প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম করিডর ইস্যু নিয়ে বলেছেন, মানবিক করিডর নয়, বরং রাখাইনে যদি জাতিসংঘ সহায়তা দিতে চাইলে সেটা পৌঁছাতে পরিবহনসহ লজিস্টিক সাপোর্ট দেয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ নীতিগত সম্মতি দিয়েছে।
রাখাইনের জন্য মানবিক করিডোর নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আলোচনা শুরু হওয়ার পর ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা জানিয়েছেন।
“আমরা এটা স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে সরকার তথাকথিত ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘ অথবা অন্য কোনও সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করেনি। রাখাইন রাজ্যে যদি জাতিসংঘের নেতৃত্বে মানবিক সাহায্য দেয়া হয় তবেই বাংলাদেশ লজিস্টিক সাপোর্ট দিতে রাজি হবে, এটাই আমাদের অবস্থান” লিখেছেন তিনি।
শফিকুল আলম ইউএনডিপির বরাত দিয়ে লিখেছেন, রাখাইন রাজ্য একটি তীব্র মানবেতর পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে। সেক্ষেত্রে মিয়ানমারের রাখাইনের বর্তমান পরিস্থিতিতে সাহায্য পৌঁছে দেয়ার একমাত্র কার্যকর পথ বাংলাদেশ। বাংলাদেশ নীতিগতভাবে এই পথ দিয়ে লজিস্টিক সাপোর্ট পরিবহনে সহায়তা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে এক পোস্টে জানিয়েছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
“এছাড়া আমরা উদ্বিগ্ন যে দুর্ভোগ অব্যাহত থাকলে রাখাইন থেকে বাংলাদেশে মানুষের প্রবেশ আরও বেড়ে যেতে পারে, যেটা আমরা বহন করতে পারছি না” লিখেছেন তিনি।
তিনি লিখেছেন, “রাখাইনে সাহায্য দেয়ার বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সাথে আমরা এ বিষয়ে যোগাযোগে রয়েছি। যথাসময়ে আমরা বাংলাদেশের স্টেকহোল্ডারদের সাথে পরামর্শ করবো।”
এর আগে রোববার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন তার মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের জানান, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে শর্ত সাপেক্ষে মিয়ানমারের বেসামরিক লোকজনের জন্য করিডর দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
“এতটুকু আপনাদের বলতে পারি, নীতিগতভাবে আমরা এতে সম্মত। কারণ, এটি একটি হিউম্যানিটেরিয়ান প্যাসেজ (ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর জন্য করিডর) একটা হবে। কিন্তু আমাদের কিছু শর্তাবলি রয়েছে, সেই বিস্তারিততে যাচ্ছি না। সেই শর্তাবলি যদি পালিত হয়, আমরা অবশ্যই জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সহযোগিতা করব,” বলেছিলেন তিনি।
যদিও বিএনপির পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
গতকাল সোমবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “আরাকানদের সাথে যোগাযোগের জন হিউম্যানিটিরিয়ান প্যাসেজ নিয়ে ইউনূস সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সকল রাজনৈতিক দলের সাথে বসে সরকারের সে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল।”