ঢাকা ০২:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জিডিপির প্রবৃদ্ধিকে ‘মিথ’ বানিয়েছিল বিগত সরকার: শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদন

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের অর্থনীতি খাতের যথার্থ অবস্থা সামনে আনা হয়নি। জিডিপির যে প্রবৃদ্ধি সেটি নিয়েও তারা মিথ্যাচার করেছিল। একথা জানানো হয় শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রতিবেদনে। রোববার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে অর্থনীতির শ্বেতপত্র হস্তান্তর করেন।

প্রতিবেদন গ্রহণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই প্রতিবেদন আমাদের জন্য একটা ঐতিহাসিক দলিল। আর্থিকখাতে যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে, তা ছিল একটা আতঙ্কিত বিষয়। আমাদের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু কেউ এটা নিয়ে কথা বলেনি।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে সেই সময়ের প্রেক্ষাপটে ব্যাপক দুর্নীতির প্রভাব লক্ষ্যনীয়। এমনকি রাজনৈতিক ক্ষমতার সাথে জোট বেঁধেছিলেন সেই সময়ের শীর্ষ আমলারাও।

জানা গেছে, প্রতিবেদনে বিগত ১৫ বছরে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, সরকারের নানামুখী উদ্যোগ, উন্নয়ন প্রকল্পে প্রশ্নবিদ্ধ অর্থ ব্যয়, বিদেশি ঋণের অর্থ ব্যবহার, আর্থিক তথ্যে গরমিল, ব্যাংক খাতের লুটপাট, জিডিপি-মূল্যস্ফীতির তথ্যে নয়-ছয় তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি বাজেট বাস্তবায়নে অস্বচ্ছতা ও রাজস্ব আহরণে পদক্ষেপের বিষয়টিও উঠে এসেছে। এছাড়াও সংকট থেকে উত্তরণের পদক্ষেপও সুপারিশ করেছে কমিটি।

আগামীকাল সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদন বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

জিডিপির প্রবৃদ্ধিকে ‘মিথ’ বানিয়েছিল বিগত সরকার: শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদন

আপডেট সময় ০৪:৩৫:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের অর্থনীতি খাতের যথার্থ অবস্থা সামনে আনা হয়নি। জিডিপির যে প্রবৃদ্ধি সেটি নিয়েও তারা মিথ্যাচার করেছিল। একথা জানানো হয় শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রতিবেদনে। রোববার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে অর্থনীতির শ্বেতপত্র হস্তান্তর করেন।

প্রতিবেদন গ্রহণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই প্রতিবেদন আমাদের জন্য একটা ঐতিহাসিক দলিল। আর্থিকখাতে যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে, তা ছিল একটা আতঙ্কিত বিষয়। আমাদের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু কেউ এটা নিয়ে কথা বলেনি।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে সেই সময়ের প্রেক্ষাপটে ব্যাপক দুর্নীতির প্রভাব লক্ষ্যনীয়। এমনকি রাজনৈতিক ক্ষমতার সাথে জোট বেঁধেছিলেন সেই সময়ের শীর্ষ আমলারাও।

জানা গেছে, প্রতিবেদনে বিগত ১৫ বছরে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, সরকারের নানামুখী উদ্যোগ, উন্নয়ন প্রকল্পে প্রশ্নবিদ্ধ অর্থ ব্যয়, বিদেশি ঋণের অর্থ ব্যবহার, আর্থিক তথ্যে গরমিল, ব্যাংক খাতের লুটপাট, জিডিপি-মূল্যস্ফীতির তথ্যে নয়-ছয় তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি বাজেট বাস্তবায়নে অস্বচ্ছতা ও রাজস্ব আহরণে পদক্ষেপের বিষয়টিও উঠে এসেছে। এছাড়াও সংকট থেকে উত্তরণের পদক্ষেপও সুপারিশ করেছে কমিটি।

আগামীকাল সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদন বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।