ঢাকা ০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জুলাই আন্দোলন নিয়ে ৮ সিনেমা; নির্মাতা চূড়ান্ত বেশি সংস্কার না চাইলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন : প্রেস সচিব পুলিশে চাকরি পাচ্ছেন আন্দোলনে আহত ১০০ জন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ১৪৪ ধারা ভেঙে সচিবালয় ঘেরাওয়ের চেষ্টা, পুলিশের ধাওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকার কাজের তালিকা দিলেন উপদেষ্টা মাহফুজ সরকার গঠনের পর অভিযুক্ত কাউকে দেশত্যাগ করতে দেয়া হয়নি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ট্রুডো কেন হঠাৎ পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন? কে হতে যাচ্ছে তার উত্তরসূরি? গঠিত হচ্ছে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর’,  ইরানে হিজাব খুলে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের প্রতিবাদ শক্তিশালী ভূমিকম্পে তিব্বতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৩

জীবনানন্দ দাশের পৈত্রিক ভিটায় ইনস্টিটিউট নির্মাণের দাবি

বরিশালের কবি-সাহিত্যিক ও সংস্কৃতি কর্মীরা কবি জীবনানন্দ দাশের পৈত্রিক ভিটা উদ্ধার করে কবির নামে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

জীবনানন্দ দাশ সড়কে স্থাপিত কবির পৈত্রিক ভিটার একাংশে নির্মিত কবি জীবনানন্দ দাশ স্মৃতি মিলনায়তন ও লাইব্রেরিতে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকালে অনুষ্ঠিত এক আলোচনায় তারা এ দাবি জানান।

কবি জীবনানন্দ দাশের ৭০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় কবিতা পরিষদ বরিশাল শাখা ও প্রগতি লেখক সংঘ আয়োজিত কবি জীবনানন্দ দাশ স্মরণ অনুষ্ঠান মালায় কবির প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে শুরু হয় কবির কবিতা পাঠ, স্বরচিত কবিতা পাঠ, কবির কবিতা নিয়ে গান ও আলোচনা।

এ সময় কবি আসমা চৌধুরী বলেন, কবি ৭০ বছর আগে ট্রাম দুর্ঘটনায় মারা যান। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে কবি জীবনানন্দ দাশ আলোচনা ও স্মরণে আরও আমাদের কাছে উপস্থিত হচ্ছেন। এখানেই কবির পৈত্রিক ভিটা সর্বানন্দ ভবন ছিল, যার একাংশে একটি অসম্পূর্ণ লাইব্রেরি হয়েছে, যেখানে কর্তৃপক্ষ কোনো সময়ই পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেনি। আমরা দাবি জানাই, সরকার কবির নামে শিক্ষা ও গবেষণার জন্য একটি বড় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবে। আর সেটি এই সর্বানন্দ ভবন ঘিরেই হওয়া উচিত।

বক্তারা বলেন, কবির জন্ম এই বরিশালে। কবির পিতা সত্যানন্দ দাশ বরিশাল ব্রজমোহন স্কুলের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন। কবি নিজেও ব্রজমোহন কলেজে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত ইংরেজি ভাষার শিক্ষক ছিলেন। কবির পিসি স্নেহলতা দাশ বরিশাল সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। বরিশালের প্রকৃতি ঘিরেই কবির অজস্র রচনা ও সাহিত্যকর্ম আমরা দেখতে পাই।

জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি তপংকর চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনা করেন কাজী সেলিনা, হাসিনা বেগম, অপূর্ব গৌতম, সুভাষ চন্দ্র দাস, শোভন কর্মকার, পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।

 

 

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

জীবনানন্দ দাশের পৈত্রিক ভিটায় ইনস্টিটিউট নির্মাণের দাবি

আপডেট সময় ০৫:২১:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

বরিশালের কবি-সাহিত্যিক ও সংস্কৃতি কর্মীরা কবি জীবনানন্দ দাশের পৈত্রিক ভিটা উদ্ধার করে কবির নামে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

জীবনানন্দ দাশ সড়কে স্থাপিত কবির পৈত্রিক ভিটার একাংশে নির্মিত কবি জীবনানন্দ দাশ স্মৃতি মিলনায়তন ও লাইব্রেরিতে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকালে অনুষ্ঠিত এক আলোচনায় তারা এ দাবি জানান।

কবি জীবনানন্দ দাশের ৭০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় কবিতা পরিষদ বরিশাল শাখা ও প্রগতি লেখক সংঘ আয়োজিত কবি জীবনানন্দ দাশ স্মরণ অনুষ্ঠান মালায় কবির প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে শুরু হয় কবির কবিতা পাঠ, স্বরচিত কবিতা পাঠ, কবির কবিতা নিয়ে গান ও আলোচনা।

এ সময় কবি আসমা চৌধুরী বলেন, কবি ৭০ বছর আগে ট্রাম দুর্ঘটনায় মারা যান। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে কবি জীবনানন্দ দাশ আলোচনা ও স্মরণে আরও আমাদের কাছে উপস্থিত হচ্ছেন। এখানেই কবির পৈত্রিক ভিটা সর্বানন্দ ভবন ছিল, যার একাংশে একটি অসম্পূর্ণ লাইব্রেরি হয়েছে, যেখানে কর্তৃপক্ষ কোনো সময়ই পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেনি। আমরা দাবি জানাই, সরকার কবির নামে শিক্ষা ও গবেষণার জন্য একটি বড় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবে। আর সেটি এই সর্বানন্দ ভবন ঘিরেই হওয়া উচিত।

বক্তারা বলেন, কবির জন্ম এই বরিশালে। কবির পিতা সত্যানন্দ দাশ বরিশাল ব্রজমোহন স্কুলের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন। কবি নিজেও ব্রজমোহন কলেজে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত ইংরেজি ভাষার শিক্ষক ছিলেন। কবির পিসি স্নেহলতা দাশ বরিশাল সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। বরিশালের প্রকৃতি ঘিরেই কবির অজস্র রচনা ও সাহিত্যকর্ম আমরা দেখতে পাই।

জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি তপংকর চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনা করেন কাজী সেলিনা, হাসিনা বেগম, অপূর্ব গৌতম, সুভাষ চন্দ্র দাস, শোভন কর্মকার, পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।