সরকার ‘সাধারণ মানুষ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের খুন করতে জঙ্গি-খুনিদের অবাধে সুযোগ দিয়েছে’ বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, ‘জঘন্য অপরাধীদের মদত যারা দিচ্ছে, তাদের বিচার একদিন বাংলার মাটিতে হবেই।’
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ফেসবুকে আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড পেজে আপলোড করা এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন জাহাঙ্গীর কবির নানক।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল’ করে হত্যা-অগ্নিসংযোগ-লুটপাট শুরু করেছেন বলে দাবি করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সাধারণ মানুষের জীবনের শান্তি-স্বস্তি কেড়ে নিয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য আকাশছোঁয়া। সেদিকে নজর না দিয়ে, আওয়ামী লীগ নিধনে নেমেছে সরকার।
এ ছাড়াও আসন্ন দুর্গাপূজার মূর্তি ভাঙচুর করে হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া হচ্ছে। থানা লুটপাটকারী ও অবৈধ অস্ত্রধারীদের ধরা হচ্ছে না, গ্রেফতারও করা হচ্ছে না। এই জঙ্গি সন্ত্রাসী খুনিদের অবাধে সাধারণ মানুষ ও আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের খুন করতে এক রকম সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এই জঘন্য অপরাধীদের মদত যারা দিচ্ছে তাদের বিচার একদিন বাংলার মাটিতে হবেই।
সারা দেশে এক ‘অকল্পনীয় দুঃশাসন’ চলছে দাবি করে নানক বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে চলছে চাঁদাবাজি মহোৎসব। দেশের প্রায় প্রতিটি উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর বিএনপি ও তাদের মিত্রদের অত্যাচার-নির্যাতনের পাশাপাশি এখন নতুন করে যুক্ত হয়েছে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার। ১৫ বছরের কিশোর থেকে ৯০ বছরের বৃদ্ধ; আওয়ামী লীগের কোনও নেতাকর্মী রেহাই পাচ্ছে না গ্রেফতার থেকে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের গলা কেটে হত্যা করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের, খুন, বাসাবাড়িতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করছে বিএনপি ও তার মিত্ররা। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক ঘটনা ঘটে যাচ্ছে কিন্তু অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোন মামলা হচ্ছে না গ্রেফতার করা হচ্ছে না। আমি এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
ঢাবিতে যুবক ও জাবিতে ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা: আইন হাতে তুলে না নিতে আহ্বান
দুর্গাপূজায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৮ নির্দেশনা