ঢাকা ০৯:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কেন ‘পদত্যাগের ভাবনা’য় অধ্যাপক ইউনূস

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এক সংকটময় পরিস্থিতিতে উপনীত হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের আলোচনা সামনে আসায় এ সরকারের ভবিষ্যত নিয়েই অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু অধ্যাপক ইউনূসকে কেন পদত্যাগের চিন্তা করতে হচ্ছে, সক্রিয় সব রাজনৈতিক দলের সমর্থনে গঠিত এই সরকারকে কেন এমন সংকটে পড়তে হলো-এসব প্রশ্ন এখন সব মহলে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে।

এ ঘটনা এমন সময়ে ঘটছে যখন বিএনপি রাজপথে কর্মসূচি রেখেছে এবং এ সরকারের প্রতি তাদের সমর্থন আর অব্যাহত না রাখার ইঙ্গিতও দিচ্ছে। অন্যদিকে, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান গত বুধবার বাহিনীর কর্মকর্তাদের নিয়ে এক বৈঠকে নির্বাচন, রাখাইনের জন্য মানবিক করিডর প্রসঙ্গ এবং মব বা দলবদ্ধ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির বিষয়সহ সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন। যা সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশ হয়েছে।

এমন এক পটভূমিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস গতকাল বৃহস্পতিবার অন্য উপদেষ্টাদের সঙ্গে এক অনির্ধারিত বৈঠকে তার পদত্যাগের ভাবনার কথা বলেছেন। সে ক্ষেত্রে নানা পক্ষের প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর অসহযোগিতায় তার সরকার কাজ করতে পারছে না বলে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

রাজনৈতিক দলগুলো পরিস্থিতিটাকে নানাভাবে বিশ্লেষণ করছে। বিএনপি বলছে, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ও তিনজন উপদেষ্টার পদত্যাগের তাদের দাবি এড়াতে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের ভাবনার কথা সামনে আনা হয়েছে।

বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের নেতারা এ-ও বলছেন, সরকারের দূর্বলতার কারণে পরিস্থিতি সামলাতে যখন ব্যর্থতার প্রশ্ন আসছে, তখন পদত্যাগের এই ভাবনার কথা রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি এক ধরনের হুমকি বা সতর্কতা বলে তারা মনে করছেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের শাসনের পতনের পর অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত এই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সেই আন্দোলনের ছাত্র নেতৃত্ব, বিএনপি ও জামায়াতসহ সব দল এবং সেনাবাহিনীসহ রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান সর্বাত্নক সমর্থন দিয়েছিল। এতবড় সমর্থন পাওয়ার পরও সেই সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ কেন আসছে, এমন প্রশ্ন তুলছেন রাজনীতিক ও বিশ্লেষকেরা।

তারা বলছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ছাত্র নেতৃত্বের প্রতি অধ্যাপক ইউনূসের দুর্বলতা রয়েছে; যা তিনি নিজে বিভিন্ন সময় প্রকাশও করেছেন। সেই ছাত্র নেতৃত্ব যখন রাজনৈতিক দল এনসিপি গঠন করল, এই দলের প্রতিও তার পক্ষপাতিত্ব রাজনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রকাশ পেয়েছে। যা বিএনপিকে ক্ষুব্ধ করেছে।

যদিও উপদেষ্টা পরিষদে থাকা ছাত্র প্রতিনিধিদের একজন পদত্যাগ করে দলটির হাল ধরেছেন। কিন্তু আরও দুজন ছাত্র প্রতিনিধি উপদেষ্টা পদে রয়ে গেছেন। তাদের পদত্যাগের দাবিতে এখন রাজপথে কর্মসূচি রেখেছে বিএনপি।সরকারের গত নয় মাসে প্রথম দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং পরে এনসিপির ব্যানারে বিভিন্ন ইস্যু তুলে রাজপথে অবস্থানসহ নানা কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেছে।

সর্বশেষ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভনের সামনেও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে সরকার দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। বিএনপি বিভিন্ন সময় সরকারের বিরুদ্ধে এনসিপির প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছে। এথন তারা সেই অভিযোগকে সামনে এনেছে।

অন্যদিকে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মব বা দলবদ্ধ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির বিষয়টি আলোচিত। বিশ্লেষকেরা বলছেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে মব সৃষ্টি করে রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দাবি তুলে তা আদায়ের চেষ্টাও করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সরকারের দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা বা সমর্থনের বিষয়ও বিভিন্ন সময় আলোচনায় এসেছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ যেমন রয়েছে। অন্যদিকে, রাজনৈতিক দলগুলোর অস্হযোগিতার বিষয়ও আলোচনায় আসছে।

বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি, এই তিনটি দলের এখন প্রভাব রয়েছে। তিনটি দলের মধ্যে সম্পর্ক টানাপোড়েন বেড়েছে। ফলে রাজনীতিতে বিভক্তি দেখা যাচ্ছে। সরকারের দিক থেকেও করিডর ইস্যুসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিএনপিসহ দলগুলো ও অন্য অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। ফলে বিএনপি ও অন্য গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনরা ক্ষুব্ধ হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার রাজনৈতিক পরিস্থিতি সামলানোর ক্ষেত্রে দক্ষতার ঘাটতি আছে। সবমিলিয়ে সরকার কাজ করতে পারছে না। আর সেকারণে সরকারের জন্য সংকট গভীর হয়েছে বা সরকার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

দলগুলো পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং সতর্কতা অবলম্বন করছে বলে মনে হচ্ছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের ভাবনাকে তার আবেগের বিষয় হিসেবে বর্ণনা করছে বিএনপি। তবে দলগুলোকে বেশ সতর্ক মনে হয়েছে। নেতারা বিভিন্ন বক্তব্য তুলে ধরলেও দলগুলো দলগতভাবে কোনো বক্তব্য এখনো দেয়নি।

অধ্যাপক ইউনূস চলে যেতে পারেন অথবা দলগুলোসহ অংশীজনদের আস্থায় এনে নির্বাচনের দিকে যেতে পারেন, এই দুটি পথ খোলা রয়েছে। সরকার এখন নির্বাচনমুখী হলে বিএনপিসহ দলগুলো আবারও সহযোগিতা বাড়াবে এবং সংকট থেকেউত্তরণ সম্ভব বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

দল নিষিদ্ধের প্রভাব পড়তে পারে ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

রাণীশংকৈলে ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

কেন ‘পদত্যাগের ভাবনা’য় অধ্যাপক ইউনূস

আপডেট সময় ০৬:১২:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এক সংকটময় পরিস্থিতিতে উপনীত হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের আলোচনা সামনে আসায় এ সরকারের ভবিষ্যত নিয়েই অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু অধ্যাপক ইউনূসকে কেন পদত্যাগের চিন্তা করতে হচ্ছে, সক্রিয় সব রাজনৈতিক দলের সমর্থনে গঠিত এই সরকারকে কেন এমন সংকটে পড়তে হলো-এসব প্রশ্ন এখন সব মহলে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে।

এ ঘটনা এমন সময়ে ঘটছে যখন বিএনপি রাজপথে কর্মসূচি রেখেছে এবং এ সরকারের প্রতি তাদের সমর্থন আর অব্যাহত না রাখার ইঙ্গিতও দিচ্ছে। অন্যদিকে, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান গত বুধবার বাহিনীর কর্মকর্তাদের নিয়ে এক বৈঠকে নির্বাচন, রাখাইনের জন্য মানবিক করিডর প্রসঙ্গ এবং মব বা দলবদ্ধ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির বিষয়সহ সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন। যা সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশ হয়েছে।

এমন এক পটভূমিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস গতকাল বৃহস্পতিবার অন্য উপদেষ্টাদের সঙ্গে এক অনির্ধারিত বৈঠকে তার পদত্যাগের ভাবনার কথা বলেছেন। সে ক্ষেত্রে নানা পক্ষের প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর অসহযোগিতায় তার সরকার কাজ করতে পারছে না বলে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

রাজনৈতিক দলগুলো পরিস্থিতিটাকে নানাভাবে বিশ্লেষণ করছে। বিএনপি বলছে, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ও তিনজন উপদেষ্টার পদত্যাগের তাদের দাবি এড়াতে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের ভাবনার কথা সামনে আনা হয়েছে।

বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের নেতারা এ-ও বলছেন, সরকারের দূর্বলতার কারণে পরিস্থিতি সামলাতে যখন ব্যর্থতার প্রশ্ন আসছে, তখন পদত্যাগের এই ভাবনার কথা রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি এক ধরনের হুমকি বা সতর্কতা বলে তারা মনে করছেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের শাসনের পতনের পর অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত এই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সেই আন্দোলনের ছাত্র নেতৃত্ব, বিএনপি ও জামায়াতসহ সব দল এবং সেনাবাহিনীসহ রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান সর্বাত্নক সমর্থন দিয়েছিল। এতবড় সমর্থন পাওয়ার পরও সেই সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ কেন আসছে, এমন প্রশ্ন তুলছেন রাজনীতিক ও বিশ্লেষকেরা।

তারা বলছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ছাত্র নেতৃত্বের প্রতি অধ্যাপক ইউনূসের দুর্বলতা রয়েছে; যা তিনি নিজে বিভিন্ন সময় প্রকাশও করেছেন। সেই ছাত্র নেতৃত্ব যখন রাজনৈতিক দল এনসিপি গঠন করল, এই দলের প্রতিও তার পক্ষপাতিত্ব রাজনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রকাশ পেয়েছে। যা বিএনপিকে ক্ষুব্ধ করেছে।

যদিও উপদেষ্টা পরিষদে থাকা ছাত্র প্রতিনিধিদের একজন পদত্যাগ করে দলটির হাল ধরেছেন। কিন্তু আরও দুজন ছাত্র প্রতিনিধি উপদেষ্টা পদে রয়ে গেছেন। তাদের পদত্যাগের দাবিতে এখন রাজপথে কর্মসূচি রেখেছে বিএনপি।সরকারের গত নয় মাসে প্রথম দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং পরে এনসিপির ব্যানারে বিভিন্ন ইস্যু তুলে রাজপথে অবস্থানসহ নানা কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেছে।

সর্বশেষ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভনের সামনেও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে সরকার দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। বিএনপি বিভিন্ন সময় সরকারের বিরুদ্ধে এনসিপির প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছে। এথন তারা সেই অভিযোগকে সামনে এনেছে।

অন্যদিকে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মব বা দলবদ্ধ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির বিষয়টি আলোচিত। বিশ্লেষকেরা বলছেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে মব সৃষ্টি করে রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দাবি তুলে তা আদায়ের চেষ্টাও করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সরকারের দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা বা সমর্থনের বিষয়ও বিভিন্ন সময় আলোচনায় এসেছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ যেমন রয়েছে। অন্যদিকে, রাজনৈতিক দলগুলোর অস্হযোগিতার বিষয়ও আলোচনায় আসছে।

বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি, এই তিনটি দলের এখন প্রভাব রয়েছে। তিনটি দলের মধ্যে সম্পর্ক টানাপোড়েন বেড়েছে। ফলে রাজনীতিতে বিভক্তি দেখা যাচ্ছে। সরকারের দিক থেকেও করিডর ইস্যুসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিএনপিসহ দলগুলো ও অন্য অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। ফলে বিএনপি ও অন্য গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনরা ক্ষুব্ধ হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার রাজনৈতিক পরিস্থিতি সামলানোর ক্ষেত্রে দক্ষতার ঘাটতি আছে। সবমিলিয়ে সরকার কাজ করতে পারছে না। আর সেকারণে সরকারের জন্য সংকট গভীর হয়েছে বা সরকার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

দলগুলো পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং সতর্কতা অবলম্বন করছে বলে মনে হচ্ছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের ভাবনাকে তার আবেগের বিষয় হিসেবে বর্ণনা করছে বিএনপি। তবে দলগুলোকে বেশ সতর্ক মনে হয়েছে। নেতারা বিভিন্ন বক্তব্য তুলে ধরলেও দলগুলো দলগতভাবে কোনো বক্তব্য এখনো দেয়নি।

অধ্যাপক ইউনূস চলে যেতে পারেন অথবা দলগুলোসহ অংশীজনদের আস্থায় এনে নির্বাচনের দিকে যেতে পারেন, এই দুটি পথ খোলা রয়েছে। সরকার এখন নির্বাচনমুখী হলে বিএনপিসহ দলগুলো আবারও সহযোগিতা বাড়াবে এবং সংকট থেকেউত্তরণ সম্ভব বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

দল নিষিদ্ধের প্রভাব পড়তে পারে ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে