ঢাকা ০৯:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে যুগপৎ সঙ্গীদের সাথে আলোচনায় বিএনপি হামজার পর এবার আসছেন কানাডার সামিত সকল প্রকার অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের আহ্বান উপদেষ্টা আসিফের সরকারের মূল উদ্দেশ্য শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের কাছেও হার বাংলাদেশের; কঠিন সমীকরণে বিশ্বকাপ ভাগ্য পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা হাসিনাসহ ১২ জনের নামে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন মুসলিম সংখ্যলঘুদের নিয়ে বাংলাদেশের বক্তব্য ভারতের প্রত্যাখ্যান সংস্কার ও শেখ হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন নয় : গোলাম পরওয়ার

যে বাজারে লাভ করেন না বিক্রেতারা

আছে চাল, ডাল ও সবজি থেকে প্রায় সব পণ্য। তবে দাম আর সব সাধারণ বাজারের থেকে অনেক কম।কারণ, এ বাজারে লাভ করেন না বিক্রেতারা। বিনা লাভের এই বাজার পরিচালনা করছে ফেনীর স্বেচ্ছাসেবকরা।

ফেনীতে সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় উদ্ধার-ত্রাণ বিতরণ ও সরকার পতন পরবর্তী নানা কার্যক্রমের পর শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বিত প্লাটফর্ম ‘ফেনী জেলা স্বেচ্ছাসেবক পরিবার’। সাশ্রয়ী দামে সাধারণ মানুষদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্য সরবরাহের উদ্দেশ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পুরো আয়োজনে স্বেচ্ছাশ্রমে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছেন।

মুনাফা ছাড়া এ বাজারে চাল, ডাল, মটর, তেল, চিনি, আলু, পেঁয়াজসহ আরও পাঁচ ধরনের সবজি বিক্রি করা হচ্ছে। কম দামে পণ্য কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা।

এ বাজারের উদ্যোক্তারা জানান, তীব্র রোদ উপেক্ষা করে কাজ করে বিনা লাভের বাজারের মাধ্যমে মানুষের অকুণ্ঠ ভালোবাসা পেয়েছে তারা। এটি অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার হলেও অত্যন্ত সুশৃঙ্খল পরিবেশে বাজারের কার্যক্রমের চলছে।

অন্যতম উদ্যোক্তা ওসমান গণী রাসেল বন্যায় এমনিতেই সাধারণ মানুষ আছে কষ্টে। তার ওপর দ্রব্যমূল্যের কষাঘাত। সাধারণ মানুষদের একটু স্বস্তি দিতে আমাদের এই উদ্যোগ। নুর নবী হাসান নামের আরে উদ্যোক্তাও জানালেন এমন ধরনের কথা।

আবু তাহের নামের এক ক্রেতা বলেন, অন্যান্য বাজারের চাইতে এখানে কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা কম। এটা সাধারণ মানুষের জন্য বড় স্বস্তির। স্বেচ্ছাসেবকদের এমন উদ্যোগে মানুষ উপকৃত হচ্ছে।

পারভীন আক্তার নামের আরেক ক্রেতা জানান, স্বেচ্ছাসেবকদের এমন উদ্যোগের জন্য আমরা দোয়া করি। তারা কষ্ট করে, কম দামে সাধারণ মানুষদের পণ্য সরবরাহ করছে।

বাজারে যে সবজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে সেগুলো এ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪৫ টাকায়। তবে বিনা লাভের এ বাজার থেকে একটি পণ্য সর্বোচ্চ এক থেকে দুই কেজি কেনার সুযোগ রয়েছে।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বাজার ঘুরে দেখা গেল চাল প্রতি কেজিপ্রতি ৫২ টাকা, পিঁয়াজ ১০৭ টাকা, আলু ৪৭ টাকা, সয়াবিন তেল এক লিটার ১৪৫ টাকা, মটর ডাল ৭২ টাকা, মসুর ডাল ১০৮ টাকা, পটল ২০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, শসা ৩৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৩৫ টাকা, বরবটি সিম ৫৫ টাকা, জালি কুমড়ো ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

যে বাজারে লাভ করেন না বিক্রেতারা

আপডেট সময় ১০:৪১:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আছে চাল, ডাল ও সবজি থেকে প্রায় সব পণ্য। তবে দাম আর সব সাধারণ বাজারের থেকে অনেক কম।কারণ, এ বাজারে লাভ করেন না বিক্রেতারা। বিনা লাভের এই বাজার পরিচালনা করছে ফেনীর স্বেচ্ছাসেবকরা।

ফেনীতে সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় উদ্ধার-ত্রাণ বিতরণ ও সরকার পতন পরবর্তী নানা কার্যক্রমের পর শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বিত প্লাটফর্ম ‘ফেনী জেলা স্বেচ্ছাসেবক পরিবার’। সাশ্রয়ী দামে সাধারণ মানুষদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্য সরবরাহের উদ্দেশ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পুরো আয়োজনে স্বেচ্ছাশ্রমে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছেন।

মুনাফা ছাড়া এ বাজারে চাল, ডাল, মটর, তেল, চিনি, আলু, পেঁয়াজসহ আরও পাঁচ ধরনের সবজি বিক্রি করা হচ্ছে। কম দামে পণ্য কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা।

এ বাজারের উদ্যোক্তারা জানান, তীব্র রোদ উপেক্ষা করে কাজ করে বিনা লাভের বাজারের মাধ্যমে মানুষের অকুণ্ঠ ভালোবাসা পেয়েছে তারা। এটি অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার হলেও অত্যন্ত সুশৃঙ্খল পরিবেশে বাজারের কার্যক্রমের চলছে।

অন্যতম উদ্যোক্তা ওসমান গণী রাসেল বন্যায় এমনিতেই সাধারণ মানুষ আছে কষ্টে। তার ওপর দ্রব্যমূল্যের কষাঘাত। সাধারণ মানুষদের একটু স্বস্তি দিতে আমাদের এই উদ্যোগ। নুর নবী হাসান নামের আরে উদ্যোক্তাও জানালেন এমন ধরনের কথা।

আবু তাহের নামের এক ক্রেতা বলেন, অন্যান্য বাজারের চাইতে এখানে কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা কম। এটা সাধারণ মানুষের জন্য বড় স্বস্তির। স্বেচ্ছাসেবকদের এমন উদ্যোগে মানুষ উপকৃত হচ্ছে।

পারভীন আক্তার নামের আরেক ক্রেতা জানান, স্বেচ্ছাসেবকদের এমন উদ্যোগের জন্য আমরা দোয়া করি। তারা কষ্ট করে, কম দামে সাধারণ মানুষদের পণ্য সরবরাহ করছে।

বাজারে যে সবজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে সেগুলো এ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪৫ টাকায়। তবে বিনা লাভের এ বাজার থেকে একটি পণ্য সর্বোচ্চ এক থেকে দুই কেজি কেনার সুযোগ রয়েছে।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বাজার ঘুরে দেখা গেল চাল প্রতি কেজিপ্রতি ৫২ টাকা, পিঁয়াজ ১০৭ টাকা, আলু ৪৭ টাকা, সয়াবিন তেল এক লিটার ১৪৫ টাকা, মটর ডাল ৭২ টাকা, মসুর ডাল ১০৮ টাকা, পটল ২০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, শসা ৩৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৩৫ টাকা, বরবটি সিম ৫৫ টাকা, জালি কুমড়ো ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।