চলমান বার্তা বিনোদন ডেস্ক :
কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে যে ক’জন শিক্ষক শুরুতেই রাজপথে নামেন তাদের মধ্যে অন্যতম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুল। ফলে অসহযোগ আন্দোলনে গণপ্রতিরোধের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
হাসিনার পদত্যাগের পর দেশ চালনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সঙ্গে রয়েছেন ১৭ জন উপদেষ্টা, যাদের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। স্বাভাবিকভাবেই আসিফ নজরুলের কাছে সাধারণ আগ্রহের বিষয়ে পরিণত হয়েছেন।
সেই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালে আসিফ নজরুলের একটি ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। সেই স্ট্যাটাসে আসিফ নজরুল লিখেছিলেন তার হাতে ক্ষমতা থাকলে দেশের উন্নয়নের জন্য তিনি কি কি পদক্ষেপ নিতেন।
সেই স্ট্যাটাসটি শেয়ার করেছেন আসিফ নজরুলের শাশুড়ি অভিনেত্রী নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন (প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের দ্বিতীয় স্ত্রী শাওন। আর ড. আসিফ নজরুল বিয়ে করেছেন হুমায়ূন আহমেদের প্রথম ঘরের সন্তান অভিনেত্রী শিলা আহমেদকে)।
এখন যেহেতু আসিফ নজরুলের হাতে ক্ষমতা এসেছে তাই তার সেই পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করার সময় এসেছে। তাই শাওন ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘এখন নিশ্চয় হবে। আশায় আছি।’ শাওনের পোস্ট দেখার পরও অনেক নেটিজেন সেই স্ট্যাটাস শেয়ার করতে থাকেন। সবার প্রত্যাশা আসিফ নজরুল যেন তার পূর্বের দেওয়া কথা রাখেন।
স্ট্যাটাসে আসিফ নজরুল লিখেছিলেন, ‘যদি ক্ষমতা থাকতো আইন করতাম:
বর্তমান বা সাবেক প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীগণ চিকিৎসা নিতে বিদেশে যেতে পারবেন না। ক্ষমতা, চাকুরী বা ব্যবসা কোনভাবেই তাদের সন্তানরা সরকারের সাথে সংশ্লিষ্ট হতে পারবেন না। সপ্তাহে অন্তত একদিন তাদের গনপরিবহনে চড়তে হবে। রাস্তায় চলাকালে তারা অন্য একটি যানবাহনও থামিয়ে রাখতে পারবেন না। বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে তারা অতি জরুরী ছাড়া কোন সফরসঙ্গী নিতে পারবেন না, এ বিষয়ে সংসদকে জানাতে হবে।
জনগণের টাকায় কোন কিছু উদ্বোধন বা জনগণকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে তাদের নিজেদের নাম ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হবে। তাদেরকে মহামান্য ও মাননীয় বলা নিষিদ্ধ হবে। তাদের ও তাদের পরিবারের দেশে বিদেশে সকল সম্পত্তি ও আয়ের বিবরণ জনগণকে জানাতে হবে। দূদকের একটি সম্পূর্ণ স্বাধীন ইউনিট শুধুমাত্র তাদের বিষয়ে নজর রাখবে।
অন্যান্য ক্ষেত্রেও আরো বহু কিছু করতাম। যারা লুটেরা, চোর আর সন্ত্রাসী – তাদের জীবন নরক বানিয়ে ছাড়তাম।
আরো পড়ুন : আমার নামে ফেসবুক কে ব্যবহার করছে, তা আমি জানি না: বিপাশা হায়াত