ঢাকা ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে যুগপৎ সঙ্গীদের সাথে আলোচনায় বিএনপি হামজার পর এবার আসছেন কানাডার সামিত সকল প্রকার অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের আহ্বান উপদেষ্টা আসিফের সরকারের মূল উদ্দেশ্য শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের কাছেও হার বাংলাদেশের; কঠিন সমীকরণে বিশ্বকাপ ভাগ্য পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা হাসিনাসহ ১২ জনের নামে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন মুসলিম সংখ্যলঘুদের নিয়ে বাংলাদেশের বক্তব্য ভারতের প্রত্যাখ্যান সংস্কার ও শেখ হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন নয় : গোলাম পরওয়ার

দুর্নীতির অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি জয়ের

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র ও উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এক ফেসবুক পোষ্টে তার ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছেন।

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পাতায় দেয়া এক পোষ্টে সজীব ওয়াজেদ জয় লিখেছেন “আমার এবং আমার পরিবারের বিরুদ্ধে করা দুর্নীতির অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।”

“আমরা কখনোই কোনও সরকারি প্রকল্পে জড়িত ছিলাম না বা এর থেকে অর্থ উপার্জন করিনি” দাবি করেছেন শেখ হাসিনার পুত্র ও উপদেষ্টা।

সম্প্রতি শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকে ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাৎ করেছেন– এমন অভিযোগের তদন্ত শুরু করছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক।

এছাড়া জয়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে অর্থ পাচারের অভিযোগও উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে ৩০ কোটি ডলার বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন মার্কিন ব্যাংকে স্থানান্তরের প্রমাণ পাওয়ার কথা বলা হয়েছে।

ফেসবুক পোষ্টে সজীব ওয়াজেদ জয় আরো লিখেছেন, “আমি যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ বছর ধরে বসবাস করছি এবং আমার খালা ও কাজিনরা যুক্তরাজ্যে প্রায় একই সময় ধরে বসবাস করছেন। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের এই দুই দেশে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। আমাদের কোনো অফশোর অ্যাকাউন্ট নেই।”

“যে পরিমাণ টাকার দাবি করা হচ্ছে, তার ধারে কাছেও আমরা কখনো যাইনি” দাবি করে তিনি আরও বলেন, “১০ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প থেকে বিলিয়ন ডলার সরানো সম্ভব নয়।”

“আমরা লেনদেন এর সাথে ‘সম্পৃক্ত’ বলে দাবি করাটা একটি মিথ্যা অভিযোগ। আমি দুর্নীতি দমন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ করছি, এই তথাকথিত লেনদেন প্রকাশ করতে এবং প্রমাণ করতে যে আমরা এসব অনিয়মে জড়িত,” বলেন তিনি।

সবশেষে তিনি এও বলেন, “অবৈধ ইউনুস সরকার এবং তাদের সন্ত্রাসী ছাত্র সমন্বয়করা দেশ চালানোর ব্যর্থতা, আইনের শাসনের অভাব, অর্থনৈতিক পতন, মানবাধিকার লঙ্ঘন, গণতন্ত্রের সংকট এবং রাজনৈতিক দমন-পীড়ন থেকে জনগণের দৃষ্টি সরানোর চেষ্টা করছে।”

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

দুর্নীতির অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি জয়ের

আপডেট সময় ১২:৪২:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র ও উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এক ফেসবুক পোষ্টে তার ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছেন।

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পাতায় দেয়া এক পোষ্টে সজীব ওয়াজেদ জয় লিখেছেন “আমার এবং আমার পরিবারের বিরুদ্ধে করা দুর্নীতির অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।”

“আমরা কখনোই কোনও সরকারি প্রকল্পে জড়িত ছিলাম না বা এর থেকে অর্থ উপার্জন করিনি” দাবি করেছেন শেখ হাসিনার পুত্র ও উপদেষ্টা।

সম্প্রতি শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকে ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাৎ করেছেন– এমন অভিযোগের তদন্ত শুরু করছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক।

এছাড়া জয়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে অর্থ পাচারের অভিযোগও উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে ৩০ কোটি ডলার বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন মার্কিন ব্যাংকে স্থানান্তরের প্রমাণ পাওয়ার কথা বলা হয়েছে।

ফেসবুক পোষ্টে সজীব ওয়াজেদ জয় আরো লিখেছেন, “আমি যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ বছর ধরে বসবাস করছি এবং আমার খালা ও কাজিনরা যুক্তরাজ্যে প্রায় একই সময় ধরে বসবাস করছেন। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের এই দুই দেশে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। আমাদের কোনো অফশোর অ্যাকাউন্ট নেই।”

“যে পরিমাণ টাকার দাবি করা হচ্ছে, তার ধারে কাছেও আমরা কখনো যাইনি” দাবি করে তিনি আরও বলেন, “১০ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প থেকে বিলিয়ন ডলার সরানো সম্ভব নয়।”

“আমরা লেনদেন এর সাথে ‘সম্পৃক্ত’ বলে দাবি করাটা একটি মিথ্যা অভিযোগ। আমি দুর্নীতি দমন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ করছি, এই তথাকথিত লেনদেন প্রকাশ করতে এবং প্রমাণ করতে যে আমরা এসব অনিয়মে জড়িত,” বলেন তিনি।

সবশেষে তিনি এও বলেন, “অবৈধ ইউনুস সরকার এবং তাদের সন্ত্রাসী ছাত্র সমন্বয়করা দেশ চালানোর ব্যর্থতা, আইনের শাসনের অভাব, অর্থনৈতিক পতন, মানবাধিকার লঙ্ঘন, গণতন্ত্রের সংকট এবং রাজনৈতিক দমন-পীড়ন থেকে জনগণের দৃষ্টি সরানোর চেষ্টা করছে।”