ঢাকা ০৫:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে যুগপৎ সঙ্গীদের সাথে আলোচনায় বিএনপি হামজার পর এবার আসছেন কানাডার সামিত সকল প্রকার অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের আহ্বান উপদেষ্টা আসিফের সরকারের মূল উদ্দেশ্য শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের কাছেও হার বাংলাদেশের; কঠিন সমীকরণে বিশ্বকাপ ভাগ্য পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা হাসিনাসহ ১২ জনের নামে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন মুসলিম সংখ্যলঘুদের নিয়ে বাংলাদেশের বক্তব্য ভারতের প্রত্যাখ্যান সংস্কার ও শেখ হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন নয় : গোলাম পরওয়ার

উল্লাপাড়া স্মার্ট পৌরসভায় স্মার্ট ব্রিজে উঠতে হয় বাঁশের সাঁকো বেঁয়ে

জুয়েল রানা, চলনবিল ( সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পৌরসভার পৌর এলাকায় দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর ধরে ব্রীজ আছে নেই সংযোগ সড়ক । এতে ব্রিজটি ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় পাঁচ গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। পাশাপাশি দুটি জোরা ব্রিজ থাকা সত্তেও প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে বিলের উভয় পারের মানুষের জনদুর্ভোগ লাঘবের চেষ্টায় বাঁশের সাঁকো তৈরি করতে হয়।

প্রায় ১৬ বছর আগে উল্লাপাড়া পৌর এলাকার ৮ নং ওয়ার্ডের নেওয়ারগাছা গ্রামের প্রায় ৫০০ মিটার চওড়া বিলের মাঝখানে পাশাপাশি ৫ মিটার দৈর্ঘের দুটি ব্রীজ নির্মাণ করে উল্লাপাড়া পৌর কতৃপক্ষ । একটির উপর ছাদ বসেছে, অপরটিতে বসেনি । সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় বিলের দুই পাড়ের পূর্ব পাড়ে নতুন নেওয়ারগাছা সরকারি প্রার্থমীক বিদ্যালয় ও পশ্চিম পাড়ে জহুরা —মহিউদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে হেঁটে যাওয়া আসা করে ।

এছাড়াও বিলের পূর্ব পারে আল নূর মসজিদ হওয়ায় বিলের পশ্চিম পারের মুছুল্লিদের বর্ষা মৌসুমে পারাপারে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয় । এ দুর্ভোগ লাগবের জন্য গ্রামবাসী নিজ অর্থায়নে বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে পারাপার হচ্ছে। প্রথম শ্রেণির এ পৌরসভার অনেক জনপ্রতিনিধিরা সড়কটি নির্মাণে অনেকবার প্রতিশ্রুতি দিলেও কেউ কথা রাখেননি।

স্থানীয়দের সাথে কথা হলে তারা জানান , ব্রিজটির দুই পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় বর্ষা মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হন শিক্ষার্থী ও পথচারীরা।

নেওয়ারগাছা গ্রামের অনেকে জানান , ব্রিজটির সংযোগ সড়ক না থাকায় বর্ষা মৌসুমে চার গ্রামের শতাধিক শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়ে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

এ বিষয়ে উল্লাপাড়া পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী সাফিউল কবির জানান, মেয়রের সাথে কথা বলে ব্রীজটির দুই পার্শ্বে দ্রুত মাটি ফেলানোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

উল্লাপাড়া পৌরসভার মেয়র এসএম নজরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি শুনেছি জনগনের সুবিধার্থে দ্রুত সংযোগ সড়কটিতে মাটি ফেলানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরো পড়ুন : সলঙ্গায় আসামি ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

উল্লাপাড়া স্মার্ট পৌরসভায় স্মার্ট ব্রিজে উঠতে হয় বাঁশের সাঁকো বেঁয়ে

আপডেট সময় ০৬:৪৭:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪

জুয়েল রানা, চলনবিল ( সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পৌরসভার পৌর এলাকায় দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর ধরে ব্রীজ আছে নেই সংযোগ সড়ক । এতে ব্রিজটি ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় পাঁচ গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। পাশাপাশি দুটি জোরা ব্রিজ থাকা সত্তেও প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে বিলের উভয় পারের মানুষের জনদুর্ভোগ লাঘবের চেষ্টায় বাঁশের সাঁকো তৈরি করতে হয়।

প্রায় ১৬ বছর আগে উল্লাপাড়া পৌর এলাকার ৮ নং ওয়ার্ডের নেওয়ারগাছা গ্রামের প্রায় ৫০০ মিটার চওড়া বিলের মাঝখানে পাশাপাশি ৫ মিটার দৈর্ঘের দুটি ব্রীজ নির্মাণ করে উল্লাপাড়া পৌর কতৃপক্ষ । একটির উপর ছাদ বসেছে, অপরটিতে বসেনি । সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় বিলের দুই পাড়ের পূর্ব পাড়ে নতুন নেওয়ারগাছা সরকারি প্রার্থমীক বিদ্যালয় ও পশ্চিম পাড়ে জহুরা —মহিউদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে হেঁটে যাওয়া আসা করে ।

এছাড়াও বিলের পূর্ব পারে আল নূর মসজিদ হওয়ায় বিলের পশ্চিম পারের মুছুল্লিদের বর্ষা মৌসুমে পারাপারে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয় । এ দুর্ভোগ লাগবের জন্য গ্রামবাসী নিজ অর্থায়নে বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে পারাপার হচ্ছে। প্রথম শ্রেণির এ পৌরসভার অনেক জনপ্রতিনিধিরা সড়কটি নির্মাণে অনেকবার প্রতিশ্রুতি দিলেও কেউ কথা রাখেননি।

স্থানীয়দের সাথে কথা হলে তারা জানান , ব্রিজটির দুই পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় বর্ষা মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হন শিক্ষার্থী ও পথচারীরা।

নেওয়ারগাছা গ্রামের অনেকে জানান , ব্রিজটির সংযোগ সড়ক না থাকায় বর্ষা মৌসুমে চার গ্রামের শতাধিক শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়ে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

এ বিষয়ে উল্লাপাড়া পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী সাফিউল কবির জানান, মেয়রের সাথে কথা বলে ব্রীজটির দুই পার্শ্বে দ্রুত মাটি ফেলানোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

উল্লাপাড়া পৌরসভার মেয়র এসএম নজরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি শুনেছি জনগনের সুবিধার্থে দ্রুত সংযোগ সড়কটিতে মাটি ফেলানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরো পড়ুন : সলঙ্গায় আসামি ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু