বড় দিনের উৎসবের রাতে বান্দরবানের লামা উপজেলায় ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের একটি পাড়ায় ১৭টি ঘর আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনার পেছনে ‘ভূমি দখলের অভিসন্ধি’ রয়েছে বলে মনে করছেন বাসিন্দারা।
উপজেলার সরই ইউনিয়নের পূর্ব নতুন বেতছড়ার ওই পাড়ার জমিটি আগে খালি ছিল। বছর পাঁচেক আগে একটি মহল জায়গাটি দখল করে নিয়েছিল। সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ দুর্নীতির অভিযোগের মধ্যে দেশ ছাড়ার পর দখলদাররা অনেকটাই গা-ঢাকা দেয়।
তারপর ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের লোকজন জায়গাটি পুনঃদখল করে সেখানে ১৯টি ঘর তুলে বসবাস শুরু করেন। তখন থেকেই জমি দখরকারী মহলটি ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের লোকজনকে উচ্ছেদের জন্য নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল বলে পাড়াবাসীর ভাষ্য।
ত্রিপুরাদের সামাজিক সংগঠন বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ বান্দরবান জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুকান্ত ত্রিপুরা বলেন, “এটা দুর্ঘটনা নয়, নাশকতা। পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগানো হয়েছে। এ ঘটনার পেছনে যারাই জড়িত থাকুক, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার করে শাস্তি দিতে হবে।”
বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমি (প্রশাসন ও অর্থ) বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখন যাদের ঘর পুড়ে গেছে এবং যারা পুড়িয়েছে বলা হচ্ছে, তাদের অন্য জায়গায় জমি ও ঘরবাড়ি আছে। ওই জায়গা খালি পড়ে ছিল। সেই হিসেবে সবার নজরে পড়েছে।
“এখন ফ্যাক্টটা হল আগুনটা দিল কে- সেটা খুঁজে বের করা। চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।”
বড়দিনের প্রাক্কালে ২৪ ডিসেম্বর রাতে পূর্ব নতুন বেতছড়ার ওই পাড়ার ১৯টি ঘরের বাসিন্দারা গিয়েছিলেন গির্জায় উৎসব পালন করতে। যেহেতু পাড়াটি নতুন, ফলে সেখানে কোনো গির্জা ছিল না। তারা দেড় কিলোমিটার দূরে টংঙ্গাঝিরি পাড়ার গির্জায় গিয়েছিলেন প্রার্থনায় অংশ নিতে।
সেদিন পাড়ায় কোনো লোক ছিল না। এর মধ্যে আগুনে ১৯টি ঘরের মধ্যে ১৭টিই পুড়ে যায়। কেবল দুটি ঘর অক্ষত থাকে।
ঘটনাটি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকেও বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর পুনঃনির্মাণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
২৬ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বান্দরবান গোয়েন্দা সংস্থা ইঙ্গিত দিয়েছে, পলাতক সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের সন্দেহভাজন ‘গুন্ডারা’ জায়গা দখলের নামে এ ‘জঘন্য’ হামলা চালিয়েছে।”
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন- লামার সরই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের স্টিফেন ত্রিপুরা, যোয়াকিম ত্রিপুরা, মশৈম্যা ত্রিপুরা ও মো. ইব্রাহিম।
স্থানীয়দের ভাষ্য, এই মো. ইব্রাহিম ‘সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমদের লোক’; তিনিই মূলত দখল করা জায়গার ‘দেখভাল’ করতেন।
ক্ষতিগ্রস্তদের ভাষ্য, পাঁচ বছর আগে বেনজীরের (স্থানীয়দের কাছে বেনজীর ‘এসপি’ হিসেবে পরিচিত) কথা বলে জমিটি দখল করে নেয় কিছু লোকজন। ওই জায়গায় লিচু ও আমের চারা লাগানো হয়। এসব দেখাশোনার জন্য আধাপাকা ঘর তৈরি করে ইব্রাহিম সেখানে বসবাস করতেন।
আর মাঝেমধ্যে আওয়ামী লীগ পরিচয় দেওয়া কয়েকজন আসতেন। স্থানীয়রা বাধা দিলে তারা সবাই নিজেদের ‘এসপি বেনজীরের’ লোক হিসেবে পরিচয় দিতেন বলে পাড়াবাসীর ভাষ্য।
২০২৪ সালের মে মাসের শেষ দিকে বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক এলাকার মাঝের পাড়ায় বেনজীর আহমদ ও তার স্ত্রী নামে ২৫ একর জমি থাকার কথা উঠে আসে সংবাদমাধ্যমে।
নতুন পূর্ব বেতছড়া পাড়ায় প্রবেশের আগে ইব্রাহিমের তৈরি করা আধাপাকা ঘর, যিনি নিজেকে ‘বেনজীরের’ লোক বলে পরিচয় দিতেন।
নতুন পূর্ব বেতছড়া পাড়ায় প্রবেশের আগে ইব্রাহিমের তৈরি করা আধাপাকা ঘর, যিনি নিজেকে ‘বেনজীরের’ লোক বলে পরিচয় দিতেন।
তখন স্থানীয়রা বলছিলেন, সেখানে কাগজে-কলমে ২৫ একর থাকলেও বাস্তবে বাড়তি আরও ৭০-৮০ একরের মত জমি দখল করে নিয়েছেন তিনি। সেখানে মূলত সেগুন বাগান, পুকুর ও গরুর খামার ছিল।
সংবাদমাধ্যমে খবর আসায় তখন দুদকের কর্মকর্তারাও জায়গাটি পরিদর্শন করেন। পরে আদালতের নির্দেশে এসব জমি তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্ব নেয় জেলা প্রশাসন।
তখন বেনজীর আহমদকে নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে থাকায় লোকজন ‘কেয়ারটেকার’ ইব্রাহিমকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। এরপর থেকে পাড়াবাসীদের এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে ত্রিপুরাদের অভিযোগ।
ঘর তুলে পাল্টা দখল
ত্রিপুরা পাড়াবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পূর্ব বেতছড়া পাড়ায় আগে কোনো ঘরবাড়ি ছিল না। টংঙ্গ্যাঝিরি পাড়ার বাসিন্দারাই সেখানে জুমচাষ করতেন। সেখান থেকে গাছ, বাঁশ ও কাঠ কেটে বিক্রি করতেন তারা।
২০১৮ সালে হঠাৎ একটি আধাপাকা ঘর তুলে জমি দখল শুরু করেন ইব্রাহিম। বাধা দিলে বারবার ‘এসপি বেনজীর’ এর কথা বলতেন। ‘এসপি’ বলায় জোরালোভাবে প্রতিবাদ করতে পারেননি কেউ। মে মাসের শেষ দিকে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ইব্রাহিমকে তাড়িয়ে দেয় লোকজন।
তখন টংঙ্গ্যাঝিরি থেকে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের লোকজন গিয়ে সেখানে ১৯টি ঘর তুলে বসবাস শুরু করেন। ঘরগুলো মূলত মাচা আকারে- বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি করা। টংঙ্গ্যাঝিরিতে মূলত যাদের যৌথ পরিবার কিংবা নিজস্ব জমি নেই, তারাই এসে ঘরগুলো তোলেন। পাড়ার নাম দেওয়া হয় ‘নতুন পূর্ব বেতছড়া পাড়া’।
ঘর তৈরির পর থেকেই নানাভাবে হুমকি দেওয়া হয় তাদের। চাওয়া হয় মোটা অংকের চাঁদা। মূলত পাড়া ছেড়ে চলে যেতে এবং পুনরায় জমি দখল নিতেই এসব হুমকি দেওয়া হয় বলে জানান পাড়ার বাসিন্দা গঙ্গামণি ত্রিপুরা।
কারা হুমকি দিত জানতে চাইলে ক্ষতিগ্রস্ত গঙ্গামণি ত্রিপুরা কয়েকজনের নাম বলেন। তারা হলেন, বেতছড়া সবিচন্দ্র পাড়ার বাসিন্দা স্টিফেন ত্রিপুরা, টংঙ্গাঝিরি হানুসিং কারবারী পাড়ার বাসিন্দা মশৈনিয়া ত্রিপুরা, বেতছড়া সবিচন্দ্র পাড়ার বাসিন্দা যোয়াকিম ত্রিপুরা, গাজন পাড়ার বাসিন্দা সুরেন্দ্র ত্রিপুরা, একই পাড়ার বাসিন্দা শিমিয়ন ত্রিপুরা, গজালিয়া ইউনিয়নের তুলাতুলি পাড়ার বাসিন্দা মংমেপ্রু মারমা, টংঙ্গাঝিরি বাসিন্দা ইব্রাহিম, লামা সদরে কম্পনিয়া পাড়ার বাসিন্দা ফরিদ, সরইয়ে গোরস্থান নয়াপাড়ার বাসিন্দা আব্দুর শুক্কুর এবং চট্টগ্রামের লোহাগাড়া এলাকার রফিক।
গঙ্গামণি ত্রিপুরা অভিযোগ করেন, ঘর তোলার পর থেকে পাড়া ছেড়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় তারা হুমকি পেয়েছেন।
“হুমকি কখনও সরাসরি দেওয়া হত। কখনও ফোনে দিত। পাড়া ছেড়ে না গেলে ঘর পুড়িয়ে দেব, মারধর করব, মামলা করব- এসব বলে ভয়ভীতি দেখাত। আগুনের ঘটনা তারা না করলে আর কারা করবে?
“তারা সবাই বেনজীরের লোক। আমার মনে হয়, উপরের কেউ তাদেরকে দিয়ে এসব করায়। জমি দখল নেওয়ার জন্য আমাদেরকে এভাবে ভয়ভীতি ও হয়রানির মধ্যে রাখছিল। সুযোগ বুঝে ত্রিপুরাদের দিয়ে ত্রিপুরাদের বিরুদ্ধে কাজে লাগায়।”
পাড়ায় বা এলাকায় কখনো বেনজীর আহমদকে দেখেছেন কিনা জানতে চাইলে গঙ্গামণি ত্রিপুরা বলেন, “না, কখনও দেখি নাই। কিন্তু তারা শুরু থেকে নিজেদের বেনজীরের লোক বলে পরিচয় দিয়ে আসছে। এই কারণে এই নতুন পূর্ব বেতছড়া পাড়া এলাকাকে সবাই ‘এসপি বাগান’ হিসেবে চেনে।
“পাড়াসহ এই এলাকার মোট আয়তন ৬০ থেকে ৭০ একরের মত হবে। বড় বড় গাছ আগে কেটে নিয়ে গেছে। বাধা দিলে ‘এসপির লোক’ বলায় বড় রকমের প্রতিবাদ করার কারও সাহস হয়নি তখন।”
ঘনবসতি নয়, ঘরগুলোর মাঝখানে ফাঁকা
সরজমিনে দেখা গেছে, লামা-সরই সড়কের পাশে তিন কিলোমিটার ভেতর টংঙ্গাঝিরি পাড়া। সেখান থেকে দেড় কিলোমিটার পার হয়ে গেলেই নতুন পূর্ব বেতছড়া পাড়া। ইট বিছানো রাস্তা। পাড়ায় প্রবেশের পথেই পাড়া ও মৌজার নাম দিয়ে সাইনবোর্ড টাঙ্গানো হয়েছে। সাইনবোর্ডের পাশেই একটি আধাপাকা ঘর। যেখানে থাকতেন ‘কেয়ারটেকার’ ইব্রাহিম।
পাড়ার কারবারি (পাড়াপ্রধান) পাইসাপ্রু ত্রিপুরা বলছিলেন, “ঘরগুলো বেশিরভাগ বাঁশ, কাঠ ও শনের তৈরি। যার কারণে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত ছাই হয়ে যায়। তবে দুর্ঘটনা হলে একটা- দুইটা ঘর পুড়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু এতগুলো ঘর একসঙ্গে ছাই হওয়ার কথা না।
“কয়েকটি ঘর পাশাপাশি হলেও ঘনবসতি নয়। আর কিছু ঘর মাঝখানে একেবারেই ফাঁকা। একটা ঘর আরেকটা ঘর বেশ দূরে। কোনোভাবেই আগুন ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ নেই। বোঝা যায়, এটি শত্রুতার কারণে পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগানো হয়েছে।”
বেনজীরের জায়গা নয়
আগুন লাগার দুদিন পর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যান অন্তর্বর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। তার সামনে আগুন লাগার ঘটনা তুলে ধরেন পাড়াবাসী। তখন বেনজীর আহমদের প্রসঙ্গটিও আসে।
সরই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জামাল উদ্দিন বলেন, “দীর্ঘ দিন ধরে ওই জায়গায় ত্রিপুরাদের জুমচাষ করে আসতে দেখছি। মাঝখানে আবার কে বা কারা এটা দখল করে নিয়েছে শুনলাম। পরে তারা সেখানে গিয়ে ঘর তৈরি করেছে। এটা নিয়ে বিরোধও ছিল দীর্ঘদিন ধরে। সরই ইউনিয়নে এখন ভূমি জটিলতা বাড়ছে।”
ডলুছড়ি মৌজার ভারপ্রাপ্ত হেডম্যান দুর্যোধন ত্রিপুরা বলছিলেন, “এটা শুরু থেকে ত্রিপুরাদেরই জায়গা ছিল। মাঝখানে ইব্রাহিমরা এসে বাগান করছিল। পরে তাকে তাড়িয়ে দিয়ে আবার ত্রিপুরারা দখল করে নেয়। আমি নিজেও যেহেতু ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে আছি। এর বাইরে আমারও খুব বেশি জানা নেই।”
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে লামার উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ইউএনও) দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রূপায়ন দেব বলেন, “আমি যেহেতু ভূমির দায়িত্বে আছি। আমরা কাগজ-পত্র ঘেঁটে দেখেছি, সেখানে বেনজীরের নামে কোনো জমির দলিল নেই। ওটা খাস জমি হিসেবে ছিল।
“১৯৯০ সালে স্থানীয় কয়েকজন পাহাড়ি বন্দোবস্তর জন্য আবেদন করেছিলেন। পরে বন্দোবস্ত প্রক্রিয়া বন্ধ হওয়ায় এটি খাস জমি হিসেবে ছিল। জায়গাটি মাপা হয়নি, হয়ত ৫০-৬০ একরের মতই হবে।”
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমি (প্রশাসন ও অর্থ) বলেন, “বেনজীরের জায়গা এটা রটানো হয়েছে। যেহেতু আগে থেকে বলা হয়েছিল, এটা ‘এসপি’র জায়গা। অন্য আরেকজন এটা ছড়িয়েছে।
“বেনজীর আহমদের নামে এখানে কোনো ডকুমেন্টেশন নেই। তদন্ত চলছে। কিছু নাম পাচ্ছি। আমরা অভিযান চালাচ্ছি। জায়গাটা হচ্ছে একদম খাস। সেখানে ৫০ একরের মধ্যে জগমন ত্রিপুরার নামে পাঁচ একর জমির একটা লিজ ছিল। সেটা দেলোয়ার আজিজ নামে একজনকে বিক্রি করেছেন। যদিও লিজের জায়গা বিক্রি বা হস্তান্তরযোগ্য নয়। ব্যাপারটা হল এটা লিজের জায়গা। কারো জায়গা না।”
রায়হান কাজেমি বলেন, “ওই জায়গার লিজের জন্য আরও ১০টা আবেদন পড়েছে। এটা জেলা পরিষদে এখনো ঝুলে আছে। বিভিন্নজন আবেদন করেছেন। এখনো কাউকে দেওয়া হয়নি।”
অগ্নিসংযোগের ঘটনার সূত্র ধরে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, কোনো এক সময় চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার বাসিন্দা দেলোয়ার আজিজ নামে এক ব্যক্তি জগমন ত্রিপুরার পাঁচ একর লিজের জমি কিনে নেন। ২০১৩ সালে ত্রিপুরা সম্প্রদায়েরই এক ব্যক্তি মাসিক পাঁচ হাজার টাকা বেতনে জায়গাটি দেখভাল করতেন। বিষয়টি জানাজানির পর পাড়াবাসী তাকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়।
পাড়াবাসীর ভাষ্য, দেলোয়ার আজিজ স্থানীয় বাসিন্দা না হলেও পাহাড়ি-বাঙালিদের সঙ্গে সখ্য গড়ে মূলত ভূমি কেনাবেচা করেন। পরে চট্টগ্রাম ও ঢাকার প্রভাবশালী লোকজনের কাছে এসব জমি বিক্রি করেন। লামার আরো বিভিন্ন এলাকায় তার নামে-বেনামে জমি রয়েছে।
এ বিষয়ে দেলোয়ার আজিজের সঙ্গে কথা বলতে পারেনি । আগুন লাগানোর অভিযোগে যাদের নাম আসছে, তাদের কেউ কেউ পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্যও জানা যায়নি।