সাকিব আল হাসানের জীবন নাটকীয় এক মোড়ই নিয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক বাস্তবতা বদলে যায়।
এরপর থেকেই সাকিব আর দেশে ফিরতে পারছেন না। মাঝে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট খেলে অবসরে যাওয়ার কথা জানালেও শেষ অবধি দেশেই আসা হয়নি তার।
এখন তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারও একরকম অনিশ্চিত। এর মধ্যে বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষাতেও ব্যর্থ হন সাকিব। সামনে তাই প্রশ্নটা চলেই আসে, তিনি খেলতে পারবেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে? এই প্রশ্নের উত্তর নেই প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর কাছেও।
সাকিবের ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা এসেছে কি না জানতে চাইলে বুধবার সিলেটে তিনি বলেন, ‘সাকিবের ব্যাপারে কোন নির্দেশনা আসেনি। প্রথম যে পরীক্ষা দিলেন, সেখানে তিনি উত্তীর্ণ হতে পারেননি, খুবই বিস্ময়কর। আমাকে নিশ্চিত হতে হবে তিনি ব্যক্তি পর্যায়ে আবার একটা পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছেন কি না এটা একটু খোঁজ নিয়ে জানতে হবে। ’
এর আগে সাকিব দেশে আসতে পারেননি প্রতিবাদের মুখে। মিরপুরে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলবেন এমন খবরের পর বিক্ষোভ হয়। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য থাকায় তার প্রতি এই ক্ষোভ। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সাকিবের খেলার ব্যাপারে বাধা কি শুধু বোলিং অ্যাকশন?
লিপু বলেন, ‘এটা আসলে আমরা নির্বাচক মণ্ডলী বোর্ডের কাছ থেকে জানতে চেয়েছি যে, তিনি আমাদের এ প্রক্রিয়ার জন্য অ্যাভেইলেবল আছেন কি না। এখনও আমরা উত্তর পুরোপুরি পাইনি। আংশিক একটা পেয়েছি। যেহেতু আবার একটা শোনা যাচ্ছে তিনি অংশগ্রহণ করেছেন। সেটার জন্যও অপেক্ষা করতে হবে। আমাদেরকে আসলে…হয়তো এভ্রি মিনিট কাউন্টস। আশা করি, দুই-এক দিনের মধ্যে পরিষ্কার হয়ে যাবে বিষয়গুলো। ’
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল ঘোষণা করতে হবে ১২ জানুয়ারির মধ্যে। বুধবার মিরপুরে এ নিয়ে তামিম ইকবালের সঙ্গে বৈঠকে বসেন নির্বাচকরা। এরপরই গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন লিপু। তিনি জানান, সাকিবের জন্য যেহেতু অপেক্ষা করতেই হবে তাই ফেরার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তামিমও বাড়তি সময় পাচ্ছেন।
লিপু বলেন, ‘সাকিব ইস্যুটাও আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তার জন্যও যেহেতু আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে এই ব্যাপারটার জন্য। কাজেই সময় আমার মনে হয় বড় ফ্যাক্টর নয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই আমাদের কাজটা সম্পাদন করতে পারব। ’