দীর্ঘ আড়াই মাস পর বন্দরনগরীতে প্রকাশ্যে এসেছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন জামালখান এলাকায় দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে ২০ থেকে ৩০ জন লোক সড়কে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন।
এদিকে, আওয়ামী লীগের মধ্যরাতে মিছিল করার প্রতিবাদে আজ (শনিবার) বিকেল ৩টায় সভা ডেকেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মধ্যরাতে আওয়ামী লীগের মিছিলটিতে অংশ নেওয়া বেশির ভাগই তরুণ। তারা জামালখান মোড় এলাকায় ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ এবং ‘শেখ হাসিনার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। এদের কারও কারও হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। তবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মিছিলের তিনটি ভিডিও শুক্রবার রাতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আওয়ামী লীগের ভেরিফাইড পেজ থেকে শেয়ার করে লেখা হয়, ‘চট্টগ্রামে জয় বাংলা স্লোগানে প্রকম্পিত রাজপথ। অন্যায়, অত্যাচার, নির্যাতন করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের দমিয়ে রাখা যায় না।’
এ প্রসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ জানান, পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে এ কর্মসূচি পালনের দুঃসাহস দেখিয়েছে আওয়ামী লীগ। কারণ অস্ত্র হাতে ছাত্র-জনতার ওপর হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছে এরকম সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
তিনি বলেন, ‘খুনি হাসিনার পুনর্বাসনের জন্য শহীদের রক্তে রঞ্জিত রাজপথে স্লোগান দেওয়ার প্রতিবাদে আজ শনিবার বিকাল ৩টায় জামালখানে বিক্ষোভ সমাবেশ ডাকা হয়েছে।’ এতে দলমত নির্বিশেষে সকল ছাত্র-জনতার উপস্থিত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রথমবারের মতো মধ্যরাতে চট্টগ্রামে মিছিল বের করেছে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের দোসরদের প্রশাসনে রেখে রাষ্ট্র সংস্কার সম্ভব না: রিজভী
আওয়ামী লীগ ছাড়া জাতীয় নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হবে না : বদিউল আলম মজুমদার