আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, মানবাধিকার তথ্য পর্যবেক্ষণ সোসাইটি MTPS এর মহাসচিব লায়ন এম.এস. খান বলেছেন, একাত্তরের অধিকার আদায়ের সংগ্রামী গৌরবোজ্জল উত্তাল দিনগুলো আমাদের প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম আজীবন পথ দেখাবে। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন।
তিনি দেশবাসীকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা ও জানিয়ে বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবসে গভীর কৃতজ্ঞতায় ও শ্রদ্ধার সঙ্গে বিনম্র চিত্তে পরম শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্মরণ করছি ৩০ লাখ বীর শহীদদের। পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও স্বাধীনতার কল্যাণে অসামান্য অবদান রেখেছেন যারা তাঁদের প্রতি। সশ্রদ্ধ সালাম সেই সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি যারা জীবন বাজী রেখে লড়াই করেছেন, আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গ করেছেন,যারা আমাদের লাল-সবুজের পতাকা উপহার দিয়েছেন।
MTPS মহাসচিব আরো বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অতর্কিতে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ চালালে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু করেন বীর বাংলার আমজনতা। দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের, যাদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা। এছাড়াও তিনি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন, জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সমর্থক, বিদেশি বন্ধু এবং সর্বস্তরের জনগণকে, যারা অধিকার আদায় ও মুক্তিসংগ্রামে বিভিন্নভাবে অবদান রেখেছেন।
এম. এস. খান বলেন, এদেশের মুক্তিকামি জনতা সব সময় রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতেন সেই স্বপ্ন এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। স্বাধীনতার কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে জনমুখী এবং টেকসই উন্নয়ন, সকল নাগরিকের জন্য সুশাসন, সামাজিক ন্যায়বিচার, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস, লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ, গড় আয়ু বৃদ্ধিসহ আর্থসামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে আরো সাফল্য অর্জন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম বাঙালীর জীবনে এক অবিনশ্বর চেতনা। মহান স্বাধীনতা বাঙালীর শ্রেষ্ঠ অর্জন। মুক্তিযুদ্ধ আজীবন সুখী ও সমৃদ্ধশালী নতুন বাংলাদেশ গড়তে অনুপ্রেরণা যোগাবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।
আগামী প্রজন্মের সুখময় ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে ক্ষুধা, দারিদ্র এবং দুর্নীতিমুক্ত সর্বাঙ্গীন কল্যাণ রাষ্ট্র সমৃদ্ধি কামনা তিনি বলেন, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি গণতন্ত্র, আইনের সুশাসন, সামাজিক ন্যায় বিচার, দূর্নীতি, অনিয়ম ও ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত দেশে পরিণত হোক, মহান স্বাধীনতা দিবসে এটাই আমার প্রত্যাশা।