শেখ হাসিনা এবং পরিবহন সেক্টর নিয়ন্ত্রণকারী তার দোসররা পালিয়ে যাওয়ার পর নতুন মাফিয়ারা এই সেক্টর দখল করেছে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। তিনি আরো বলেন, আমরা সরকারকে বলতে চাই—রাষ্ট্র পরিচালনা এনজিও পরিচালনা নয়। রাষ্ট্র পরিচালনা রাজনৈতিক সংগঠনের পার্ট। এখানে রাষ্ট্র পরিচালনায় রাজনৈতিক প্লেয়ারদের দরকার। দক্ষ-অভিজ্ঞ প্লেয়ারদের নিয়ে আপনাদের রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে গণপরিবহন সংস্কার জাতীয় কমিটির উদ্যোগে ‘সড়ক পরিবহনে চাঁদাবাজি ও নৈরাজ্য বন্ধ এবং প্রকৃত মালিক-শ্রমিকের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
নুরুল হক নুর বলেন, সয়াবিন তেলের দাম এক লাফে ৮ বাড়িয়ে দিয়েছে। সয়াবিন তেলের বড় দুই আমদানিকারক এস আলম ও বসুন্ধরার উইকেট পড়ে গেছে। এস আলম দেশ থেকে পালিয়েছে, আর বসুন্ধরার ভূমিদস্যু মাফিয়াদের বিরুদ্ধে দুদক থেকে শুরু করে মানি লন্ডারিং ইউনিট, বাংলাদেশ ব্যাংক তদন্ত করছে। কাজেই এই মাফিয়ারা বাজারে কিছুটা সংকট তৈরি করেছে। খুচরা বিক্রেতারাও তেল লুকিয়েছে—তাই বাজারে একটা ক্রাইসিস তৈরি হয়েছে। কিন্তু এই সময়ে বাজার থেকে মাল সরিয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করবে, এই দুঃসাহস কারও দেখানোর কথা না। আপনারা (সরকার) যদি সিন্ডিকেটের কাছে নতি স্বীকার করেন, তাহলে আপনাদের আরও পস্তাতে হবে।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, বিএনপি-জামায়াতসহ সব রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ বারবার বলছে, রাষ্ট্র গঠনের এই সুযোগকে আর ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। যেভাবে হোক এই সরকারকে সফল করতে হবে। জনগণের আকাঙ্ক্ষা এই সরকারকে দিয়ে পূরণ করতে হবে। নির্বাচনের জন্য চাপাচাপি বন্ধ করতে হবে। শেখ হাসিনার সরকারকে যদি হঠাতে না পারতাম, তাহলে সে ক্ষমতায় থাকতো না? এই সরকার যদি দুই বছর থাকে, দেখেন না তারা দুই বছরে কী করতে পারে। আগেই নির্বাচনের জন্য অস্থির, নানা ধরনের কথাবার্তা বলে সরকারের অনেকের মনোবল দুর্বল করে দেওয়া হচ্ছে।
গণপরিবহন সংস্কার জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসময় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও সেক্রেটারি ড. মু. শফিকুল ইসলাম মাসুদসহ আয়োজক সংগঠনের নেতারা।