বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসতে শুরু করেছেন। আয়োজন সফল করতে অনুষ্ঠান এলাকায় প্রস্তুতিও প্রায় শেষ করা হয়েছে সংগঠনটির পক্ষ থেকে।
বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, আজ (৩১ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার সকাল থেকে খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, নাটোর, নওগা, পঞ্চগড়সহ বিভিন্ন জেলা থেকে গাড়ি নিয়ে শহীদ মিনার এলাকায় আসতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। তাদের কোন কোনো দলকে ঘটনাস্থলেই অবস্থান নিতে দেখা গেছে। শিক্ষার্থীরা কেউ কেউ আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলেও তাৎক্ষনিক ভাবে অবস্থান নিয়েছেন। গভীর রাতে কর্মসূচি ঘোষণার কারণে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ও জেলাগুলো থেকে মানুষজন কিছুটা দেরিতে রওনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা।
সোমবার রাতে সরকার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটির দফায় দফায় বৈঠক ও নানা নাটকীয়তার পর গভীর রাতে সংবাদ সম্মেলন করে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।মঙ্গলবার শহীদ মিনারে পূর্ব-ঘোষিত ‘জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র’ দেয়া না হবে বলেও জানানো হয়। তবে, মার্চ ফর ইউনিটি কর্মসূচি যোগ দিতে সারাদেশের ছাত্র জনতা ও সংগঠনের নেতাকর্মীদের অনুরোধ করা হয়।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মূখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে জানানো হয় এই কর্মসূচিতে সারাদেশের দেড় থেকে প্রায় আড়াই লাখ মানুষের সমাগম হবে। যে কারণে বিশাল এ আয়োজনের জন্য সাউন্ড সিস্টেম প্রস্তুতির কাজ শুরু হয় সোমবার সন্ধ্যা থেকেই।
মঙ্গলবার সকাল থেকে শহীদ মিনার এলাকায় চুড়ান্তভাবে সাউন্ড চেকিং, ক্যামেরা স্থাপন, ডিজিটাল মনিটর স্থাপনের কাজ চুড়ান্ত করতে দেখা গেছে। সকালের পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে কিছু প্রামাণ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হবে। যে কারণে বিভিন্ন জায়গায় বড় পর্দাও স্থাপন করা হয়েছে। সেগুলোর প্রস্ততিও নিতে দেখা যায় আয়োজক শিক্ষার্থীদের। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে মঙ্গলবার ভোরে একটি ভিডিও আপলোড করা হয়।
শহীদ মিনারের কর্মসূচি ঘিরে শিক্ষার্থীদের ব্যানার ফেস্টুন আর পতাকা নিয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে দেখা যায়। ‘মুজিববাদ নিপাত যাক’, ‘দিল্লী না ঢাকা, ঢাকা-ঢাক’, ‘বিপ্লবীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না’, আমার সোনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ এমন নানা প্লাকার্ড তৈরি করতেও দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।