স্বস্তিকা মুখার্জি বরাবরই স্পষ্ট উত্তর দিতে পছন্দ করেন। ঠোটকাঁটা স্বভাবের জন্য সুনাম রয়েছে অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জির। আবার তাকে নিয়ে কম বিতর্ক বা ট্রলিংও হয় না। বয়স নিয়ে লুকোছাপা পছন্দ করেন না তিনি। ২৪ বছর বয়সী মেয়ের মা তিনি, সে কথাও জোর গলায় ঘোষণা করেন। বয়স তাঁর কাছে নিতান্তই একটা সংখ্যা। দু-মাস পর ৪৪-এ পা দেবেন স্বস্তিকা। অনুরাগীদের কেউ কেউ তাঁকে এভারগ্রিন বিউটি বলেন। আবার কারও মতে, ৬০ বছর বয়সেও একই রকম বোল্ড আর বিউটিফুল থাকবেন তিনি।
কারণ বর্তমানে এই বয়সেও বিকিনি পরে ঘুবে বেড়ান নায়িকা। আবার নো-মেকআপ লুকেও ছবি দিতে ভয় পান না। সম্প্রতি আরজি করকাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদের জেরে চর্চায় থেকেছেন স্বস্তিকা। পথে নেমে জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়ান তিনি, উৎসবে না ফেরার ডাক দিয়ে টেক্কার প্রচার করায় কটূক্তির শিকার হয়েছেন তিনি। দিয়েছেন পালটা জবাবও।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পুজোর আবহে হলুদ কুর্তায় সেজে একটি মিষ্টি ছবি দিতেই কুরুচিকর ট্রলের মুখে পড়েন স্বস্তিকা। কাজল কালো চোখ, কপালে লাল টিপ- একদম শান্ত-স্নিগ্ধ একটি ছবি। তাতেও শান্তি নেই। এক নেটিজেন তাঁর ছবির কমেন্ট বক্সে লেখেন, ‘বুড়ি বুড়ি ভাব চলে আসলো’। জবাব নায়িকা পালটা লেখেন, ‘সারা জীবন তো ছুঁরি থাকা সম্ভব না দাদা। আপনি কি এখনও ডায়পার পরে ঘুরছেন?’
আরও এক নেটিজেন স্বস্তিকার বয়স নিয়ে বাঁকা কথা শোনান। লেখেন, ‘এই কাকি-টার ওপরেও নাকি লোক ক্রাশ খায়’। জবাবে স্বস্তিকা তাঁকে কাকু বলে সম্বোধন করে জানান-‘কি কাণ্ড দেখুন কাকু!’ সেই ছবির ক্যাপশনে স্বস্তিকা লিখেছিলেন, ‘এমনি’। যা অত্যধিক পরিমাণে ব্যবহার করেন তার টেক্কা কো-স্টার দেব। সুতরাং স্বস্তিকার ক্যাপশন দেখে উত্তেজিত দেব ভক্তরা।
একজন লেখেন, ‘শিরায় শিরায় রক্ত, স্বস্তিকা দি দেবদার ভক্ত’। কেউ লিখলেন, ‘দিদি তুমি দেবদার থেকে ক্যাপশনটা ধার করেছো?’ সব প্রশ্নেরই ইতিবাচক জবাব দিয়েছেন অভিনেত্রী।
ট্রলিং প্রসঙ্গ এর আগে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্বস্তিকা বলেছিলেন,‘বিশ্বব্যাপী এতো পরিবর্তনের মাঝে আমরা আশা করেছিলাম মানুষের ধ্যান ধারণার পরিবর্তন হয়েছে । হ্যাঁ,অবশ্যই হয়েছে তবে তা শুধুই নিম্নগামী বা নরকের পথে পরিবর্তন। আজ শুধু আমি কেন , যেকোনো মেয়ে যদি পুরুষের মতো মদের দোকানে যায়, শর্টস পরে, সিগারেট খায় সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্ন উঠবে। কিন্তু চুপ করে থাকার তো কোনো মানে নেই , প্রতিবাদ করতে হবে। না করলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থাকারও মানে নেই।’