গণঅধিকার পরিষদের সাথে ইরানের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ১০.৩০ টায় ঢাকাস্থ ইরান দূতাবাসে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
গণঅধিকার পরিষদের ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদ খাঁন, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, সহ-সভাপতি ডাক্তার সাজ্জাদ হোসেন।
বৈঠকে ইরানের রাষ্ট্রদূত জনাব মানসুর চাভোশি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কনসুলার এন্ড ইকোনোমিক এফেয়ার্সের কর্মকর্তা মাহমুদ কোশরাভি।
গত ২ সেপ্টেম্বর গণঅধিকার পরিষদ নিবন্ধন পাওয়ায় ইরানের রাষ্ট্রদূত গণঅধিকার পরিষদকে শুভেচ্ছা জানান। বৈঠকে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী কিভাবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন করা হয় সে বিষয়ে আলোচনা হয়। ইরানের রাষ্ট্রদূত গণঅভ্যুত্থানের সাথে জড়িত তরুণদের শুভেচ্ছা জানান।
এবং তিনি বাংলাদেশের জনগণের সাথে ইরানের জনগণের সম্পর্ক ও ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাবেন বলে গণঅধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্ত করেন। ইরানের রাষ্ট্রদূত ৪১ বছর আগে ইরানের বিপ্লব ও বিপ্লব পরবর্তী ষড়যন্ত্র সম্পর্কে ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিপ্লবের সাথে ইরানের বিপ্লবের মিল রয়েছে। একই সাথে বিপ্লব পরবর্তী ইরানের মত ষড়যন্ত্র বাংলাদেশেও হতে পারে, এমন আশংকাও প্রকাশ করেন তিনি।
ইরান বাংলাদেশের সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে চায় এবং বাংলাদেশ থেকে চা আমদানি করতে চায়। বাংলাদেশের জনগণের রাষ্ট্র সংস্কারের প্রত্যাশা পূরণে ইরান বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবেন বলেও জানান রাষ্ট্রদূত জনাব মানসুর চাভোশি।
আরো পড়ুন :ট্রাক প্রতীক পেল ভিপি নুরের দল