ঢাকা ১২:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে যুগপৎ সঙ্গীদের সাথে আলোচনায় বিএনপি হামজার পর এবার আসছেন কানাডার সামিত সকল প্রকার অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের আহ্বান উপদেষ্টা আসিফের সরকারের মূল উদ্দেশ্য শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের কাছেও হার বাংলাদেশের; কঠিন সমীকরণে বিশ্বকাপ ভাগ্য পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা হাসিনাসহ ১২ জনের নামে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন মুসলিম সংখ্যলঘুদের নিয়ে বাংলাদেশের বক্তব্য ভারতের প্রত্যাখ্যান সংস্কার ও শেখ হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন নয় : গোলাম পরওয়ার

চাকরি ফেরত পাচ্ছেন ২৭তম বিসিএসের ১১৩৭ জন

২৭তম বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিত এক হাজার ১৩৭ জনের চাকরি ফেরত দিতে রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। পৃথক তিনটি আপিল মঞ্জুর করে বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।

আবেদনকারীদের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন সাংবাদিকদের জানান, এ রায়ের ফলে প্রায় ১২শ’ জনের মধ্যে যারা যোগ দিতে চান তারা ২৭তম ব্যাচে ধারণাগত জ্যেষ্ঠতাসহ নিয়োগ পাবেন।

কতদিনের মধ্যে তাদের নিয়োগ দিতে হবে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, হাইকোর্টের রায়ে ৯০ দিনের মধ্যে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সুতরাং সেই ৯০ দিনটা বহাল করা হয়েছে।

২০০৭ সালের ২১ জানুয়ারি ২৭তম বিসিএসের প্রথম মৌখিক পরীক্ষায় ৩ হাজার ৫৬৭ জন উত্তীর্ণ হন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ওই বছরের ৩০ মে প্রথম মৌখিক পরীক্ষার ফল বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) ওই বছরের ১ জুলাই প্রথম মৌখিক পরীক্ষার ফল বাতিল করে এবং দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন পরীক্ষার্থীরা।

২০০৯ সালের ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। তার আগে ওই বছরের ২৯ জুলাই দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে সরকারপক্ষ। ২০১০ সালের ১১ জুলাই সেই লিভ টু আপিল পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করেন আপিল বিভাগ।

আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন বলেন, ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময় ২৭তম বিসিএসে দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়। যখন এ ১২০০ জন চূড়ান্ত সুপারিশের পর চাকরিতে ঢুকবেন, তখন ওই সিদ্ধান্ত হয়। পরে দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষার বিরুদ্ধে মামলা হলো। হাইকোর্ট বিভাগে আবেদনকারীরা জিতেছিলেন। কিন্তু আপিল বিভাগ সিপিতে (লিভ টু আপিল) বলেছিলেন দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা কারেক্ট ছিল। আপিল বিভাগের সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদনকারীরা রিভিউ করলেন। ৭ নভেম্বর সেই রিভিউ মঞ্জুর করে আপিলের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়।

যেসব বিতর্কিত নির্বাচনের পর ক্ষমতা টিকাতে পারেনি সরকার

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

চাকরি ফেরত পাচ্ছেন ২৭তম বিসিএসের ১১৩৭ জন

আপডেট সময় ১১:৩৫:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

২৭তম বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিত এক হাজার ১৩৭ জনের চাকরি ফেরত দিতে রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। পৃথক তিনটি আপিল মঞ্জুর করে বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।

আবেদনকারীদের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন সাংবাদিকদের জানান, এ রায়ের ফলে প্রায় ১২শ’ জনের মধ্যে যারা যোগ দিতে চান তারা ২৭তম ব্যাচে ধারণাগত জ্যেষ্ঠতাসহ নিয়োগ পাবেন।

কতদিনের মধ্যে তাদের নিয়োগ দিতে হবে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, হাইকোর্টের রায়ে ৯০ দিনের মধ্যে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সুতরাং সেই ৯০ দিনটা বহাল করা হয়েছে।

২০০৭ সালের ২১ জানুয়ারি ২৭তম বিসিএসের প্রথম মৌখিক পরীক্ষায় ৩ হাজার ৫৬৭ জন উত্তীর্ণ হন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ওই বছরের ৩০ মে প্রথম মৌখিক পরীক্ষার ফল বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) ওই বছরের ১ জুলাই প্রথম মৌখিক পরীক্ষার ফল বাতিল করে এবং দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন পরীক্ষার্থীরা।

২০০৯ সালের ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। তার আগে ওই বছরের ২৯ জুলাই দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে সরকারপক্ষ। ২০১০ সালের ১১ জুলাই সেই লিভ টু আপিল পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করেন আপিল বিভাগ।

আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন বলেন, ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময় ২৭তম বিসিএসে দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়। যখন এ ১২০০ জন চূড়ান্ত সুপারিশের পর চাকরিতে ঢুকবেন, তখন ওই সিদ্ধান্ত হয়। পরে দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষার বিরুদ্ধে মামলা হলো। হাইকোর্ট বিভাগে আবেদনকারীরা জিতেছিলেন। কিন্তু আপিল বিভাগ সিপিতে (লিভ টু আপিল) বলেছিলেন দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা কারেক্ট ছিল। আপিল বিভাগের সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদনকারীরা রিভিউ করলেন। ৭ নভেম্বর সেই রিভিউ মঞ্জুর করে আপিলের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়।

যেসব বিতর্কিত নির্বাচনের পর ক্ষমতা টিকাতে পারেনি সরকার