ঢাকা ০৪:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারত বয়কটের তামাশা করছে বিএনপি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বিএনপির সমালোচনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভারতের পেঁয়াজ দিয়ে বানানো পেঁয়াজু খায়, ভারতের গরুর মাংস দিয়ে সেহরি খায়, ভারতের শাড়ি পরে স্ত্রীরা সাজে, কিন্তু বয়কটের ডাক দেয়। তারা ভারতীয় পণ্য বয়কটের নামে মানুষের সঙ্গে তামাশা করছে। বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য তারা চেষ্টা করছে।

আজ সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় ড. হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ২৫ মার্চ যে গণহত্যা হয়েছে, একদিনে এতো বড় হত্যা ইতিহাসে বিরল। পিলখানা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল, যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।

২৫ মার্চের গণহত্যা দিবস অনেক আগেই স্বীকৃতি পেতে পারত জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর গণহত্যার সব আলামত নষ্ট করা হয়েছিল। জিয়াউর রহমান শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিল। যিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানের প্রতিনিধি দলের প্রধান হয়ে জাতিসংঘে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছিল।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল, যারা সবুজ পতাকার বদলে পাকিস্তানি চার তারকা চেয়েছিল, সেই জামায়াতে ইসলামি নেতাদের খালেদা জিয়া মন্ত্রী বানিয়েছিল। যারা লাল-সবুজ পতাকা চায়নি, তাদের গাড়িতে লাল-সবুজ পতাকা দিয়েছিল। যেখানে ৩০ লাখের তুলনায় আরও কম মানুষ হত্যার স্বীকার হয়েছে, সেগুলোও স্বীকৃতি পেয়েছে। তারা ৭৫ এর পরবর্তী গণহত্যার প্রমাণ মুছে দিয়েছিল, জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া ৩০ লাখ শহীদের ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল।

গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির প্রয়োজনীয়তা আছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের গণহত্যার স্বীকৃতি এজন্য দরকার যেন… ভবিষ্যতে এমন গণহত্যা পৃথিবীর কোথাও না হয়। গাজায় যে হত্যা হচ্ছে, সেখানে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বক্তব্য দিচ্ছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। আমরা এই গণহত্যা বন্ধ চাই।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের সমাবেশ করছে আজ। সেখানে খোঁজ নিলে দেখা যাবে যে, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী কিংবা শান্তি বাহিনীর কেউ বসে আছে।

এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী। সঞ্চালনা করছেন সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।

আরো পড়ুন : বিএনপি ভারতীয় পণ্য বর্জন করে দেশের অর্জন ধ্বংস করতে চায় : ওবায়দুল কাদের

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

জনপ্রিয় সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

ভারত বয়কটের তামাশা করছে বিএনপি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৫:৫৪:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪

বিএনপির সমালোচনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভারতের পেঁয়াজ দিয়ে বানানো পেঁয়াজু খায়, ভারতের গরুর মাংস দিয়ে সেহরি খায়, ভারতের শাড়ি পরে স্ত্রীরা সাজে, কিন্তু বয়কটের ডাক দেয়। তারা ভারতীয় পণ্য বয়কটের নামে মানুষের সঙ্গে তামাশা করছে। বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য তারা চেষ্টা করছে।

আজ সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় ড. হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ২৫ মার্চ যে গণহত্যা হয়েছে, একদিনে এতো বড় হত্যা ইতিহাসে বিরল। পিলখানা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল, যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।

২৫ মার্চের গণহত্যা দিবস অনেক আগেই স্বীকৃতি পেতে পারত জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর গণহত্যার সব আলামত নষ্ট করা হয়েছিল। জিয়াউর রহমান শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিল। যিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানের প্রতিনিধি দলের প্রধান হয়ে জাতিসংঘে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছিল।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল, যারা সবুজ পতাকার বদলে পাকিস্তানি চার তারকা চেয়েছিল, সেই জামায়াতে ইসলামি নেতাদের খালেদা জিয়া মন্ত্রী বানিয়েছিল। যারা লাল-সবুজ পতাকা চায়নি, তাদের গাড়িতে লাল-সবুজ পতাকা দিয়েছিল। যেখানে ৩০ লাখের তুলনায় আরও কম মানুষ হত্যার স্বীকার হয়েছে, সেগুলোও স্বীকৃতি পেয়েছে। তারা ৭৫ এর পরবর্তী গণহত্যার প্রমাণ মুছে দিয়েছিল, জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া ৩০ লাখ শহীদের ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল।

গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির প্রয়োজনীয়তা আছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের গণহত্যার স্বীকৃতি এজন্য দরকার যেন… ভবিষ্যতে এমন গণহত্যা পৃথিবীর কোথাও না হয়। গাজায় যে হত্যা হচ্ছে, সেখানে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বক্তব্য দিচ্ছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। আমরা এই গণহত্যা বন্ধ চাই।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের সমাবেশ করছে আজ। সেখানে খোঁজ নিলে দেখা যাবে যে, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী কিংবা শান্তি বাহিনীর কেউ বসে আছে।

এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী। সঞ্চালনা করছেন সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।

আরো পড়ুন : বিএনপি ভারতীয় পণ্য বর্জন করে দেশের অর্জন ধ্বংস করতে চায় : ওবায়দুল কাদের