ঢাকা ১১:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে যুগপৎ সঙ্গীদের সাথে আলোচনায় বিএনপি হামজার পর এবার আসছেন কানাডার সামিত সকল প্রকার অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের আহ্বান উপদেষ্টা আসিফের সরকারের মূল উদ্দেশ্য শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের কাছেও হার বাংলাদেশের; কঠিন সমীকরণে বিশ্বকাপ ভাগ্য পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা হাসিনাসহ ১২ জনের নামে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন মুসলিম সংখ্যলঘুদের নিয়ে বাংলাদেশের বক্তব্য ভারতের প্রত্যাখ্যান সংস্কার ও শেখ হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন নয় : গোলাম পরওয়ার

মৃত্যুর সাত ঘন্টা পর জীবিত হলেন শাহিনা বেগম

মোংলায় মৃত্যুর খবর প্রচারের ৭ ঘন্টা পর হঠাৎ এক নারী জীবিত হয়ে ওঠার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার রাত ২টার দিকে মৃতুর খবর হলে ভোরে মসজিদে মাইকিং করা হয়। সকাল ৮টার দিকে স্থানীয় লোকজন তার বাড়িতে গিয়ে জানতে পারে সে জীবিত। মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের দক্ষিন হলদিবুনিয়া এলাকায় এমন ঘটনা ঘটে। এঘটনা নিয়ে এলাকার মানুষের মাঝে কৌতুহলের ঝড় উঠেছে।

প্রত্যাক্ষদর্শী ও সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, মোংলা উপজেলার দক্ষিন হলদিবুনিয়া এলাকায় দীর্ঘদিন থেকেই বসবাস করে আসছেন জলিল শেখ ও শাহিনা বেগম দম্পত্তি। কিছু দিন আগে শাহিনা বেগম শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের পক্ষ থেকে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বেশ কয়েকটি হাসপাালে চিকিৎসাও করানো হয় তাকে।

কিন্ত এতে সে সুস্থ না হলে বেশ কয়েকদিন যাবত শয্যাসায়ী হয়ে থাকে শাহিনা বেগম। বুধবার রাতে ২টার দিকে তার কোন সারাশব্দ বা নড়াচড়া না থাকায় পরিবারের লোকজন তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানায়। ভোরে স্থানীয় কয়েকটি জামে মসজিদে মৃত্যুর খবরে মাইকিংও করানো হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। এছাড়া গোসল, জানাজা ও দাফনের সকল সরঞ্জামাদীও প্রস্তুত করেন পরিবারের স্বজনরা। পাশে বসে কোনআন পাঠও করেন অনেকে।

শাহিনা বেগমের মৃত্যুর খবর স্থানীয়দের কাছে ছড়িয়ে পরলে শেষ বারেরমতো একনজর দেখার জন্য ছুটে যান প্রতিবেশীরা। সকাল ৮টার দিকে হঠাৎ জীবিত হয়ে উঠে সে। এই দৃশ্য দেখে হতবাগ সবাই। মুহুর্তের মধ্যে মৃত ব্যাক্তি জীবিত হওয়ার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পরলে সাধারন মানুষের মাঝে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। মানুষ তার বাড়িতে ভিড় জমায় একনজর দেখার জন্য। তবে মৃত্যুর মতো এমন খবর সঠিক না জেনে প্রচার করা ঠিক হয়নী বলে জানায় স্থানীয়রা।

চিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী আকবার হোসেন বলেন, এলাকার চৌকিদারের মাধ্যমে বড় বাড়ির  নাীর মৃত্যুর খবর আসে। এছাড়া মৃতু ব্যাক্তিকে গোসল ও দাফন করানোর প্রস্তুত নেয়া হয়েছিল। তবে ব্যস্থতার কারনে ওই সময় তার বাড়িতে দেখতে যেতে না পারলেও সকালে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত নেয় সে। কিন্ত সকাল ৮টার দিকে জানতে পারে সে মৃত্যুবরণ করেনি, জীবিত আছে। তবে শাহিনা বেগমের মৃত্যুর খবর প্রচারের পর পুনরায় জীবিত খবর হওয়ায় এলাকার মানুষের মাঝে ভয় ও আতংঙ্ক ছড়িয়ে পরে।

মৃতুর খবর প্রচারের পর জীবিত হওয়া শাহিনা বেগম ৪ সন্তানের জননী। সে মিঠাখালী সাহেবের মেঠ এলাকার আমির গাজীর মেয়ে।

আরো পড়ুন : মোংলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তার টাকার মেশিন ছিলেন মহারাজ

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

মৃত্যুর সাত ঘন্টা পর জীবিত হলেন শাহিনা বেগম

আপডেট সময় ০৮:৫৫:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

মোংলায় মৃত্যুর খবর প্রচারের ৭ ঘন্টা পর হঠাৎ এক নারী জীবিত হয়ে ওঠার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার রাত ২টার দিকে মৃতুর খবর হলে ভোরে মসজিদে মাইকিং করা হয়। সকাল ৮টার দিকে স্থানীয় লোকজন তার বাড়িতে গিয়ে জানতে পারে সে জীবিত। মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের দক্ষিন হলদিবুনিয়া এলাকায় এমন ঘটনা ঘটে। এঘটনা নিয়ে এলাকার মানুষের মাঝে কৌতুহলের ঝড় উঠেছে।

প্রত্যাক্ষদর্শী ও সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, মোংলা উপজেলার দক্ষিন হলদিবুনিয়া এলাকায় দীর্ঘদিন থেকেই বসবাস করে আসছেন জলিল শেখ ও শাহিনা বেগম দম্পত্তি। কিছু দিন আগে শাহিনা বেগম শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের পক্ষ থেকে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বেশ কয়েকটি হাসপাালে চিকিৎসাও করানো হয় তাকে।

কিন্ত এতে সে সুস্থ না হলে বেশ কয়েকদিন যাবত শয্যাসায়ী হয়ে থাকে শাহিনা বেগম। বুধবার রাতে ২টার দিকে তার কোন সারাশব্দ বা নড়াচড়া না থাকায় পরিবারের লোকজন তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানায়। ভোরে স্থানীয় কয়েকটি জামে মসজিদে মৃত্যুর খবরে মাইকিংও করানো হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। এছাড়া গোসল, জানাজা ও দাফনের সকল সরঞ্জামাদীও প্রস্তুত করেন পরিবারের স্বজনরা। পাশে বসে কোনআন পাঠও করেন অনেকে।

শাহিনা বেগমের মৃত্যুর খবর স্থানীয়দের কাছে ছড়িয়ে পরলে শেষ বারেরমতো একনজর দেখার জন্য ছুটে যান প্রতিবেশীরা। সকাল ৮টার দিকে হঠাৎ জীবিত হয়ে উঠে সে। এই দৃশ্য দেখে হতবাগ সবাই। মুহুর্তের মধ্যে মৃত ব্যাক্তি জীবিত হওয়ার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পরলে সাধারন মানুষের মাঝে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। মানুষ তার বাড়িতে ভিড় জমায় একনজর দেখার জন্য। তবে মৃত্যুর মতো এমন খবর সঠিক না জেনে প্রচার করা ঠিক হয়নী বলে জানায় স্থানীয়রা।

চিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী আকবার হোসেন বলেন, এলাকার চৌকিদারের মাধ্যমে বড় বাড়ির  নাীর মৃত্যুর খবর আসে। এছাড়া মৃতু ব্যাক্তিকে গোসল ও দাফন করানোর প্রস্তুত নেয়া হয়েছিল। তবে ব্যস্থতার কারনে ওই সময় তার বাড়িতে দেখতে যেতে না পারলেও সকালে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত নেয় সে। কিন্ত সকাল ৮টার দিকে জানতে পারে সে মৃত্যুবরণ করেনি, জীবিত আছে। তবে শাহিনা বেগমের মৃত্যুর খবর প্রচারের পর পুনরায় জীবিত খবর হওয়ায় এলাকার মানুষের মাঝে ভয় ও আতংঙ্ক ছড়িয়ে পরে।

মৃতুর খবর প্রচারের পর জীবিত হওয়া শাহিনা বেগম ৪ সন্তানের জননী। সে মিঠাখালী সাহেবের মেঠ এলাকার আমির গাজীর মেয়ে।

আরো পড়ুন : মোংলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তার টাকার মেশিন ছিলেন মহারাজ