ঢাকা ০৯:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ বাংলাদেশি নাগরিক

ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির প্রভাবশালী এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিকের জাতীয় পরিচয়পত্র লক করেছে নির্বাচন কমিশন। যদিও টিউলিপ দাবি করে আসছেন, তিনি বাংলাদেশি নাগরিক নন। কেবলই ব্রিটিশ নাগরিক। অর্থাৎ, টিউলিপের এ দাবি সত্য নয় বলে জানাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারিতে এক চিঠির মাধ্যমে শেখ হাসিনাসহ ১০ জনের এনআইডি লক করা হয়। চিঠিতে সই করেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর। চিঠিতে বলা হয়, মহাপরিচালকের মৌখিক নির্দেশে ১০ জনের এনআইডি লক করা হলো।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, এনআইডি লকের অর্থ হলো, এর তথ্য যাচাই, সংশোধন বা পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। লক করা এনআইডি কার্যত আর ব্যবহার করার সুযোগ থাকে না। এমনকি, এ আইডি আর ইসির কর্মকর্তারাও দেখতে পারবেন না।

শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের যাদের এনআইডি লক করা হয়েছে, তারা হলেন— শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক রুপন্তি, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, শেখ হাসিনার নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক, তার স্ত্রী শাহিন সিদ্দিক ও মেয়ে বুশরা সিদ্দিক।

নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ গতকাল বুধবার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, শেখ হাসিনাসহ তার পরিবার ও অন্যান্য যাদের এনআইডি ব্লক করা, তারা ভোট দিতে পারবেন না। প্রার্থীও হতে পারবেন না। তাদের এনআইডি ব্যবহার করে আর কোনো কাজই করা যাবে না।

তবে, এ পর্যন্ত কতজনের এনআইডি লক করা হয়েছে সে তথ্য জানা যায়নি। এ ব্যাপারে এনআইডির মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, যাদের এনআইডি লক করা হয়েছে, তারা কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না এ আইডি দিয়ে। এ পর্যন্ত কতজনের এনআইডি লক করা হয়েছে, তা আমার মনে নেই। দেখে জানাতে হবে।

ইসি সূত্র জানায়, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিকের নামে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) হয় ২০১১ সালে। তাতে তিনি ঢাকার ধানমণ্ডির ৫ নম্বর সড়কের যে ঠিকানা ব্যবহার করেছেন, সেটা তার খালা পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসা সুধা সদন।

একজন নাগরিককে যখন জাতীয় পরিচয়পত্র দেয় নির্বাচন কমিশন, তখন অনেক ধরনের তথ্য গ্রহণ করা হয়। যা সংরক্ষিত থাকে এনআইডি তথ্যভান্ডারে। সেখানে টিউলিপ উল্লেখ করেছিলেন, পেশায় তিনি বেসরকারি চাকরিজীবী। জন্মস্থান ঢাকা। ভোটার এলাকা ধানমণ্ডি (সড়ক ৩-৫)। তার এনআইডির তথ্যে ট্যাগ হিসেবে আছে, ‘মাইগ্রেটেড’ বা অভিবাসী। নির্বাচন কমিশনের অধীন এনআইডি সার্ভারে টিউলিপের বাংলাদেশি পাসপোর্টের নম্বরও উল্লেখ রয়েছে।

ভোটাধিকার হারালেন শেখ হাসিনা ও তার পরিবার

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ বাংলাদেশি নাগরিক

আপডেট সময় ০৭:০০:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির প্রভাবশালী এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিকের জাতীয় পরিচয়পত্র লক করেছে নির্বাচন কমিশন। যদিও টিউলিপ দাবি করে আসছেন, তিনি বাংলাদেশি নাগরিক নন। কেবলই ব্রিটিশ নাগরিক। অর্থাৎ, টিউলিপের এ দাবি সত্য নয় বলে জানাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারিতে এক চিঠির মাধ্যমে শেখ হাসিনাসহ ১০ জনের এনআইডি লক করা হয়। চিঠিতে সই করেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর। চিঠিতে বলা হয়, মহাপরিচালকের মৌখিক নির্দেশে ১০ জনের এনআইডি লক করা হলো।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, এনআইডি লকের অর্থ হলো, এর তথ্য যাচাই, সংশোধন বা পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। লক করা এনআইডি কার্যত আর ব্যবহার করার সুযোগ থাকে না। এমনকি, এ আইডি আর ইসির কর্মকর্তারাও দেখতে পারবেন না।

শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের যাদের এনআইডি লক করা হয়েছে, তারা হলেন— শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক রুপন্তি, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, শেখ হাসিনার নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক, তার স্ত্রী শাহিন সিদ্দিক ও মেয়ে বুশরা সিদ্দিক।

নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ গতকাল বুধবার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, শেখ হাসিনাসহ তার পরিবার ও অন্যান্য যাদের এনআইডি ব্লক করা, তারা ভোট দিতে পারবেন না। প্রার্থীও হতে পারবেন না। তাদের এনআইডি ব্যবহার করে আর কোনো কাজই করা যাবে না।

তবে, এ পর্যন্ত কতজনের এনআইডি লক করা হয়েছে সে তথ্য জানা যায়নি। এ ব্যাপারে এনআইডির মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, যাদের এনআইডি লক করা হয়েছে, তারা কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না এ আইডি দিয়ে। এ পর্যন্ত কতজনের এনআইডি লক করা হয়েছে, তা আমার মনে নেই। দেখে জানাতে হবে।

ইসি সূত্র জানায়, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিকের নামে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) হয় ২০১১ সালে। তাতে তিনি ঢাকার ধানমণ্ডির ৫ নম্বর সড়কের যে ঠিকানা ব্যবহার করেছেন, সেটা তার খালা পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসা সুধা সদন।

একজন নাগরিককে যখন জাতীয় পরিচয়পত্র দেয় নির্বাচন কমিশন, তখন অনেক ধরনের তথ্য গ্রহণ করা হয়। যা সংরক্ষিত থাকে এনআইডি তথ্যভান্ডারে। সেখানে টিউলিপ উল্লেখ করেছিলেন, পেশায় তিনি বেসরকারি চাকরিজীবী। জন্মস্থান ঢাকা। ভোটার এলাকা ধানমণ্ডি (সড়ক ৩-৫)। তার এনআইডির তথ্যে ট্যাগ হিসেবে আছে, ‘মাইগ্রেটেড’ বা অভিবাসী। নির্বাচন কমিশনের অধীন এনআইডি সার্ভারে টিউলিপের বাংলাদেশি পাসপোর্টের নম্বরও উল্লেখ রয়েছে।

ভোটাধিকার হারালেন শেখ হাসিনা ও তার পরিবার