ঢাকা ১২:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে : রাষ্ট্রপতি ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করে : ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বিশ্বব্যাংকের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত শেখ হাসিনার আমলে উচ্চ প্রবৃদ্ধি ছিল ভুয়া : ড. ইউনূস উপদেষ্টাদের কেউ রাজনীতি করলে সরকার থেকে বের হয়ে করবে : আসিফ মাহমুদ সিক্রেট সার্ভিস প্রধানের নাম ঘোষণা করলেন ট্রাম্প প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মহাসচিবের সাক্ষাৎ বিপিএল খেলতে এসে পারিশ্রমিক না পাওয়ার অভিযোগ শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারের থানা থেকে পালানো ওসি শাহ আলম ‘সম্ভবত’ ভারত চলে গেছে: ডিএমপি কমিশনার শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলে রেড এলার্ট জারি: আসিফ নজরুল

রুকু-সিজদায় কতবার তাসবিহ পড়বেন?

  • ইসলাম ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:২২:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫
  • 3

রুকু-সিজদায় কমপক্ষে তিন তিনবার তাসবিহ পড়া সুন্নত, পাঁচবার বা সাতবারও পড়া যায়। ইচ্ছা করে তিনবারের কম পড়া অনুচিত। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন রুকু করে তখন সে যেন তিনবার ‘সুবাহানা রাবিবয়াল আযীম’ বলে এবং যখন সিজদা করে তখন যেন তিনবার ‘সুবহানা রাবিবয়াল আ’লা’ বলে। যখন সে এভাবে তিনবার করে তাসবিহ পড়বে, তখন তার রুকু ও সিজদা পূর্ণ হবে। আর এটি হল তাসবিহ আদায়ের সর্বনিম্ন পরিমাণ। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা)

তিনবার তাসবিহ পড়া যেহেতু ফরজ বা ওয়াজিব নয়, তাই তিনবার তাসবিহের কম পড়লেও নামাজ আদায় হয়ে যাবে। রুকু ও সিজদায় কেউ ভুল করে বা ইচ্ছাকৃত একবার বা দুবার তাসবিহ পড়লেও নামাজ বাতিল হবে না বা সাহু সিজদাও ওয়াজিব হবে না।

তবে নামাজে তাড়াহুড়া করা কোনোভাবেই উচিত নয়। রুকু ও সিজদাসহ নামাজের প্রতিটি রোকনে গিয়ে স্থির হওয়া পর্যন্ত অবস্থান করা ফরজ। কেউ যদি তাড়াহুড়া করতে গিয়ে নামাজের রোকনগুলোয় গিয়ে ঠিক মতো স্থীরও না হয়, তাহলে নামাজ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) একদিন মসজিদে ঢুকলেন, তখন একজন সাহাবি এসে নামাজ আদায় করলেন। তারপর তিনি এসে নবিজিকে (সা.) সালাম করলেন। নবিজি সালামের জবাব দিয়ে বললেন, আবার গিয়ে নামাজ আদায় করুন, আপনি নামাজ আদায় করেননি।

সাহাবি ফিরে গিয়ে আগের মত নামাজ আদায় করে আবার নবিজিকে (সা.) সালাম করলেন। নবিজি আবার বললেন, ফিরে গিয়ে নামাজ আদায় করুন, আপনি নামাজ আদায় করেননি।

এভাবে তিনবার তিনি তাকে ফিরে গিয়ে নামাজ আদায় করতে বললেন।

সাহাবি বললেন, সেই মহান সত্তার শপথ! যিনি আপনাকে সত্যসহ পাঠিয়েছেন, আমি তো এর চেয়ে সুন্দর করে নামাজ আদায় করতে পারি না। আপনি আমাকে শিখিয়ে দিন।

নবিজি (সা.) বললেন, যখন আপনি নামাজের জন্য দাঁড়াবেন, তখন তাকবির বলবেন। তারপর কোরআন থেকে কিছু আয়াত পড়বেন যা আপনার জন্য সহজ হয়। তারপর রুকুতে যাবেন এবং ধীরস্থিরভাবে রুকু আদায় করবেন। তারপর রুকু’ থেকে উঠে সোজা হয়ে দাঁড়াবেন। তারপর ধীরস্থিরভাবে সিজদা করবেন। এরপর সিজদা থেকে উঠে স্থিরভাবে বসবেন এবং পুনরায় সিজদায় গিয়ে ধীরস্থিরভাবে সিজদা করবেন। এভাবে পুরো নামাজ আদায় করবেন। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

রুকু-সিজদায় কতবার তাসবিহ পড়বেন?

আপডেট সময় ১১:২২:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫

রুকু-সিজদায় কমপক্ষে তিন তিনবার তাসবিহ পড়া সুন্নত, পাঁচবার বা সাতবারও পড়া যায়। ইচ্ছা করে তিনবারের কম পড়া অনুচিত। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন রুকু করে তখন সে যেন তিনবার ‘সুবাহানা রাবিবয়াল আযীম’ বলে এবং যখন সিজদা করে তখন যেন তিনবার ‘সুবহানা রাবিবয়াল আ’লা’ বলে। যখন সে এভাবে তিনবার করে তাসবিহ পড়বে, তখন তার রুকু ও সিজদা পূর্ণ হবে। আর এটি হল তাসবিহ আদায়ের সর্বনিম্ন পরিমাণ। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা)

তিনবার তাসবিহ পড়া যেহেতু ফরজ বা ওয়াজিব নয়, তাই তিনবার তাসবিহের কম পড়লেও নামাজ আদায় হয়ে যাবে। রুকু ও সিজদায় কেউ ভুল করে বা ইচ্ছাকৃত একবার বা দুবার তাসবিহ পড়লেও নামাজ বাতিল হবে না বা সাহু সিজদাও ওয়াজিব হবে না।

তবে নামাজে তাড়াহুড়া করা কোনোভাবেই উচিত নয়। রুকু ও সিজদাসহ নামাজের প্রতিটি রোকনে গিয়ে স্থির হওয়া পর্যন্ত অবস্থান করা ফরজ। কেউ যদি তাড়াহুড়া করতে গিয়ে নামাজের রোকনগুলোয় গিয়ে ঠিক মতো স্থীরও না হয়, তাহলে নামাজ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) একদিন মসজিদে ঢুকলেন, তখন একজন সাহাবি এসে নামাজ আদায় করলেন। তারপর তিনি এসে নবিজিকে (সা.) সালাম করলেন। নবিজি সালামের জবাব দিয়ে বললেন, আবার গিয়ে নামাজ আদায় করুন, আপনি নামাজ আদায় করেননি।

সাহাবি ফিরে গিয়ে আগের মত নামাজ আদায় করে আবার নবিজিকে (সা.) সালাম করলেন। নবিজি আবার বললেন, ফিরে গিয়ে নামাজ আদায় করুন, আপনি নামাজ আদায় করেননি।

এভাবে তিনবার তিনি তাকে ফিরে গিয়ে নামাজ আদায় করতে বললেন।

সাহাবি বললেন, সেই মহান সত্তার শপথ! যিনি আপনাকে সত্যসহ পাঠিয়েছেন, আমি তো এর চেয়ে সুন্দর করে নামাজ আদায় করতে পারি না। আপনি আমাকে শিখিয়ে দিন।

নবিজি (সা.) বললেন, যখন আপনি নামাজের জন্য দাঁড়াবেন, তখন তাকবির বলবেন। তারপর কোরআন থেকে কিছু আয়াত পড়বেন যা আপনার জন্য সহজ হয়। তারপর রুকুতে যাবেন এবং ধীরস্থিরভাবে রুকু আদায় করবেন। তারপর রুকু’ থেকে উঠে সোজা হয়ে দাঁড়াবেন। তারপর ধীরস্থিরভাবে সিজদা করবেন। এরপর সিজদা থেকে উঠে স্থিরভাবে বসবেন এবং পুনরায় সিজদায় গিয়ে ধীরস্থিরভাবে সিজদা করবেন। এভাবে পুরো নামাজ আদায় করবেন। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)