ঢাকা ০৭:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে যাচ্ছে পাকিস্তান

সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করার ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তান। এই বিষয়ে কমপক্ষে তিনটি আইনি বিকল্পের ওপর কাজ করছে ইসলামাবাদ, যার মধ্যে চুক্তির মধ্যস্থতাকারী বিশ্বব্যাংকের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করাও হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানান দেশটির আইন ও বিচার প্রতিমন্ত্রী আকিল মালিক। খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।

আইন ও বিচার প্রতিমন্ত্রী জানান, পাকিস্তান স্থায়ী সালিশি আদালত বা হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে যাওয়ার কথাও বিবেচনা করছে। সেখানে দেশটি অভিযোগ করতে পারে, ভারত ১৯৬৯ সালের ভিয়েনা কনভেনশন অন দ্য ল’ অব ট্রিটিজ লঙ্ঘন করেছে।

মালিক আরও বলেন, ‘আইনি কৌশলগত পরামর্শ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে এবং কোন পথে আইনি লড়াই চালানো হবে, সে বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ একাধিক আইনি পথ অনুসরণ করা হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।

গত সপ্তাহে জম্মু ও কাশ্মীরে (আইআইওজেকে) সন্ত্রাসী হামলার পর বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় ১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে ভারত। নয়াদিল্লি বলেছে, ‘পাকিস্তান বিশ্বাসযোগ্যভাবে এবং অপরিবর্তনীয়ভাবে সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদে সমর্থন বন্ধ না করা পর্যন্ত’ এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। তবে ইসলামাবাদ ওই হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।

ভারত ওই হামলায় চিহ্নিত তিন হামলাকারীর মধ্যে দুজনকে পাকিস্তানি নাগরিক বলে দাবি করেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান বলেছে, ‘পাকিস্তানের মালিকানাধীন পানির প্রবাহ বন্ধ বা অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার যেকোনো ধরনের প্রচেষ্টা যুদ্ধ ঘোষণার শামিল হিসেবে বিবেচিত হবে।’

এ ছাড়া ভারতের সঙ্গে সব প্রকার বাণিজ্য স্থগিত ও ভারতীয় এয়ারলাইন্সের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করেছে পাকিস্তান।

আকিল মালিক আরও জানান, ইসলামাবাদ চতুর্থ কূটনৈতিক বিকল্প হিসেবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বিষয়টি উত্থাপন করার কথাও বিবেচনা করছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘চুক্তি একতরফাভাবে স্থগিত করা বা স্থগিত রাখা যায় না, চুক্তিতে এমন কোনো বিধান নেই।’

উভয় দেশের সরকারি কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা একমত, ভারত অবিলম্বে পানিপ্রবাহ বন্ধ করতে পারবে না। কারণ চুক্তি অনুযায়ী তারা কেবল জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে পারবে। পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দকৃত তিনটি নদীর ওপর উল্লেখযোগ্য জলাধার বা বাঁধ নির্মাণের অনুমতি নেই।

১৩০টি পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের দিকে তাক করা আছে : পাকিস্তান

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে যাচ্ছে পাকিস্তান

আপডেট সময় ১১:৪৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করার ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তান। এই বিষয়ে কমপক্ষে তিনটি আইনি বিকল্পের ওপর কাজ করছে ইসলামাবাদ, যার মধ্যে চুক্তির মধ্যস্থতাকারী বিশ্বব্যাংকের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করাও হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানান দেশটির আইন ও বিচার প্রতিমন্ত্রী আকিল মালিক। খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।

আইন ও বিচার প্রতিমন্ত্রী জানান, পাকিস্তান স্থায়ী সালিশি আদালত বা হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে যাওয়ার কথাও বিবেচনা করছে। সেখানে দেশটি অভিযোগ করতে পারে, ভারত ১৯৬৯ সালের ভিয়েনা কনভেনশন অন দ্য ল’ অব ট্রিটিজ লঙ্ঘন করেছে।

মালিক আরও বলেন, ‘আইনি কৌশলগত পরামর্শ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে এবং কোন পথে আইনি লড়াই চালানো হবে, সে বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ একাধিক আইনি পথ অনুসরণ করা হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।

গত সপ্তাহে জম্মু ও কাশ্মীরে (আইআইওজেকে) সন্ত্রাসী হামলার পর বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় ১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে ভারত। নয়াদিল্লি বলেছে, ‘পাকিস্তান বিশ্বাসযোগ্যভাবে এবং অপরিবর্তনীয়ভাবে সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদে সমর্থন বন্ধ না করা পর্যন্ত’ এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। তবে ইসলামাবাদ ওই হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।

ভারত ওই হামলায় চিহ্নিত তিন হামলাকারীর মধ্যে দুজনকে পাকিস্তানি নাগরিক বলে দাবি করেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান বলেছে, ‘পাকিস্তানের মালিকানাধীন পানির প্রবাহ বন্ধ বা অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার যেকোনো ধরনের প্রচেষ্টা যুদ্ধ ঘোষণার শামিল হিসেবে বিবেচিত হবে।’

এ ছাড়া ভারতের সঙ্গে সব প্রকার বাণিজ্য স্থগিত ও ভারতীয় এয়ারলাইন্সের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করেছে পাকিস্তান।

আকিল মালিক আরও জানান, ইসলামাবাদ চতুর্থ কূটনৈতিক বিকল্প হিসেবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বিষয়টি উত্থাপন করার কথাও বিবেচনা করছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘চুক্তি একতরফাভাবে স্থগিত করা বা স্থগিত রাখা যায় না, চুক্তিতে এমন কোনো বিধান নেই।’

উভয় দেশের সরকারি কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা একমত, ভারত অবিলম্বে পানিপ্রবাহ বন্ধ করতে পারবে না। কারণ চুক্তি অনুযায়ী তারা কেবল জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে পারবে। পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দকৃত তিনটি নদীর ওপর উল্লেখযোগ্য জলাধার বা বাঁধ নির্মাণের অনুমতি নেই।

১৩০টি পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের দিকে তাক করা আছে : পাকিস্তান