ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে লাল শিমুল ফুলের পাপড়ির সৌন্দর্যে ভরে উঠেছে । মৌমাছির মৌ মৌ শব্দে ফুলের পাপড়ির সুগন্ধি ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে। যে দিকে চোখ যায় যেন লাল ফুলের গালিচা বিছিয়ে রয়েছে শিমুল গাছের প্রতিটি ডালে। প্রকৃতি এক অসাধারণ দৃশ্য ধারণ করেছে যা দেখে চোখ মন দুটোই জুড়িয়ে যায়।
ঋতুরাজ বসন্ত যেন প্রকৃতির এক নতুন মায়ায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছে ,সেজে উঠেছে আপন চিত্তে। আগুন রাঙ্গা লাল শিমুলের দোল যেন হাতছানি দিচ্ছে সৌন্দর্যের নান্দনিক রুপে । বসন্ত এলেই যেন ভালোবাসার কথা জানান দিতে প্রকৃতিকে রাঙিয়ে দিয়ে হেসে ওঠে শিমুল ফুল। তাই ঋতু চক্রের আবর্তনে শিমুল ফুল তার মোহনীয় সৌন্দর্য নিয়ে আবারো হাজির হয়েছে প্রকৃতির মাঝে। শিমুল ফুলের লাল আবির বসন্তকে দিয়েছে এক অনান্য মাত্রা ।
তবে এই শিমুল ফুল এবং শিমুল গাছের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে গ্রামীণ জনপদের প্রতিটি মানুষের মাঝে , শিমুল তুলার ব্যবহার হয়ে আসছে আদিযুগ থেকেই। গ্রামের মানুষেরা শিমুলের নরম তুলা দিয়ে এখনো তৈরি করেন লেপ তোশক এবং কি বালিশ যা প্রত্যেকটি মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সাথে মিশে আছে। প্রাকৃতিক উপাদান হওয়ায় এর গুরুত্ব গ্রামীণ জীবনে অনেক।
তবে জনসচেতনতার অভাবে এ জেলা থেকে ক্রমেই হারিয়েই যাচ্ছে শিমুল গাছ। যার ফলে বিলুপ্ত হচ্ছে বড় বড় গাছ , সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে স্বাস্থ্যসম্মত তুলা থেকে , প্রকৃতি হারাচ্ছে তার নিজস্ব ভারসাম্য।