ঢাকা ১১:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে যুগপৎ সঙ্গীদের সাথে আলোচনায় বিএনপি হামজার পর এবার আসছেন কানাডার সামিত সকল প্রকার অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের আহ্বান উপদেষ্টা আসিফের সরকারের মূল উদ্দেশ্য শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের কাছেও হার বাংলাদেশের; কঠিন সমীকরণে বিশ্বকাপ ভাগ্য পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা হাসিনাসহ ১২ জনের নামে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন মুসলিম সংখ্যলঘুদের নিয়ে বাংলাদেশের বক্তব্য ভারতের প্রত্যাখ্যান সংস্কার ও শেখ হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন নয় : গোলাম পরওয়ার

মোংলায় অতি বৃষ্টিতে বন্যা সৃষ্টি, বাড়ীঘর-রাস্তাঘাটে জলাবদ্ধতা, তলিয়েছে শতশত চিংড়ি ঘের 

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে রবিবারও মোংলা সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রয়েছে। এর ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে বন্দরে অবস্থানরত সকল দেশী-বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য বোঝাই-খালাস ও পরিবহণের কাজ। তবে সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে সারবাহী কয়েকটি জাহাজের পণ্য খালাসের কাজ বলে জানিয়েছেন বন্দরের হারবার বিভাগ।
এদিকে তিনদিনের টানা বৃষ্টিপাতের জলাবদ্ধতা মোংলা শহর ও শহরতলী জুড়ে এক ধরণের বন্যা পরিস্থিতিতে রুপ নিয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ী। ফলে পৌর শহর ছাড়াও উপজেলার বেশির ভাগ এলাকার লোকজন পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। চারদিকেই পানি, এমতাবস্থায় ঘরে থাকা ও বাহির হওয়া নিয়েও চরম ভোগান্তীতে সাধারণ মানুষ।
পৌর বাসিন্দারা বলছেন, বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে পুকুর, বাড়ীঘর ও রাস্তাঘাট। এতে ঘরে থাকাটা যেমন দায় হয়ে পড়েছে তেমনি বাহির বের হওয়াটাও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। বাসিন্দাদের কেউ কেউ বলছেন, টানা বৃষ্টির পানি জমে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা যেন বন্যার আকার ধারণ করেছে। তারা আরো বলেন, মুলত পানি নামার কোন সুব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই আমাদের ডুবে থাকতে হচ্ছে।
অপরদিকে অতি বৃষ্টিতে তলিগেছে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের প্রায় ৭শতাধিকেরও বেশি চিংড়ি ঘের। ঘের তলিয়ে মাছ বেরিয়ে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন চিংড়ি চাষীরা।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অন্জন বিশ্বাস বলেন, এ বৃষ্টিতে বেশি ক্ষতি হয়েছে উপজেলার চিলা ইউনিয়নের চিলা ও জয়মনি এবং বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের সানবান্ধা ও বিদ্যারবাহন এলাকায়। প্রাথমিক খোঁজ খবর বিভিন্ন এলাকার ৭শতাধিক চিংড়ি ঘের তলিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে এর সংখ্যা আরো হয়তো বাড়বে। আর ঘরের মাছের ক্ষতি নিরূপণে কাজও চলছে বলেও জানান তিনি।
মোংলা আবহাওয়া অফিস ইনচার্জ মোঃ হারুন অর রশিদ বলেন, নিম্নচাপটি ঝড়ে রুপ নেয়ার সম্ভাবনা নেই, বৃষ্টিপাত হয়ে দুর্বল হলেই বিলীন হয়ে যাবে। তবে আগামী দুই একদিনের মধ্যে বৃষ্টি কমে আবহাওয়া অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে জানান তিনি।
ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

মোংলায় অতি বৃষ্টিতে বন্যা সৃষ্টি, বাড়ীঘর-রাস্তাঘাটে জলাবদ্ধতা, তলিয়েছে শতশত চিংড়ি ঘের 

আপডেট সময় ০৮:৩৭:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে রবিবারও মোংলা সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রয়েছে। এর ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে বন্দরে অবস্থানরত সকল দেশী-বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য বোঝাই-খালাস ও পরিবহণের কাজ। তবে সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে সারবাহী কয়েকটি জাহাজের পণ্য খালাসের কাজ বলে জানিয়েছেন বন্দরের হারবার বিভাগ।
এদিকে তিনদিনের টানা বৃষ্টিপাতের জলাবদ্ধতা মোংলা শহর ও শহরতলী জুড়ে এক ধরণের বন্যা পরিস্থিতিতে রুপ নিয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ী। ফলে পৌর শহর ছাড়াও উপজেলার বেশির ভাগ এলাকার লোকজন পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। চারদিকেই পানি, এমতাবস্থায় ঘরে থাকা ও বাহির হওয়া নিয়েও চরম ভোগান্তীতে সাধারণ মানুষ।
পৌর বাসিন্দারা বলছেন, বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে পুকুর, বাড়ীঘর ও রাস্তাঘাট। এতে ঘরে থাকাটা যেমন দায় হয়ে পড়েছে তেমনি বাহির বের হওয়াটাও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। বাসিন্দাদের কেউ কেউ বলছেন, টানা বৃষ্টির পানি জমে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা যেন বন্যার আকার ধারণ করেছে। তারা আরো বলেন, মুলত পানি নামার কোন সুব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই আমাদের ডুবে থাকতে হচ্ছে।
অপরদিকে অতি বৃষ্টিতে তলিগেছে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের প্রায় ৭শতাধিকেরও বেশি চিংড়ি ঘের। ঘের তলিয়ে মাছ বেরিয়ে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন চিংড়ি চাষীরা।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অন্জন বিশ্বাস বলেন, এ বৃষ্টিতে বেশি ক্ষতি হয়েছে উপজেলার চিলা ইউনিয়নের চিলা ও জয়মনি এবং বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের সানবান্ধা ও বিদ্যারবাহন এলাকায়। প্রাথমিক খোঁজ খবর বিভিন্ন এলাকার ৭শতাধিক চিংড়ি ঘের তলিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে এর সংখ্যা আরো হয়তো বাড়বে। আর ঘরের মাছের ক্ষতি নিরূপণে কাজও চলছে বলেও জানান তিনি।
মোংলা আবহাওয়া অফিস ইনচার্জ মোঃ হারুন অর রশিদ বলেন, নিম্নচাপটি ঝড়ে রুপ নেয়ার সম্ভাবনা নেই, বৃষ্টিপাত হয়ে দুর্বল হলেই বিলীন হয়ে যাবে। তবে আগামী দুই একদিনের মধ্যে বৃষ্টি কমে আবহাওয়া অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে জানান তিনি।