কয়েকদিন ধরেই মুখোমুখি অবস্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী ও জাতীয় পার্টির সদস্যরা।ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলার অভিযোগে গেল বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
ফলে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় আজ শনিবার সমাবেশ করার ঘোষণা দিলেও পুলিশের নিষেধাজ্ঞায় বিক্ষোভ-মিছিল ও সমাবেশ স্থগিত করেছে জাতীয় পার্টি।
যে কারণে আজ সকাল থেকেই বিজয়নগর জাতীয় পার্টির অফিসের সামনে কোনো নেতাকর্মীর দেখা মেলেনি। পার্টি অফিসের সামনে রয়েছে শুধু পুলিশের কড়া নিরাপত্তা ও উৎসুক মানুষের আনাগোনা।
শনিবার (২ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে বিজয়নগর জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে গিয়ে এমন চিত্রই দেখা গেছে। আগুন দেওয়া ভবনটি খালি পড়ে আছে। উৎসুক জনতা ভবনটির সামনে দিয়ে যাচ্ছেন আর নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছেন, কেউ কেউ আবার ছবিও তুলে রাখছেন। পার্টি অফিসের সামনে রয়েছে পুলিশের কড়া নিরাপত্তা। লোকজন ভিড় জমালেই সরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ।
এদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে রাজধানীর পাইওনিয়ার রোড ও কাকরাইলসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় যেকোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যে কারণে এসব পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
এদিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, পাইওনিয়ার রোডস্থ ৬৬ নং ভবন, কাকরাইলসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় যেকোনো প্রকার সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করায় জাতীয় পার্টি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তী কর্মসূচি জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।
হাসিনা পরিবারের কারও রাজনীতিতে ফেরার সম্ভাবনা নেই: তাজউদ্দীনকন্যা শারমিন