বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বর্তমানে ফ্যাসিবাদের বিচারসহ সংস্কারের নামে যে দাবিগুলো উঠছে সেগুলোর আগে যেটা দরকার তা হলো সকলের অংশ গ্রহনে একটি নির্বাচন। দরকার একটি গণতান্ত্রিক সরকার। বর্তমানে সংস্কারের নামে যে দাবিগুলো করা হচ্ছে সেগুলো অনেক আগেই বেগম খালেদা জিয়ার।বর্তমানে দেশনায়েক তারেক রহমানের ৩১ দফাতেও বিদ্যমান। তাই সংস্কারের নামে দেশের জনগনকে কষ্ট দিয়ে অন্য কিছু করার চিন্তা করা হলে সেটা এদেশের মানুষ মানবে না।
বুধবার (১২ ফ্রেরুয়ারী) বিকেলে সিরাজগঞ্জ শহরের ইসলামিয়া সরকারি কলেজ মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
জনসভায় নজরুল ইসলাম খান আরো আরও বলেন, ৭৫ এর পর যখন দেশের মানুষ দিশেহারা ছিল তখন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশের হাল ধরলে তখন দেশের মানুষ আশস্ত হয়। তিনি বাকশাল বাতিল করে দেশে বহুদলীয় গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনেন। দেশের অর্থনীতির চাকা আবারও সচল করেন। ঠিক তখনই দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রে তাঅদদকে হত্যা করে দেশকে আবারও অশ্চিয়তার মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।
জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য রোমানা মাহমুদের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ) ও জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক আমিরুল ইসলাম খান আলিম। বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, সাবেক এমপি আব্দুল মান্নান তালুকদার, এম আকবর আলী, কন্ঠশিল্পী কনকচাঁপা, বিএনপি নেত্রী সিমকী ইমাম খান, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান লেবু, মকবুল হোসেন চেীধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান দুলাল, নাজমুল হাসান তালুকদার রানা,ভিপি অমর কৃঞ্চ দাস, যুগ্ম সম্পাদক শামীম খান, রাশেদুল হাসান রঞ্জন, মুন্সী জাহেদ আলম, নুর কায়েম সবুজ, সদর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি রফিক সরকার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে এই জনসভার আয়োজন করা হয়।