রাজধানীর দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় আগামীকাল মঙ্গলবার (২২ জুলাই) একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, শোক দিবসে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। পাশাপাশি সব সরকারি, বেসরকারি ভবন ও বিদেশে বাংলাদেশি মিশনেও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতদের জন্য দেশের সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।
বিমান বিধ্বস্ত হয়ে একজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তবে তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। গুরুতর আহত হয়েছে শতাধিক।
আজ দুপুর ১টা ৬ মিনিটে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান এফ-৭ বিজিআই উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরে বিধ্বস্ত হয়। খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট। উদ্ধারকাজে সহায়তায় হেলিকপ্টার ও তিন প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
রাজধানীর তেজগাঁও পুরোনো বিমানবন্দর থেকে বিমানটি উড্ডয়নের পর পরই উত্তরার মাইলস্টোনে স্কুল অ্যান্ড কলেজের হায়দার আলী ভবনের ওপর বিমানটি আছড়ে পড়ে। এতে বিদ্যালয়টির বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সাদমান রুহসিন গণমাধ্যমকে জানান, বিমানটি কলেজের একটি ভবনের ওপর বিধ্বস্ত হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সেখানে গিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছেন।
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শোক জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আহতদের অনেককে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম বলেন, আমাদের দল একজনের লাশ উদ্ধার করেছে। বিমান বাহিনীর লোকজন কয়েকজনকে আহত অবস্থায় নিয়ে গেছে। নিহত ব্যক্তির পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহ বুলবুল বলেন, বিমানটি একটি ভবনের গেটে আছড়ে পড়ে। সেটি একাডেমিক ভবন। সেখানে স্কুলের বাচ্চাদের ক্লাস চলছিল। একের পর এক আহতদের বের করে নিয়ে আসা হচ্ছে।