ঢাকা ১০:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ক্রেতা হিসেবে আমি নিজেও চাপে আছি: খাদ্য উপদেষ্টা শিল্পপতি প্রেমিককে ৭ টুকরা করেন কথিত প্রেমিকা রুমা কটিয়াদীতে সেনাবাহিনীর হাতে মাদক সম্রাট আনুসহ আটক ৩ রাজনৈতিক বলয় থেকে কবে মুক্তি পাবে দুদক? মন্ত্রীর একক সিদ্ধান্ত,কুইক রেন্টালে দায়মুক্তির বিধান অবৈধ: হাইকোর্ট গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়ার পরিবারের পাশে তামিম ইকবাল হাজী সেলিম পুত্রের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ সংস্কারের গতির ওপর বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নির্ভর করছে: প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের চায়ের আমন্ত্রণে বিএনপি নেতারা প্রত্যাবর্তনের গল্প লেখা হলো না বাংলাদেশের
সংস্কার কমিশনকে প্রস্তাব

নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা চান ইসি কর্মকর্তারা

অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা চান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা।

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনকে একগুচ্ছ প্রস্তাব দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা। এই প্রস্তাবনার একটি অংশে যে কোনো নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা চেয়েছেন কর্মকর্তারা।

ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা চাওয়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরে ইসি কর্মকর্তারা জানান, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পূর্বশর্ত হচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হলে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রার্থী/রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনে বাধ্য করা। এর আগের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের আচরণবিধি মানাতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিনের আগেই নির্বাচন কমিশনের প্রতি রাজনৈতিক দল তথা প্রার্থীদের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে।

তারা আরও জানান, প্রকৃতপক্ষে মাঠপর্যায়ে আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে হলে সার্বক্ষণিক নিবিড় তদারকি ও আইন ভঙ্গের সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের এ বিষয়টি দেখভাল করার কথা। কিন্তু বাস্তবতা হলো নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা প্রতিনিয়ত আচরণবিধি ভঙ্গ করার ঘটনা প্রত্যক্ষ করা সত্ত্বেও তাৎক্ষণিকভাবে তা প্রতিহত করার জন্য তাকে আইনি ক্ষমতা প্রদান করা হয়নি।

কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচনে যে কোনো উদ্ভুত পরিস্থিতে জনগণ মনে করেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না। ফলে নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয়। এ পরিস্থিতি উত্তরণের জন্য নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের ইলেক্টোরাল ম্যাজিস্ট্রেসি দেওয়া প্রয়োজন, যেন তারা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের ঘটনায় তাৎক্ষণিক শাস্তির বিধান করতে পারেন এবং নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারেন।

প্রস্তাবনায় আরও জানানো হয়, নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেটের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের ইলেক্টোরাল ম্যাজিস্ট্রেসি প্রদান করে আচরণবিধি তদারকিতে নিয়োজিত করা হলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা সহজ হবে। আরপিও প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নির্বাচনী আচরণবিধি নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত একটি বিধিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে নির্বাচন কর্মকর্তাদের ইলেক্টোরাল ম্যাজিস্ট্রেসি প্রদান করতে পারে। এক্ষেত্রে নির্বাচন কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি তদারকি করার জন্য চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে/চিফ জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেটকে আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে নিয়োগ করা যেতে পারে বলে জানায় সংস্থাটি।

সরকারের নির্বাচনমুখী যাত্রা শুরু হয়ে গেছে: আইন উপদেষ্টা

 

 

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

সংস্কার কমিশনকে প্রস্তাব

নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা চান ইসি কর্মকর্তারা

আপডেট সময় ০৩:১০:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা চান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা।

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনকে একগুচ্ছ প্রস্তাব দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা। এই প্রস্তাবনার একটি অংশে যে কোনো নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা চেয়েছেন কর্মকর্তারা।

ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা চাওয়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরে ইসি কর্মকর্তারা জানান, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পূর্বশর্ত হচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হলে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রার্থী/রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনে বাধ্য করা। এর আগের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের আচরণবিধি মানাতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিনের আগেই নির্বাচন কমিশনের প্রতি রাজনৈতিক দল তথা প্রার্থীদের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে।

তারা আরও জানান, প্রকৃতপক্ষে মাঠপর্যায়ে আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে হলে সার্বক্ষণিক নিবিড় তদারকি ও আইন ভঙ্গের সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের এ বিষয়টি দেখভাল করার কথা। কিন্তু বাস্তবতা হলো নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা প্রতিনিয়ত আচরণবিধি ভঙ্গ করার ঘটনা প্রত্যক্ষ করা সত্ত্বেও তাৎক্ষণিকভাবে তা প্রতিহত করার জন্য তাকে আইনি ক্ষমতা প্রদান করা হয়নি।

কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচনে যে কোনো উদ্ভুত পরিস্থিতে জনগণ মনে করেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না। ফলে নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয়। এ পরিস্থিতি উত্তরণের জন্য নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের ইলেক্টোরাল ম্যাজিস্ট্রেসি দেওয়া প্রয়োজন, যেন তারা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের ঘটনায় তাৎক্ষণিক শাস্তির বিধান করতে পারেন এবং নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারেন।

প্রস্তাবনায় আরও জানানো হয়, নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেটের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের ইলেক্টোরাল ম্যাজিস্ট্রেসি প্রদান করে আচরণবিধি তদারকিতে নিয়োজিত করা হলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা সহজ হবে। আরপিও প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নির্বাচনী আচরণবিধি নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত একটি বিধিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে নির্বাচন কর্মকর্তাদের ইলেক্টোরাল ম্যাজিস্ট্রেসি প্রদান করতে পারে। এক্ষেত্রে নির্বাচন কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি তদারকি করার জন্য চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে/চিফ জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেটকে আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে নিয়োগ করা যেতে পারে বলে জানায় সংস্থাটি।

সরকারের নির্বাচনমুখী যাত্রা শুরু হয়ে গেছে: আইন উপদেষ্টা