ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। রুপালি পর্দায় দাপিয়ে বেড়ানোর পর সক্রিয় হন রাজনীতির মাঠে। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনে জয়লাভ করেছিলেন তিনি। কিন্তু নির্বাচনের পর এক বছরও সংসদ সদস্য হিসেবে থাকার সৌভাগ্য হলো না ফেরদৌসের।
ছাত্র-জনতার এক দফা দাবির জেরে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে সরকারের অনেক মন্ত্রী-এমপিও দেশ ছাড়েন। একদিন পরেই ভেঙে দেওয়া হয় সংসদ।
এরপরই প্রশ্ন ওঠে চিত্রনায়ক ফেরদৌসের অবস্থান নিয়ে। এই তারকা কি দেশ ছেড়েছেন, নাকি দেশেই কোথাও গা-ঢাকা দিয়েছেন?
সূত্রমতে, আগস্টের ৩ তারিখ পর্যন্ত ঢাকাতেই অবস্থান করছিলেন ফেরদৌস। এর দুই দিন আগেও বিটিভিতে হাজির হয়ে টেলিভিশন চ্যানেলটির ওপর হামলা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু হাসিনার পতনের পর তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
এসবের মাঝেই গুঞ্জন উঠেছে, পরিবার নিয়ে নাকি দেশ ছেড়েছেন ফেরদৌস। যদিও নায়কের দেশ ছাড়ার খবরের এখনও কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। এমনকি তার বন্ধ রয়েছে পিএসের নাম্বারও।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র জানা গেছে, গোয়েন্দা সংস্থা থেকে কিছু রাজনীতিবিদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্বসহ বেশ কয়েকজনের তালিকা চেক-ইন এবং ইমিগ্রেশন কাউন্টারে দেয়া রয়েছে। পাশাপাশি প্লেনে যাত্রী ওঠা ও ফ্লাইট উড্ডয়নের ক্ষেত্রেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চূড়ান্ত ক্লিয়ারেন্স নিতে হয়। সুতরাং ধারণা করা হচ্ছে, ফেরদৌস দেশের মধ্যে কোথাও গা ঢাকা দিয়ে আছেন।