সুরমার বুকে কাঠ ও বাঁশ দিয়ে সেতু নির্মাণ করেছেন তিনি। কাঠ ও বাঁশের তৈরী সেতু দিয়ে সহজেই নদী পার হতে পারছেন দুইপারের যাত্রীরা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, প্রতিদিন এ নদীর উপর দিয়ে হাজার হাজার যাত্রীরা নদী পার হন। বিশেষত লুৎফুর রহমান হাইস্কুল এন্ড কলেজ, ইছামতি ডিগ্রী কলেজ, আটগ্রাম আমজদিয়া দাখিল মাদরাসা, জকিগঞ্জ সরকারি কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন নদী পার হয়ে থাকেন৷
সেতুর নির্মাতা আলী আহমদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সেতুর কাজ পহেলা নভেম্বর থেকে শুরু হয় বর্তমানে কাজ শেষ হলেও এখনও রেলিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে। প্রায় ৩০০ ফুট দৈর্ঘ্যের সেতুটি তৈরী করতে ব্যয় হয়েছে এক লক্ষ ষাট হাজার টাকা। কাঠের সেতু নির্মাণ হলেও পূর্বের মতো জেলা পরিষদের আরোপিত ০৫ টাকা দিয়ে নদী পার হতে পারে যাত্রীরা।
কোথায় থেকে কাঠের সেতু নির্মাণের ভাবনা আসলো, প্রশ্নের জবাবে আলী আহমদ জানান, মানিকগঞ্জ জেলায় কাজ করতে গিয়ে এরকম সেতু দেখতে পান তিনি। সেসময়ই কখনও নদীর ঘাট ইজারা পেলে এরকম সেতু তৈরী করবেন বলে মনে মনে সংকল্প করেন তিনি।
যাত্রীরা জানান, ‘বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পার হতে গিয়ে তাদের ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হতো। বিশেষত মহিলা ও শিশুরা সাঁকো দিয়ে নদী পার হতে ভীষণ বিপাকে পড়তেন। বর্তমানে কাঠের সেতু তৈরি হওয়ায় যাত্রীরা সহজেই নদী পার হতে পারছেন। আগে গভীর রাত কোনো সমস্যা হলে নদী পার হওয়ার জন্য নৌকা পাওয়া কঠিন ব্যাপার ছিলো। এখন যেকোন সময় দ্রুত নদী পার হওয়া যায়। যাত্রীরা আরও জানান বিগত দিনে জনপ্রতিনিধিদের কাছে ব্রিজের দাবী জানালেও তা আলোর মুখ দেখেনি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব আবুল হারিস চৌধুরী, সাবেক এমপি সেলিম উদ্দীনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও সাবেক এমপি মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী সংসদে ব্রিজের দাবি উত্তাপন করলে আশার সঞ্চালন হয়েছিলো এলাকাবাসীর মধ্যে। তবে তাদের সে দাবি আলোর মুখ দেখেনি। মানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে নদীর উপর একটি পাকা ব্রীজ স্থাপনের দাবি জানান এলাকাবাসী!