিরতে পারতেন আগেই।

কিন্তু দুই ওভার আগে মোহাম্মদ আলির বল তার ব্যাট ছুয়ে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে যায়। কিন্তু আবেদনই করেননি পাকিস্তানের ফিল্ডাররা। ৩৯ বলে ৪০ রান করে আউট হন জাকির। তার বিদায়ের পর বাংলাদেশের রানের গতিও কমে যায়।

নাজমুল হোসেন শান্ত শুরুটা করেন ধীরে। এর মধ্যেই সাজঘরে ফিরে যান সাদমান ইসলামও। ৫১ বলে ৫৪ রান করে খুররাম শেহজাদের পাতা ফাঁদে ড্রাইভ করতে গিয়ে মিড অফে ক্যাচ দেন তিনি। তার বিদায়ের পর থেকে দলের হাল ধরেছেন শান্ত ও মুমিনুল।

তাদের দুজনের জুটিতে জয়ের পথেই আছে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে অবিশ্বাস্য ধ্বস কিংবা বৃষ্টি না হলে জয়ই এখন তাদের জন্য অবশ্যম্ভাবী। লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার সময় জয়ের জন্য ৬৩ রান দরকার বাংলাদেশের। ৬৮ বলে ৩৩ রানে শান্ত ও ৪৬ বলে ২০ রানে অপরাজিত আছেন মুমিনুল।

আরো পড়ুন : জিততে শেষ দিনে বাংলাদেশের দরকার ১৪৩ রান

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

সিরিজ জয়ের পথে বাংলাদেশ

আপডেট সময় ০১:৩৭:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল গতকালই। হাসান মাহমুদের পাঁচ উইকেটে অল্প রানেই আটকে রাখা যায় পাকিস্তানকে।পরে ওপেনাররা এনে দেন দারুণ শুরু। শেষদিনের প্রথম সেশনে অবশ্য সাদমান ইসলাম ও জাকির হাসান ফিরেছেন। কিন্তু অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হকের জুটিতে জয়ের দিকে এগোচ্ছে বাংলাদেশ।

রাওয়ালপিন্ডিতে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের শেষটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। নিজেদের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করে ২৬২ রান। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭২ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান, বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৮৫ রান। শেষদিনের প্রথম সেশন শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ১২২ রান করেছে সফরকারীরা।
পঞ্চম দিনের শুরুটা বাংলাদেশ করে স্বপ্নকে সঙ্গী করে। পুরো টেস্ট সিরিজজুড়ে বারবার ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প লিখে, ধৈর্য ধরে, ইতিবাচক থেকেছে বাংলাদেশ। এর ফল পাওয়ার সম্ভাবনা বেশ জোরালো ছিল দিন শুরুর আগে থেকেই। সময় যত গড়িয়েছে, ততই সেটি আরও পোক্ত হচ্ছে।

শেষদিনে প্রথম ব্যাটার হিসেবে বাংলাদেশ হারায় জাকির হাসানের উইকেট। মীর হামজার বলে বোল্ড হয়ে যান আগের দিন দুর্দান্ত শুরু এনে দেওয়া এই ব্যাটার। তিনি অবশ্য ফিরতে পারতেন আগেই।

কিন্তু দুই ওভার আগে মোহাম্মদ আলির বল তার ব্যাট ছুয়ে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে যায়। কিন্তু আবেদনই করেননি পাকিস্তানের ফিল্ডাররা। ৩৯ বলে ৪০ রান করে আউট হন জাকির। তার বিদায়ের পর বাংলাদেশের রানের গতিও কমে যায়।

নাজমুল হোসেন শান্ত শুরুটা করেন ধীরে। এর মধ্যেই সাজঘরে ফিরে যান সাদমান ইসলামও। ৫১ বলে ৫৪ রান করে খুররাম শেহজাদের পাতা ফাঁদে ড্রাইভ করতে গিয়ে মিড অফে ক্যাচ দেন তিনি। তার বিদায়ের পর থেকে দলের হাল ধরেছেন শান্ত ও মুমিনুল।

তাদের দুজনের জুটিতে জয়ের পথেই আছে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে অবিশ্বাস্য ধ্বস কিংবা বৃষ্টি না হলে জয়ই এখন তাদের জন্য অবশ্যম্ভাবী। লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার সময় জয়ের জন্য ৬৩ রান দরকার বাংলাদেশের। ৬৮ বলে ৩৩ রানে শান্ত ও ৪৬ বলে ২০ রানে অপরাজিত আছেন মুমিনুল।

আরো পড়ুন : জিততে শেষ দিনে বাংলাদেশের দরকার ১৪৩ রান