দৃষ্টিজুড়ে প্রতিবাদ
মাহমুদুন্নবী জ্যোতি
মহান আল্লাহর দেয়া দৃষ্টি যেখানে
নান্দনিক পৃথিবীর অপার সৌন্দর্য উপভোগ করার কথা
সেখানে আজ চোখের সামনে ভেসে উঠে শুধুই বিভৎসতা
গাজাবাসীর রক্তের স্রোতে ভাসছে ইসরাইলের ট্যাংকবহর
নিরীহ নিরাপরাধ মানুষের উপর নির্বিচারে বোমা হামলা
অজস্র মৃত্যুর শোকে কান্না ভুলে বাকরুদ্ধ গাজাবাসী
অন্তরের দুর্বিসহ যাতনায় দৃষ্টিটা ঝাঁপসা হয়ে আসে।
এরই মাঝে আবার বর্বর ইসরাইলের ইরানে হামলা
সেখানে মেধাবীদের কফিন শোকার্তের ঘাড়ে
ইরানের পাল্টা হামলায় ইসরাইলীরাও অনিরাপদ
ইয়েমেনেও একই অবস্থা করেছে ইসরাইল
শুধু একটি মাত্র দেশের অতিলোভের কাছে
মানবতা আজ চরমভাবে ভূলুণ্ঠিত
বিশ্ব মোড়ল উল্লসিত, নিদ্রামগ্ন বিশ্ব বিবেক
দৃষ্টিতে আর ফুলের সৌন্দর্য নেই
নাসিকায় নেই আর এর অবারিত সুবাস
আছে কেবল বারুদের গন্ধ, গলিত লাশের গন্ধ
গগণ বিদারী আর্তনাদ আর বুকভাটা আহাজারি।
পৃথিবীর সমস্ত ফুলগুলি বোধহয় ঝরে যাচ্ছে
পাখির দল নীলাকাশ ছেড়ে হয়ে যাচ্ছে নিরুদ্দেশ
আমার দৃষ্টি এখন আর মেঘের ভেলা দেখে না
দেখে না পূর্ণিমার চাঁদ কিম্বা অমাবশ্যা রাতের অগণিত নক্ষত্র
দেখে রাতের স্তব্ধতা ভেদ করে উড়ে যাওয়া যুদ্ধ বিমান
তীব্র বেগে ছুটে চলা সভ্যতা বিধ্বংসী মিসাইল, ড্রোণ
আত্মঅহংকার আর লোভ একজন রাষ্টনায়ককে
কতটা অমানুষ করে তুলতে পারে
পান করতে পারে কতজন নিরীহ মানবের পবিত্র রক্ত
আমার দৃষ্টি তা দেখে। নিবিরভাবে দেখে।
আর তখনই বুকের মাঝে জ্বলে ওঠে প্রতিবাদের আগুন
আর প্রতিরোধের তীব্র তামান্না
কবিতা ছেড়ে ছুটে যেতে ইচ্ছে করে সেই সব রণাঙ্গনে
যেখানে প্রতিনিয়ত ঝরছে আমার ভাইয়ের পবিত্র রক্ত।