জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুর জাতীয় সংসদে দেওয়া ভাষণের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। আজ শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে নিজের ফেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে ভাষণটি শেয়ার করেন তিনি।
ওই ভিডিওতে চুন্নুকে বলতে শোনা যায়, ‘২০১৪ সালে মাননীয় স্পিকার, আমার নেতা এরশাদ সাহেব নির্বাচন করবেন না। ডিক্লিয়ার করেছেন। বিএনপি করবে না, কোনো দল করবে না। সেদিন নির্বাচন না হয় তাহলে একটা মাননীয় স্পিকার, অগণতান্ত্রিক সরকার আসার সম্ভাবনা ছিল। সেদিন বেগম এরশাদের নেতৃত্বে আমরা কতিপয় জাতীয় পার্টির কতিপয় এমপি আমরা এমপি আমরা আমাদের নেতার সাথে নেতার কথা না শুনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে আমরা নির্বাচনে এসেছিলাম এবং সেদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাক্ষী, আমরা যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নির্বাচনের বিষয়ে কথা বলতে যায়, সেদিন এই আওয়ামী লীগের অনেক সিনিয়র নেতা আমাকে বলেছেন—এই চুন্নু, মাথা খারাপ হয়ে গেছে? মাথা খারাপ হয়ে গেছে? দেশের অবস্থা দেখ না? নির্বাচন কি হবে, সম্ভব? জান থাকবে, প্রাণ থাকবে? তোমরা কি নেত্রীরও মাথা নষ্ট, তোমারও মাথা নষ্ট! আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা, নাম বলতে পারব। বললাম, এটি বলেন কী! মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বললাম, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলে? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলছেন, নো, নির্বাচন হবে। আমরা একটা অন্য কাউকে আসবার সুযোগ দেব না। আমরা একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষা করতে চাই। তোমরা নির্বাচনে করো, নির্বাচন করলাম। আমাদেরকে তিনজন মন্ত্রী দেওয়া হলো। আমরা একসঙ্গেই সরকার গঠন করলাম, চললাম। ২০১৮ সালেও আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমরা জোট করলাম। নির্বাচন করলাম। আমরা কি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসার জন্য তিনবার-চারবার সমর্থন দিয়ে সাহায্য করি নাই? তাহলে কথা বলেন কেন?’
ওই ভিডিওটি শেয়ার করে হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের তথাকথিত সুশীল সমাজের অংশীজনেরা যা বলতেন তা শুনলে চব্বিশ সালে হাসিনার ফ্যাসিজমের উপসংহার রচিত হতো না। তারা এখন যা বলছেন, শুনলে বাংলাদেশের বিদ্যমান সমাজ কাঠামোর আমূল পরিবর্তন হবে না। সুশীলদের জাপা প্রীতির কারণ দেখেন।’
এর আগে গতকাল হাসনাত তার ফেসবুক আইডিতে লেখেন, ‘যেই পথে গেছে আপা, সেই পথে যাবে জাপা। নোট : কেয়ামতের সময়ের তওবা কবুল হয় না।’
আরো পড়ুন : ‘যেই পথে গেছে আপা, সেই পথে যাবে জাপা’