জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম পর্যায়ের আলোচনা আগামী ১৫ মের মধ্যে শেষ করার চেষ্টা চলছে। এরপর কমিশন দলগুলোর সঙ্গে দ্রুত দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু করতে আগ্রহী।
আজ মঙ্গলবার (৬ মে) সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বর্ধিত আলোচনার শুরুতে অধ্যাপক আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন।
আলোচনায় কমিশনের সদস্য হিসেবে বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলে দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, যুগ্ম আহ্বায়ক জাভেদ রাসিন, মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ও কেন্দ্রীয় সংগঠক আরমান হোসাইন আলোচনায় অংশ নেন।
এ সময় এনসিপির পক্ষ থেকে ক্ষমতার ভারসাম্য, জবাবদিহিতা ও বিকেন্দ্রীকরণ—এই তিনটি বিষয়ে মৌলিক সংস্কারের একটি রূপরেখা হস্তান্তর করা হয়।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ এ প্রসঙ্গে বলেন, ঐকমত্য কমিশনের দেওয়া প্রস্তাবগুলোর পাশাপাশি জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে মৌলিক সংস্কারের যে রূপরেখা দেওয়া হয়েছে, তা কমিশন গ্রহণ করেছে।
আলী রীয়াজ আরও বলেন, পর্যালোচনা সাপেক্ষে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় এই রূপরেখার প্রতিফলন দেখা যাবে।
ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আরও বলেন, আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক বিভিন্নভাবে কমিশনের আলোচনা এগিয়ে চলছে। এই অব্যাহত আলোচনার মাধ্যমে কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে এমন একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা, যা একটি গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিমূলক ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের দিকনির্দেশনা দেবে।
গত ২৩ মার্চ জাতীয় নাগরিক পার্টি কমিশন বরাবর তাদের মতামত জমা দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ এপ্রিল দলটির সঙ্গে প্রথম দিনের আলোচনায় বসে কমিশন। আজকের আলোচনা ছিল সেই ধারাবাহিকতায় দিনব্যাপী বর্ধিত আলোচনা।