ঢাকা ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জুলাই আন্দোলন নিয়ে ৮ সিনেমা; নির্মাতা চূড়ান্ত বেশি সংস্কার না চাইলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন : প্রেস সচিব পুলিশে চাকরি পাচ্ছেন আন্দোলনে আহত ১০০ জন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ১৪৪ ধারা ভেঙে সচিবালয় ঘেরাওয়ের চেষ্টা, পুলিশের ধাওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকার কাজের তালিকা দিলেন উপদেষ্টা মাহফুজ সরকার গঠনের পর অভিযুক্ত কাউকে দেশত্যাগ করতে দেয়া হয়নি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ট্রুডো কেন হঠাৎ পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন? কে হতে যাচ্ছে তার উত্তরসূরি? গঠিত হচ্ছে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর’,  ইরানে হিজাব খুলে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের প্রতিবাদ শক্তিশালী ভূমিকম্পে তিব্বতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৩

ডাকসু হামলার সাথে জড়িতদের বিচার ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবি ভিপি নুরের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভবনে ২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর তৎকালীন ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর ও ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের উপর নৃশংস হামলা করে ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। ডাকসু হামলার সাথে জড়িতদের বিচার ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবিতে আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। রবিবার বিকাল  ডাকসু ভবনের সামনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী সাদ্দাম সঞ্জীতের নেতৃত্বে হামলা হয়েছিল। সেদিন ঢাবির প্রক্টর কে কল দিয়েও আমরা সহযোগিতা পায়নি, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের হামলা গুলোর পিছনে ঢাবির প্রক্টর গোলাম রব্বানী ছাত্রলীগের সহযোগিতা করতো। ঢাবির প্রক্টর শিক্ষক নামের কলংক একজন বিকৃত মনের মানুষ। ছাত্রলীগের সকল অপকর্মের দায় এই গোলাম রাব্বানী ও সাবেক ভিসি আখতারুজ্জামান কে নিতে হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গণরুমে শিক্ষার্থীরা মানবেতর জীবনযাপন করে। সেখানে পড়াশোনা করে কেউ কেউ বিসিএস ক্যাডার হয়। অথচ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের খাবারে এতো খারাপ,যে খাবার খেলে অসুস্থ হওয়ার আশংকা থাকে। এই বিশ্বিবদ্যালয়ে গবেষণা ও খাবারের ক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। সারাদেশে নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। আগামী দেশের নেতৃত্বে তরুণরাই নেতৃত্ব দিবে।

অন্তবর্তী কালীন সরকারকে আরো দুই বছর সময় দিতে হবে। দেশের সংস্কারের ক্ষেত্রে এই সরকার কে সহযোগিতা করতে হবে। হাসিনার পতন না ঘটলে তো আরও ৪ বছর থাকতো, তাই এই সরকার কে ২ বছর সময় দিলে তো ক্ষতি নাই। কোন কোন উপদেষ্টা ব্যর্থ হলে তাদের সমালোচনা করতে হবে, দরকার হলে তাদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করতে হবে কিন্তু দেশের সংস্কারের কাজ ও গণহত্যার বিচারগুলো, এই সরকারকেই করতে হবে। শুধু পুলিশের সংস্কার নয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, বিচারবিভাগ, নির্বাচন কমিশন, সশস্ত্রবাহিনীসহ সব ক্ষেত্রে সংস্কার লাগবে।
গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার সকল সেক্টরে তাদের দোসরদের বসিয়েছে।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদ খাঁন বলেন, শুধুমাত্র ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় এদেশীয় র এর এজেন্ট কুখ্যাত মাফিয়া সাদ্দাম ও সনজিতের নেতৃত্বে ডাকসুতে নারকীয় হামলা করে জঙ্গী সংগঠন ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। বিচারহীনতার ৫ বছর। আজও আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। সেসময় পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছিলো, কোন হামলা হয়নি, হালকা ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। ঐসময় শিক্ষক নামের কলঙ্ক প্রক্টর গোলাম রাব্বানীকে কল দিলে, সে বলে, বন্ধ ক্যাম্পাসে কেন এসেছি? তাকে বারবার কল দিলেও সে আমাদের বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি। সাবেক উপাচার্য আক্তারুজ্জামানেরও ইন্ধন ছিলো। এসব শিক্ষকদের চাকরিচ্যুত করতে হবে, যারা হামলা করেছে, এদের ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে। অবৈধভাবে যারা ডাকসুতে বিজয়ী হয়, তাদের ডাকসু পদ বাতিল করতে হবে এবং ডাকসু নির্বাচনের তদন্ত হতে হবে। যে ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের হত্যা, নির্যাতন করেছে, এদের নাম মুছে ফেলতে হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অবৈধভাবে অনেক শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে, ছাত্রীলীগের ক্যাডার প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনে চাকরি করে। এদের সবাইকে চাকরিচ্যুত করতে হবে।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাবি শাখার সভাপতি সানাউল্লাহ, সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম। আলোচনা সভায় সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ,অর্থনীতির শিক্ষক রাশাদ ফরিদী এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, ডাকসু হামলায় আহত ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, সাবেক ছাত্রনেতা আবু হানিফ,মাহফুজুর রহমান খান, মনজুর মোর্শেদ মামুন, বরিউল হাসান প্রমুখ।

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

ডাকসু হামলার সাথে জড়িতদের বিচার ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবি ভিপি নুরের

আপডেট সময় ০১:৩৪:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভবনে ২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর তৎকালীন ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর ও ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের উপর নৃশংস হামলা করে ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। ডাকসু হামলার সাথে জড়িতদের বিচার ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবিতে আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। রবিবার বিকাল  ডাকসু ভবনের সামনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী সাদ্দাম সঞ্জীতের নেতৃত্বে হামলা হয়েছিল। সেদিন ঢাবির প্রক্টর কে কল দিয়েও আমরা সহযোগিতা পায়নি, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের হামলা গুলোর পিছনে ঢাবির প্রক্টর গোলাম রব্বানী ছাত্রলীগের সহযোগিতা করতো। ঢাবির প্রক্টর শিক্ষক নামের কলংক একজন বিকৃত মনের মানুষ। ছাত্রলীগের সকল অপকর্মের দায় এই গোলাম রাব্বানী ও সাবেক ভিসি আখতারুজ্জামান কে নিতে হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গণরুমে শিক্ষার্থীরা মানবেতর জীবনযাপন করে। সেখানে পড়াশোনা করে কেউ কেউ বিসিএস ক্যাডার হয়। অথচ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের খাবারে এতো খারাপ,যে খাবার খেলে অসুস্থ হওয়ার আশংকা থাকে। এই বিশ্বিবদ্যালয়ে গবেষণা ও খাবারের ক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। সারাদেশে নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। আগামী দেশের নেতৃত্বে তরুণরাই নেতৃত্ব দিবে।

অন্তবর্তী কালীন সরকারকে আরো দুই বছর সময় দিতে হবে। দেশের সংস্কারের ক্ষেত্রে এই সরকার কে সহযোগিতা করতে হবে। হাসিনার পতন না ঘটলে তো আরও ৪ বছর থাকতো, তাই এই সরকার কে ২ বছর সময় দিলে তো ক্ষতি নাই। কোন কোন উপদেষ্টা ব্যর্থ হলে তাদের সমালোচনা করতে হবে, দরকার হলে তাদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করতে হবে কিন্তু দেশের সংস্কারের কাজ ও গণহত্যার বিচারগুলো, এই সরকারকেই করতে হবে। শুধু পুলিশের সংস্কার নয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, বিচারবিভাগ, নির্বাচন কমিশন, সশস্ত্রবাহিনীসহ সব ক্ষেত্রে সংস্কার লাগবে।
গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার সকল সেক্টরে তাদের দোসরদের বসিয়েছে।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদ খাঁন বলেন, শুধুমাত্র ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় এদেশীয় র এর এজেন্ট কুখ্যাত মাফিয়া সাদ্দাম ও সনজিতের নেতৃত্বে ডাকসুতে নারকীয় হামলা করে জঙ্গী সংগঠন ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। বিচারহীনতার ৫ বছর। আজও আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। সেসময় পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছিলো, কোন হামলা হয়নি, হালকা ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। ঐসময় শিক্ষক নামের কলঙ্ক প্রক্টর গোলাম রাব্বানীকে কল দিলে, সে বলে, বন্ধ ক্যাম্পাসে কেন এসেছি? তাকে বারবার কল দিলেও সে আমাদের বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি। সাবেক উপাচার্য আক্তারুজ্জামানেরও ইন্ধন ছিলো। এসব শিক্ষকদের চাকরিচ্যুত করতে হবে, যারা হামলা করেছে, এদের ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে। অবৈধভাবে যারা ডাকসুতে বিজয়ী হয়, তাদের ডাকসু পদ বাতিল করতে হবে এবং ডাকসু নির্বাচনের তদন্ত হতে হবে। যে ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের হত্যা, নির্যাতন করেছে, এদের নাম মুছে ফেলতে হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অবৈধভাবে অনেক শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে, ছাত্রীলীগের ক্যাডার প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনে চাকরি করে। এদের সবাইকে চাকরিচ্যুত করতে হবে।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাবি শাখার সভাপতি সানাউল্লাহ, সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম। আলোচনা সভায় সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ,অর্থনীতির শিক্ষক রাশাদ ফরিদী এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, ডাকসু হামলায় আহত ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, সাবেক ছাত্রনেতা আবু হানিফ,মাহফুজুর রহমান খান, মনজুর মোর্শেদ মামুন, বরিউল হাসান প্রমুখ।