ঢাকা ০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তেঁতুলিয়ায় রাতভর ডাকাত আতঙ্ক; আটক ৫

পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া উপজেলায় রাতভর ডাকাত আতঙ্ক। পুলিশের সাথে রাতভর পাহাড়া দেন নিজ নিজ এলাকায় স্থানীয়রাও। এর মধ্যেও উপজেলায় ঘটে যায় দুইটি ডাকাতির ঘটনাও। দীর্ঘ সময় ধরে পুলিশের অভিযানে ভজনপুর এলাকা থেকে ডাকাত চক্রের সদস্যকে আটক করা হয়।

রোববার (২ মার্চ) সকালে তেঁতুলিয়ার ভজনপুর এলাকায় পঞ্চগড় গামী একটি যাত্রীবাহী বাসে অভিযান চালিয়ে ডাকাতদলের ৫ সদস্যকে আটক করে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন রংপুর জেলা রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার হরিপুর এলাকার মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪১), দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার মির্জাপুর এলাকার রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ তহিদুল ইসলাম (৪০), রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার লালদিঘী ফতেহপুর এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৫), একই উপজেলার আজমপুর ফকির পাড়া এলাকার বাদশা ফকিরের ছেলে হাসানুর (৪০) ও শাহপুর এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে মোঃ আয়নাল (৩৮)।

এর আগে শনিবার দিবাগত রাতে তেতুলিয়া সদরের আজিজনগর এলাকার বেলায়েত হোসেনের বাড়িতে ৮ থেকে ১০ জনের ডাকাত চক্রের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এসময় বেলায়েত হোসেন ও তার স্ত্রীকে বেধে রেখে মারধর করেবাড়িতে থাকা ৩৮ হাজার টাকা সহ আড়াই ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় ডাকাত দলের সদস্যরা। খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে জেলা জুড়ে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। ডাকাতদের ধরতে জেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোর চেকপোস্ট স্থাপনের পাশাপাশি রাতভর অভিযান পরিচালনা করে পুলিশের একাধিক টিম।পুলিশের সাথে স্থানীয়রা লাঠিসোটা নিয়ে পাহাড়া দেয়।

ডাকাতদলের আক্রমনের স্বীকার বেলায়েত হোসেন জানান, আমার বাড়ির দেয়াল টপকে ডাকাত দলের ৮ থেকে ১০ জন সদস্য ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে আমি ও আমার স্ত্রীকে মারধর শুরু করে। তাদের হাতে চাকু, ছোরাসহ দেশিয় অস্ত্র ছিলো। পরে তারা আমাদের হাত পেছনে বেধে রেখে পুরো ঘর এলোমেলো করে ফেলে। ঘরে থাকা ৩৮ হাজার টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে নেয় তারা। আমার স্ত্রীর কান ও হাত থেকে স্বর্ণালঙ্কার খুলে নেয়। সব মিলিয়ে আড়াই ভরি স্বর্ণালঙ্কার ছিলো। পাশের ঘরে আমার মেয়ে ছিলো। ওই ঘরের দরজা খুলতে পারেনি। আমার মেয়ে আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশিদের ফোনে জানিয়ে দিলে তারা এগিয়ে আসে। এ সময় পালিয়ে যায় ডাকাতরা। তারা পিকআপ নিয়ে এসেছিল। তাদের কারো মুখে কালো কাপড় ছিলো। এখনো আমাদের এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

তেঁতুলিয়ায় রাতভর ডাকাত আতঙ্ক; আটক ৫

আপডেট সময় ০৭:২২:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া উপজেলায় রাতভর ডাকাত আতঙ্ক। পুলিশের সাথে রাতভর পাহাড়া দেন নিজ নিজ এলাকায় স্থানীয়রাও। এর মধ্যেও উপজেলায় ঘটে যায় দুইটি ডাকাতির ঘটনাও। দীর্ঘ সময় ধরে পুলিশের অভিযানে ভজনপুর এলাকা থেকে ডাকাত চক্রের সদস্যকে আটক করা হয়।

রোববার (২ মার্চ) সকালে তেঁতুলিয়ার ভজনপুর এলাকায় পঞ্চগড় গামী একটি যাত্রীবাহী বাসে অভিযান চালিয়ে ডাকাতদলের ৫ সদস্যকে আটক করে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন রংপুর জেলা রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার হরিপুর এলাকার মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪১), দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার মির্জাপুর এলাকার রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ তহিদুল ইসলাম (৪০), রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার লালদিঘী ফতেহপুর এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৫), একই উপজেলার আজমপুর ফকির পাড়া এলাকার বাদশা ফকিরের ছেলে হাসানুর (৪০) ও শাহপুর এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে মোঃ আয়নাল (৩৮)।

এর আগে শনিবার দিবাগত রাতে তেতুলিয়া সদরের আজিজনগর এলাকার বেলায়েত হোসেনের বাড়িতে ৮ থেকে ১০ জনের ডাকাত চক্রের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এসময় বেলায়েত হোসেন ও তার স্ত্রীকে বেধে রেখে মারধর করেবাড়িতে থাকা ৩৮ হাজার টাকা সহ আড়াই ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় ডাকাত দলের সদস্যরা। খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে জেলা জুড়ে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। ডাকাতদের ধরতে জেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোর চেকপোস্ট স্থাপনের পাশাপাশি রাতভর অভিযান পরিচালনা করে পুলিশের একাধিক টিম।পুলিশের সাথে স্থানীয়রা লাঠিসোটা নিয়ে পাহাড়া দেয়।

ডাকাতদলের আক্রমনের স্বীকার বেলায়েত হোসেন জানান, আমার বাড়ির দেয়াল টপকে ডাকাত দলের ৮ থেকে ১০ জন সদস্য ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে আমি ও আমার স্ত্রীকে মারধর শুরু করে। তাদের হাতে চাকু, ছোরাসহ দেশিয় অস্ত্র ছিলো। পরে তারা আমাদের হাত পেছনে বেধে রেখে পুরো ঘর এলোমেলো করে ফেলে। ঘরে থাকা ৩৮ হাজার টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে নেয় তারা। আমার স্ত্রীর কান ও হাত থেকে স্বর্ণালঙ্কার খুলে নেয়। সব মিলিয়ে আড়াই ভরি স্বর্ণালঙ্কার ছিলো। পাশের ঘরে আমার মেয়ে ছিলো। ওই ঘরের দরজা খুলতে পারেনি। আমার মেয়ে আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশিদের ফোনে জানিয়ে দিলে তারা এগিয়ে আসে। এ সময় পালিয়ে যায় ডাকাতরা। তারা পিকআপ নিয়ে এসেছিল। তাদের কারো মুখে কালো কাপড় ছিলো। এখনো আমাদের এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।