ঢাকা ১০:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন

টিউলিপ সিদ্দিকের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব আছে : দুদকের আইনজীবী

ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক তার বাংলাদেশি নাগরিকত্ব থাকার কথা বারবার অস্বীকার করলেও বাংলাদেশের প্রসিকিউটররা বলছেন, তার বাংলাদেশি নাগরিকত্ব আছে। তারা বলছেন, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর তিনি বাংলাদেশের পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়েছেন এবং ভোটার হিসেবেও নিবন্ধিত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জমি অবৈধভাবে অধিগ্রহণের অভিযোগের বিচার চলছে।

বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ সুলতান মাহমুদ বলেন, তার ঠিকানা, একাধিক পাসপোর্ট ও ভোটার তালিকায় তার নাম— এই সবই আমরা পেয়েছি। আমরা যথাসময়ে সেগুলো আদালতে জমা দেব। বিভিন্ন সরকারি বিভাগও নথিপত্রের কপি থাকার কথা নিশ্চিত করেছে।

তবে, টিউলিপ সিদ্দিকের আইনজীবীদের মুখপাত্র স্টিফেনসন হারউড এসব নথি জাল বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, টিউলিপের কখনো বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি ছিল না ও ছোটবেলা থেকেই তার পাসপোর্ট ছিল না।

দুদক অভিযোগ করেছে, টিউলিপ সিদ্দিক, তার খালা শেখ হাসিনা, মা ও ভাই-বোনসহ বেশ কয়েকজন আত্মীয় ঢাকার পূর্বাচল নিউ টাউন প্রকল্পে সরকারি প্লট অবৈধভাবে নিয়েছেন। প্রসিকিউটরদের দাবি, সিদ্দিক তার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে যোগ্যতাবিষয়ক নিয়মগুলো উপেক্ষা করেছেন।

গত আগস্টে ছাত্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হলে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার তার ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত শুরু করে।

টিউলিপ সিদ্দিক এই বিচারকে ‘নিপীড়ন ও প্রহসন’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ লিখেছেন, তিনি বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মামলার বিষয়ে কোনো যোগাযোগ পাননি।

দুদক প্রসিকিউটর মাহমুদ জানান, সিদ্দিকের পাসপোর্ট ও ভোটার আইডি কার্ডে উল্লিখিত ঠিকানায় সমন পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস-এ প্রকাশিত অভিযোগের পর রাজনৈতিক চাপের মুখে টিউলিপ সিদ্দিক গত জানুয়ারিতে যুক্তরাজ্য সরকারের মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি সব ধরনের অন্যায় অস্বীকার করে নিজেকে ইউনূস প্রশাসনের ‘জাদুকরী শিকার’ বলে দাবি করেছেন।

আ.লীগ নেতাকর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণ; দায় স্বীকার করলেন মেজর সাদিকের স্ত্রী

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

জনপ্রিয় সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন

টিউলিপ সিদ্দিকের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব আছে : দুদকের আইনজীবী

আপডেট সময় ০৬:১৩:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫

ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক তার বাংলাদেশি নাগরিকত্ব থাকার কথা বারবার অস্বীকার করলেও বাংলাদেশের প্রসিকিউটররা বলছেন, তার বাংলাদেশি নাগরিকত্ব আছে। তারা বলছেন, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর তিনি বাংলাদেশের পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়েছেন এবং ভোটার হিসেবেও নিবন্ধিত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জমি অবৈধভাবে অধিগ্রহণের অভিযোগের বিচার চলছে।

বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ সুলতান মাহমুদ বলেন, তার ঠিকানা, একাধিক পাসপোর্ট ও ভোটার তালিকায় তার নাম— এই সবই আমরা পেয়েছি। আমরা যথাসময়ে সেগুলো আদালতে জমা দেব। বিভিন্ন সরকারি বিভাগও নথিপত্রের কপি থাকার কথা নিশ্চিত করেছে।

তবে, টিউলিপ সিদ্দিকের আইনজীবীদের মুখপাত্র স্টিফেনসন হারউড এসব নথি জাল বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, টিউলিপের কখনো বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি ছিল না ও ছোটবেলা থেকেই তার পাসপোর্ট ছিল না।

দুদক অভিযোগ করেছে, টিউলিপ সিদ্দিক, তার খালা শেখ হাসিনা, মা ও ভাই-বোনসহ বেশ কয়েকজন আত্মীয় ঢাকার পূর্বাচল নিউ টাউন প্রকল্পে সরকারি প্লট অবৈধভাবে নিয়েছেন। প্রসিকিউটরদের দাবি, সিদ্দিক তার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে যোগ্যতাবিষয়ক নিয়মগুলো উপেক্ষা করেছেন।

গত আগস্টে ছাত্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হলে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার তার ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত শুরু করে।

টিউলিপ সিদ্দিক এই বিচারকে ‘নিপীড়ন ও প্রহসন’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ লিখেছেন, তিনি বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মামলার বিষয়ে কোনো যোগাযোগ পাননি।

দুদক প্রসিকিউটর মাহমুদ জানান, সিদ্দিকের পাসপোর্ট ও ভোটার আইডি কার্ডে উল্লিখিত ঠিকানায় সমন পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস-এ প্রকাশিত অভিযোগের পর রাজনৈতিক চাপের মুখে টিউলিপ সিদ্দিক গত জানুয়ারিতে যুক্তরাজ্য সরকারের মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি সব ধরনের অন্যায় অস্বীকার করে নিজেকে ইউনূস প্রশাসনের ‘জাদুকরী শিকার’ বলে দাবি করেছেন।

আ.লীগ নেতাকর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণ; দায় স্বীকার করলেন মেজর সাদিকের স্ত্রী