ঢাকা ০৯:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শান্তিরক্ষা মিশনে আরও বেশি নারী সদস্য নেওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে আরও বেশি বাংলাদেশি নারী সদস্য নিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একইসঙ্গে তিনি আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা ও নিরাপত্তা কার্যক্রমে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

আজ রোববার (২০ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ-পিয়ের ল্যাক্রোয়া প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে সরকারপ্রধান এ আহ্বান জানান। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশি নারীদের শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ আরও বাড়াতে আমি উৎসাহিত করছি।

বৈঠকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ নিয়মিতভাবে শান্তিরক্ষা মিশনে শীর্ষ তিনটি সেনা/পুলিশ প্রেরণকারী দেশের মধ্যে রয়েছে। বর্তমানে ১১টি সক্রিয় শান্তিরক্ষা মিশনের মধ্যে ১০টিতে বাংলাদেশের মোট ৫ হাজার ৬৭৭ জন শান্তিরক্ষী কর্মরত।

জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ-পিয়ের ল্যাক্রোয়া বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় নারীদের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর নীতিতে অটল। তিনি বলেন, আমরা নারীদের নির্দিষ্ট কিছু ভূমিকায় সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না। শান্তিরক্ষার সব স্তরে নারীদের নিয়োগে জাতিসংঘ সহায়তা করবে।

ড. ইউনূস বলেন, জাতিসংঘের প্রয়োজন অনুযায়ী বাংলাদেশ অতিরিক্ত সেনা ও পুলিশ পাঠাতে প্রস্তুত রয়েছে। তিনি বলেন, শান্তিরক্ষা ক্যাপাবিলিটি রেডিনেস সিস্টেম (পিসিআরএস) এর অধীনে র‌্যাপিড ডিপ্লয়মেন্ট লেভেলে বাংলাদেশ পাঁচটি ইউনিটের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জাতিসংঘের সদর দপ্তর ও মাঠ পর্যায়ের নেতৃত্বেও বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ বাড়ানো প্রয়োজন।

জাতিসংঘ কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশকে এ ব্যাপারেও সমর্থন দেবে জাতিসংঘ।

এ সময় মিয়ানমারে চলমান সংঘাত এবং সীমান্তে গুলি বিনিময়, বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ও নাফ নদীর আশপাশে জীবন-জীবিকা বিঘ্ন ঘটায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা।

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও কার্যকর উদ্যোগের আহ্বান জানান তিনি।

আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস

 

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত সতর্ক থাকার আহ্বান তারেক রহমানের

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

শান্তিরক্ষা মিশনে আরও বেশি নারী সদস্য নেওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

আপডেট সময় ০৬:২৬:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে আরও বেশি বাংলাদেশি নারী সদস্য নিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একইসঙ্গে তিনি আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা ও নিরাপত্তা কার্যক্রমে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

আজ রোববার (২০ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ-পিয়ের ল্যাক্রোয়া প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে সরকারপ্রধান এ আহ্বান জানান। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশি নারীদের শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ আরও বাড়াতে আমি উৎসাহিত করছি।

বৈঠকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ নিয়মিতভাবে শান্তিরক্ষা মিশনে শীর্ষ তিনটি সেনা/পুলিশ প্রেরণকারী দেশের মধ্যে রয়েছে। বর্তমানে ১১টি সক্রিয় শান্তিরক্ষা মিশনের মধ্যে ১০টিতে বাংলাদেশের মোট ৫ হাজার ৬৭৭ জন শান্তিরক্ষী কর্মরত।

জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ-পিয়ের ল্যাক্রোয়া বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় নারীদের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর নীতিতে অটল। তিনি বলেন, আমরা নারীদের নির্দিষ্ট কিছু ভূমিকায় সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না। শান্তিরক্ষার সব স্তরে নারীদের নিয়োগে জাতিসংঘ সহায়তা করবে।

ড. ইউনূস বলেন, জাতিসংঘের প্রয়োজন অনুযায়ী বাংলাদেশ অতিরিক্ত সেনা ও পুলিশ পাঠাতে প্রস্তুত রয়েছে। তিনি বলেন, শান্তিরক্ষা ক্যাপাবিলিটি রেডিনেস সিস্টেম (পিসিআরএস) এর অধীনে র‌্যাপিড ডিপ্লয়মেন্ট লেভেলে বাংলাদেশ পাঁচটি ইউনিটের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জাতিসংঘের সদর দপ্তর ও মাঠ পর্যায়ের নেতৃত্বেও বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ বাড়ানো প্রয়োজন।

জাতিসংঘ কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশকে এ ব্যাপারেও সমর্থন দেবে জাতিসংঘ।

এ সময় মিয়ানমারে চলমান সংঘাত এবং সীমান্তে গুলি বিনিময়, বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ও নাফ নদীর আশপাশে জীবন-জীবিকা বিঘ্ন ঘটায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা।

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও কার্যকর উদ্যোগের আহ্বান জানান তিনি।

আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস