ঢাকা ০৪:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদসহ ৫ জনের নামে মামলা সাড়ে ৯ লাখ টাকার জুতা পরেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান মেগা প্রজেক্টের নামে দেশটাকে শেষ করে দিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার : বিএনপি মহাসচিব জার্মানিতে ব্যাটারিচালিত ট্রেনের যুগে টেসলার অভিষেক সেনাবাহিনীকে সবখানে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া ঠিক হবে না: ফখরুল অর্পিত দায়িত্ব পালনে সবার সহযোগিতা চাইলেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান দেশে গ্যাস-বিদ্যুতের ঘাটতি হবে না : উপদেষ্টা ফাওজুল কবির যুক্তরাষ্ট্রে ইউনূস-মোদি বৈঠক হচ্ছে না চয়নিকার সিনেমায় দেবকে নায়ক হিসেবে চান , নায়িকা কে হবেন? ঢাবিতে যুবক ও জাবিতে ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা: আইন হাতে তুলে না নিতে আহ্বান

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে কমিশন, নেতৃত্বে বদিউল আলম মজুমদার

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, দেশের মোট ছয়টি ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য সরকার ছয়টি কমিশন গঠন করেছে। এরমধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ‘সুশাসনের জন্য নাগরিক’ (সুজন)-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে তিনি এ কথা জানান।

ড. মজুমদার বাংলাদেশের একজন অর্থনীতিবিদ, উন্নয়নকর্মী, রাজনীতি বিশ্লেষক, স্থানীয় সরকার ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ। তিনি বাংলাদেশে সিভিল সোসাইটি বা নাগরিক সমাজের একজন নেতৃস্থানীয় প্রতিনিধি। কর্মময় জীবনের বর্তমান পর্যায়ে তিনি ‘দি হাঙ্গার প্রজেক্ট’-এর গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

বদিউল আলম মজুমদার মানুষের জন্য কথা বলার কারণে প্রায় সব সরকারের বিরাগভাজন হয়েছেন। কিন্তু এসব উপেক্ষা করেই সমাজের প্রয়োজনে তিনি ছুটেছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। বাংলাদেশে দলনিরপেক্ষ সিভিল সোসাইটি গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক হিসেবে সুজন-এর নেতৃত্বে বাংলাদেশে গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন।

১৯৯৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসার আগে ড. বদিউল আলম মজুমদার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। দেশে ফিরে ড. মজুমদার ‘ইউএসএআইডি’ পরিচালিত ‘পলিসি ইমপ্লিমেন্টেশন অ্যানালাইসিস গ্রুপ’ প্রকল্পে চিফ টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজর হিসেবে প্রায় দুই বছর (১৯৯২-৯৩) কাজ করেন। ১৯৯৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে তিনি যুক্ত হন আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাব্রতী সংস্থা ‘দি হাঙ্গার প্রজেক্ট’-এর সঙ্গে।

২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ড. মজুমদারকে ‘বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী’র বোর্ড অব গভর্নরসের সদস্য করেন। একই বছর তিনি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান গতিশীল ও শক্তিশালীকরণ কমিটির একজন সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

মজুমদার বর্তমানে টিআইবির উপদেষ্টা পরিষদের একজন সদস্য এবং ডেনমার্ক ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে পরিচালিত ‘হাইসাওয়া ফান্ড কোম্পানি’র বোর্ড অব ডিরেক্টরসের সদস্য এবং জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সভাপতি।

আরও পড়ুন :নাফিসা হত্যা মামলায় আসামি শেখ হাসিনা

খালেদা জিয়া হাসপাতালে

এবার রওশন এরশাদের বিরুদ্ধে মামলা

ব্যারিস্টার সুমনসহ আওয়ামী লীগের ১৭০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

ড. বদিউল আলম মজুমদার একজন স্বনামধন্য কলামলেখক। আমেরিকান ইকোনমিক্স অ্যাসোসিয়েশন, কানাডিয়ান ইকোনোমিক্সসহ বহু প্রফেশনাল অধিবেশনে বিভিন্ন সময়ে তিনি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেছেন এবং তার গবেষণাপত্র বিভিন্ন খ্যাতনামা আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা, রাজনীতি ও সংবিধানসহ বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক লেখালেখি ড. বদিউল আলম মজুমদারের নয়টি গ্রন্থ এবং তার সম্পাদনায় আরও চারটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।

ড. মজুমদার কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার পোলাইয়া গ্রামে ১৯৪৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জন্মগ্রহণ করেন। কলেজে দ্বিতীয়বর্ষে পড়াবস্থায় তিনি ছাত্র সংসদের ভিপি (সভাপতি) পদে নির্বাচিত হন।

ড. বদিউল আলম মজুমদার ১৯৬৪ সালে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ড. মজুমদার ইকবাল হল (বর্তমান সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ছাত্র সংসদের সাহিত্য সম্পাদক ও পরবর্তীতে (১৯৬৭) জিএস নির্বাচিত হন। তিনি যখন হলের জিএস, তখন ছিল একটা উত্তাল পরিস্থিতি। ছয়দফার আন্দোলন তুঙ্গে। পরে ৬৯’র গণআন্দোলন। সে সময় প্রায় সব আন্দোলনই পরিচালিত হতো ইকবাল হল থেকে। যেহেতু সে সময় উত্তাল রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বঙ্গবন্ধু বহুবার গ্রেফতার হয়েছেন, তার প্রতিবাদে ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ ছাত্রনেতারা রাজপথে ছিলেন। ৬৯-এ ছাত্রদের ১১ দফা আন্দোলন শুরু হয়। সেই আন্দোলনে তথা ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানেও ড. বদিউল আলম মজুমদারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

ড. মজুমদার ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের এক বছরের মাথায় ১৯৭০ সালে বৃত্তি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার ক্ল্যারমন্ট গ্র্যাজুয়েট স্কুল থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন এবং কেইস ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ ইউনিভার্সিটি থেকে মাত্র ৩১ বছর বয়সে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

ড. মজুমদার ১৯৮০ সালে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসায় যোগদান করেন। তিনি নাসার স্পেস ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন প্রজেক্টে কাজ করেন। কিছু সময়ের জন্য তিনি সৌদি রাজপরিবারের পরামর্শক হিসেবেও কাজ করেন। ১৯৯৩ সালে দেশে ফিরে আসার আগে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটিতে স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে অধ্যাপনা করছিলেন।

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদসহ ৫ জনের নামে মামলা

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে কমিশন, নেতৃত্বে বদিউল আলম মজুমদার

আপডেট সময় ১২:১৮:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, দেশের মোট ছয়টি ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য সরকার ছয়টি কমিশন গঠন করেছে। এরমধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ‘সুশাসনের জন্য নাগরিক’ (সুজন)-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে তিনি এ কথা জানান।

ড. মজুমদার বাংলাদেশের একজন অর্থনীতিবিদ, উন্নয়নকর্মী, রাজনীতি বিশ্লেষক, স্থানীয় সরকার ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ। তিনি বাংলাদেশে সিভিল সোসাইটি বা নাগরিক সমাজের একজন নেতৃস্থানীয় প্রতিনিধি। কর্মময় জীবনের বর্তমান পর্যায়ে তিনি ‘দি হাঙ্গার প্রজেক্ট’-এর গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

বদিউল আলম মজুমদার মানুষের জন্য কথা বলার কারণে প্রায় সব সরকারের বিরাগভাজন হয়েছেন। কিন্তু এসব উপেক্ষা করেই সমাজের প্রয়োজনে তিনি ছুটেছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। বাংলাদেশে দলনিরপেক্ষ সিভিল সোসাইটি গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক হিসেবে সুজন-এর নেতৃত্বে বাংলাদেশে গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন।

১৯৯৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসার আগে ড. বদিউল আলম মজুমদার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। দেশে ফিরে ড. মজুমদার ‘ইউএসএআইডি’ পরিচালিত ‘পলিসি ইমপ্লিমেন্টেশন অ্যানালাইসিস গ্রুপ’ প্রকল্পে চিফ টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজর হিসেবে প্রায় দুই বছর (১৯৯২-৯৩) কাজ করেন। ১৯৯৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে তিনি যুক্ত হন আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাব্রতী সংস্থা ‘দি হাঙ্গার প্রজেক্ট’-এর সঙ্গে।

২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ড. মজুমদারকে ‘বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী’র বোর্ড অব গভর্নরসের সদস্য করেন। একই বছর তিনি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান গতিশীল ও শক্তিশালীকরণ কমিটির একজন সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

মজুমদার বর্তমানে টিআইবির উপদেষ্টা পরিষদের একজন সদস্য এবং ডেনমার্ক ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে পরিচালিত ‘হাইসাওয়া ফান্ড কোম্পানি’র বোর্ড অব ডিরেক্টরসের সদস্য এবং জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সভাপতি।

আরও পড়ুন :নাফিসা হত্যা মামলায় আসামি শেখ হাসিনা

খালেদা জিয়া হাসপাতালে

এবার রওশন এরশাদের বিরুদ্ধে মামলা

ব্যারিস্টার সুমনসহ আওয়ামী লীগের ১৭০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

ড. বদিউল আলম মজুমদার একজন স্বনামধন্য কলামলেখক। আমেরিকান ইকোনমিক্স অ্যাসোসিয়েশন, কানাডিয়ান ইকোনোমিক্সসহ বহু প্রফেশনাল অধিবেশনে বিভিন্ন সময়ে তিনি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেছেন এবং তার গবেষণাপত্র বিভিন্ন খ্যাতনামা আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা, রাজনীতি ও সংবিধানসহ বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক লেখালেখি ড. বদিউল আলম মজুমদারের নয়টি গ্রন্থ এবং তার সম্পাদনায় আরও চারটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।

ড. মজুমদার কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার পোলাইয়া গ্রামে ১৯৪৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জন্মগ্রহণ করেন। কলেজে দ্বিতীয়বর্ষে পড়াবস্থায় তিনি ছাত্র সংসদের ভিপি (সভাপতি) পদে নির্বাচিত হন।

ড. বদিউল আলম মজুমদার ১৯৬৪ সালে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ড. মজুমদার ইকবাল হল (বর্তমান সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ছাত্র সংসদের সাহিত্য সম্পাদক ও পরবর্তীতে (১৯৬৭) জিএস নির্বাচিত হন। তিনি যখন হলের জিএস, তখন ছিল একটা উত্তাল পরিস্থিতি। ছয়দফার আন্দোলন তুঙ্গে। পরে ৬৯’র গণআন্দোলন। সে সময় প্রায় সব আন্দোলনই পরিচালিত হতো ইকবাল হল থেকে। যেহেতু সে সময় উত্তাল রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বঙ্গবন্ধু বহুবার গ্রেফতার হয়েছেন, তার প্রতিবাদে ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ ছাত্রনেতারা রাজপথে ছিলেন। ৬৯-এ ছাত্রদের ১১ দফা আন্দোলন শুরু হয়। সেই আন্দোলনে তথা ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানেও ড. বদিউল আলম মজুমদারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

ড. মজুমদার ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের এক বছরের মাথায় ১৯৭০ সালে বৃত্তি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার ক্ল্যারমন্ট গ্র্যাজুয়েট স্কুল থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন এবং কেইস ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ ইউনিভার্সিটি থেকে মাত্র ৩১ বছর বয়সে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

ড. মজুমদার ১৯৮০ সালে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসায় যোগদান করেন। তিনি নাসার স্পেস ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন প্রজেক্টে কাজ করেন। কিছু সময়ের জন্য তিনি সৌদি রাজপরিবারের পরামর্শক হিসেবেও কাজ করেন। ১৯৯৩ সালে দেশে ফিরে আসার আগে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটিতে স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে অধ্যাপনা করছিলেন।