ঢাকা ০৭:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সকল প্রকার অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের আহ্বান উপদেষ্টা আসিফের সরকারের মূল উদ্দেশ্য শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের কাছেও হার বাংলাদেশের; কঠিন সমীকরণে বিশ্বকাপ ভাগ্য পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা হাসিনাসহ ১২ জনের নামে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন মুসলিম সংখ্যলঘুদের নিয়ে বাংলাদেশের বক্তব্য ভারতের প্রত্যাখ্যান সংস্কার ও শেখ হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন নয় : গোলাম পরওয়ার সরকারের কাজ-কামে দেশবাসী খুবই উদ্বিগ্ন : শামসুজ্জামান দুদু দর্শনায় পুলিশ কনস্টেবলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা; নিহত ৩৮

মঠবাড়িয়ায় মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে টিউশন ফির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় নিজামিয়া ঘোপখালী এনছানিয়া দাখিল মদ্রাাসা সুপার মাওলানা গোলাম কবির এর বিরুদ্ধে মাদ্রাসার সরকারি টিউশন ফি’র ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। সুপার কর্তৃক টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার বেতমোর ইউনিয়নের নিজামিয়া ঘোপখালী এনছানিয়া মাদ্রাসায় ২০১৬ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১৪ টি টিউশন ফি বাবদ ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা মাদ্রাসা সুপার মাওলানা গোলাম কবির ব্যাংক থেকে তুলেন। ওই টাকা সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সকল শিক্ষকদের পাওয়ার কথা থাকলেও কোন শিক্ষককে টাকা না দিয়ে মাদ্রাসা সুপার গোলাম কবির আত্মসাৎ করে। শিক্ষকরা হিসাব চাইলে টিউশন ফি’র টাকা নিয়ে নানা তালবাহানা শুরু করে ওই সুপার।
 মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী মাওঃ মোঃ শহিদুল ইসলাম, মোশারফ হোসেন, সহ-সুপার শাহ জালাল সহ অন্যান্য শিক্ষকরা জানান, গত ২০ অক্টোবর ২৪’ হিসাবে বসলে ৪ টি টিউশন ফি বাবাদ ৮৭ হাজার টাকার হিসাব দাড় করানো হয়। যার ২৮ হাজার টাকার খরচ দেখালেও বাকী ৫৭ হাজার টাকা আগামী দুই মাসের মধ্যে সুপার সকল শিক্ষকদের ফেরত দিবে মর্মে অঙ্গীকার করে।
শিক্ষকরা আরো জানান, মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আঃ রব মাষ্টার ও সুপার গোলাম কবির প্রভাব বিস্তার ও তাদের যোগসাজোশে বিধি বহির্ভূত কর্মকাণ্ড চলে আসলেও শিক্ষক-কর্মচারীরা কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না
 মাদ্রাসা সুপার মাওলানা গোলাম কবির বলেন আমার ভুল হয়ে গেছে। এছাড়াও ওই টাকা মাদ্রাসার স্বার্থে খরচ করা হয়েছে। পরবর্তীতে তিনি এবং মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আব্দুর রব মাস্টার গণমাধ্যম কর্মীদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মীর একেএম আবুল খায়ের বলেন, টিউশন ফি মন্ত্রণালয় থেকে সরাসরি মাদ্রাসার নামে ব্যাংকে জমা হয়। সেখানে আমাদের কোন মাধ্যম থাকে না। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা হবে।
মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)   আব্দুল কাইয়ূম বলেন, সরকারি টাকা আত্মসাৎ করা অন্যায়। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

রায়গঞ্জে সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত 

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

মঠবাড়িয়ায় মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে টিউশন ফির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

আপডেট সময় ০৯:৪৪:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় নিজামিয়া ঘোপখালী এনছানিয়া দাখিল মদ্রাাসা সুপার মাওলানা গোলাম কবির এর বিরুদ্ধে মাদ্রাসার সরকারি টিউশন ফি’র ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। সুপার কর্তৃক টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার বেতমোর ইউনিয়নের নিজামিয়া ঘোপখালী এনছানিয়া মাদ্রাসায় ২০১৬ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১৪ টি টিউশন ফি বাবদ ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা মাদ্রাসা সুপার মাওলানা গোলাম কবির ব্যাংক থেকে তুলেন। ওই টাকা সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সকল শিক্ষকদের পাওয়ার কথা থাকলেও কোন শিক্ষককে টাকা না দিয়ে মাদ্রাসা সুপার গোলাম কবির আত্মসাৎ করে। শিক্ষকরা হিসাব চাইলে টিউশন ফি’র টাকা নিয়ে নানা তালবাহানা শুরু করে ওই সুপার।
 মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী মাওঃ মোঃ শহিদুল ইসলাম, মোশারফ হোসেন, সহ-সুপার শাহ জালাল সহ অন্যান্য শিক্ষকরা জানান, গত ২০ অক্টোবর ২৪’ হিসাবে বসলে ৪ টি টিউশন ফি বাবাদ ৮৭ হাজার টাকার হিসাব দাড় করানো হয়। যার ২৮ হাজার টাকার খরচ দেখালেও বাকী ৫৭ হাজার টাকা আগামী দুই মাসের মধ্যে সুপার সকল শিক্ষকদের ফেরত দিবে মর্মে অঙ্গীকার করে।
শিক্ষকরা আরো জানান, মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আঃ রব মাষ্টার ও সুপার গোলাম কবির প্রভাব বিস্তার ও তাদের যোগসাজোশে বিধি বহির্ভূত কর্মকাণ্ড চলে আসলেও শিক্ষক-কর্মচারীরা কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না
 মাদ্রাসা সুপার মাওলানা গোলাম কবির বলেন আমার ভুল হয়ে গেছে। এছাড়াও ওই টাকা মাদ্রাসার স্বার্থে খরচ করা হয়েছে। পরবর্তীতে তিনি এবং মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আব্দুর রব মাস্টার গণমাধ্যম কর্মীদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মীর একেএম আবুল খায়ের বলেন, টিউশন ফি মন্ত্রণালয় থেকে সরাসরি মাদ্রাসার নামে ব্যাংকে জমা হয়। সেখানে আমাদের কোন মাধ্যম থাকে না। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা হবে।
মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)   আব্দুল কাইয়ূম বলেন, সরকারি টাকা আত্মসাৎ করা অন্যায়। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরো পড়ুন : মঠবাড়িয়ায় খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন