রেজাউল করিম, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে নবাগত ইউএনও নাহিদ হাসান খান উপজেলা চত্ত্বরটি মনের মাধুরী দিয়ে ঢেলে সাজিয়ে তিনি প্রমাণ করলেন ”চেষ্টার অসাধ্য কিছুই নেই”। উন্নয়নমুখী যেকোন ভালো কাজ করতে একজন সৃজনশীল, দূরদর্শী, ত্যাগী একজন ভালো মানুষের প্রয়োজন। তার চিন্তা চেতনা থাকবে গঠনমূলক। নবাগত ইউএনও নাহিদ হাসান খান ঠিক তেমনি যেন একজন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সাহিত্যিক ও শিল্পী মনের অধিকারী। তার হাতের রং তুলিতে যেন নানা রঙ্গে রাঙিয়ে নান্দনিকভাবে ফুটে উঠেছে অবহেলিত উপজেলা চত্ত্বরটি।
গণমানুষের জ্ঞান অর্জনে তিনি উপজেলা চত্ত্বরে একটি অত্যাধুনিক দৃষ্টিনন্দন উন্মুক্ত লাইব্রেরী নির্মাণ করেন। পাঠকদের বসার জন্য লাইব্রেরীটির ৩ পাশে অত্যাধুনিক নান্দনিক বসার ব্যবস্থা গড়ে তোলেন। নামিদামি পাঠকদের নানা রকমারি বই উন্মুক্ত লাইব্রেরীতে এখন শোভা পাচ্ছে । নান্দনিক এই উন্মুক্ত লাইব্রেরীটি উপজেলায় আগত গণ-মানুষদের ডেকে যেন বলছে ”হে পথিক দাঁড়াও” আমি তোমাদের জ্ঞান অর্জনে বুক ভরা বই নিয়ে তোমাদের সেবায় এভাবে দাঁড়িয়ে আছি।
উপজেলা চত্বরে আগাছা আর আবর্জনায় ঢাকা অবহেলিত মুক্ত মঞ্চটির নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে। মুক্তমঞ্চ ও শহীদ মিনারের যাতায়াতের রাস্তা অত্যাধুনিক করে গড়ে তোলা হয়েছে। এছাড়াও শহীদ মিনার সংস্কার, উপজেলার প্রধান প্রবেশদ্বার সংস্কার ও শিল্পকলা একাডেমীর অত্যাধুনিকভাবে সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে।
এছাড়াও শিল্পকলা একাডেমীর আরও একটি নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ অব্যাহত রয়েছে ।একজন উপজেলা প্রশাসক হয়ে অল্প সময়ের মধ্যে উপজেলা চত্বরে এতগুলো গণকল্যাণমুখী উন্নয়ন কাজ করায় একদিকে যেমন উপজেলা চত্ত্বরটি নান্দনিক রুপায়নে সভা বর্ধন হয়েছে। অন্যদিকে পাল্টে গেছে উপজেলা চত্ত্বরের জরাজীর্ণ পুরানো সেই দৃশ্যপট । ইউএনও নাহিদ হাসান খান তিনি কোন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নন। একজন উপজেলা প্রশাসক হয়ে এতগুলো গণ কল্যাণমুখী উন্নয়ন কাজ করে তিনি প্রমাণ করলেন চেষ্টার অসাধ্য কিছুই নেই। গনকল্যাণমুখী উন্নয়নমূলক কাজগুলো এ উপজেলার গণ মানুষের হৃদয়ে যুগ যুগ ধরে স্মৃতির অ্যালবামে হয়ে থাকবে যেন এক মাইলফলক।