ঢাকা ১১:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমার পরিবারটা ধ্বংস হয়ে গেছে; আদালতে মতিউর

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী লায়লা কানিজের জামিন নাকচ করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন।

এদিন আদালতে মতিউরের পক্ষে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। এরপর আইনজীবী শুনানিতে বলেন, আসামি (মতিউর) ও তার স্ত্রী লায়লা কানিজ দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে আটক রয়েছে। তাঁরা উভয়ে ষড়যন্ত্রের শিকার। আসামিরা জামিন দিলে পলাতক হবেন না।

এসময় মতিউর আদালতে বিচারকের কাছে অনুমতি নিয়ে কথা বলতে চান। এরপরে বিচারক অনুমতি দিলে তিনি বলেন, আমার মা স্ট্রোকের রোগী। আমি ও আমার স্ত্রী দুজনই গ্রেপ্তার। আমার পরিবারটা ধ্বংস হয়ে গেছে। আমি ও আমার স্ত্রী বর্তমানে দুজনই কারাগারে। আমার মা প্যারালাইসিস রোগী। তাকে দেখার কেউ নেই। এ কথা বলে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। মতিউর রহমান বলেন, আমি কারাগার থেকে দুদককে একটি চিঠি দিয়েছিলাম। আমি আপনাকে এ চিঠিটা দিলাম। আপনি দয়া করে চিঠিটা পড়ে যে আদেশ দেবেন, আমি তা মাথা পেতে নেব।

মতিউর আরও বলেন, আমাকে জামিন দিন। আমাকে জামিন দিলে আমার কাছে যে নথিপত্র আছে আমি তা আদালতে উপস্থাপন করে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারব। এরপরে আদালত বলেন, আপনি দোষী বা নির্দোষ তা এখনই বলা যাবে না। মামলাটি তদন্তাধীন। তাই আপনাকে আরও ধৈর্যধারণ করতে হবে। এরপর আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।

নথি থেকে জানা গেছে, গত বছরের ২ জুলাই মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদ বিবরণী চেয়ে পৃথক নোটিশ পাঠায় দুদক। এসব নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ২৯ আগস্ট মতিউর, তার দুই স্ত্রী এবং ছেলে-মেয়েসহ পাঁচজনের সম্পদ বিবরণী দুদকে জমা দেন। চলতি বছর ৬ জানুয়ারি মামলা করে দুদক। আর ১৪ জানুয়ারি তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এজাহারে বলা হয়েছে, গত বছরের ৪ জুন মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অনুসন্ধানের নামে দুদক। অনুসন্ধানে মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ৬৫ বিঘা জমি, আটটি ফ্ল্যাট, দুটি রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট এবং তিনটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের তথ্য পায় দুদক। মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব, মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবার হিসাব ও শেয়ারবাজারের বিও হিসাব ক্রোক করা হয়। পরে ২৪ জুন মতিউর ও তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী এবং সন্তানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।

আ.লীগ নেতাকর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণ; দায় স্বীকার করলেন মেজর সাদিকের স্ত্রী

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

জনপ্রিয় সংবাদ

ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

আমার পরিবারটা ধ্বংস হয়ে গেছে; আদালতে মতিউর

আপডেট সময় ০৮:৫১:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী লায়লা কানিজের জামিন নাকচ করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন।

এদিন আদালতে মতিউরের পক্ষে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। এরপর আইনজীবী শুনানিতে বলেন, আসামি (মতিউর) ও তার স্ত্রী লায়লা কানিজ দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে আটক রয়েছে। তাঁরা উভয়ে ষড়যন্ত্রের শিকার। আসামিরা জামিন দিলে পলাতক হবেন না।

এসময় মতিউর আদালতে বিচারকের কাছে অনুমতি নিয়ে কথা বলতে চান। এরপরে বিচারক অনুমতি দিলে তিনি বলেন, আমার মা স্ট্রোকের রোগী। আমি ও আমার স্ত্রী দুজনই গ্রেপ্তার। আমার পরিবারটা ধ্বংস হয়ে গেছে। আমি ও আমার স্ত্রী বর্তমানে দুজনই কারাগারে। আমার মা প্যারালাইসিস রোগী। তাকে দেখার কেউ নেই। এ কথা বলে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। মতিউর রহমান বলেন, আমি কারাগার থেকে দুদককে একটি চিঠি দিয়েছিলাম। আমি আপনাকে এ চিঠিটা দিলাম। আপনি দয়া করে চিঠিটা পড়ে যে আদেশ দেবেন, আমি তা মাথা পেতে নেব।

মতিউর আরও বলেন, আমাকে জামিন দিন। আমাকে জামিন দিলে আমার কাছে যে নথিপত্র আছে আমি তা আদালতে উপস্থাপন করে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারব। এরপরে আদালত বলেন, আপনি দোষী বা নির্দোষ তা এখনই বলা যাবে না। মামলাটি তদন্তাধীন। তাই আপনাকে আরও ধৈর্যধারণ করতে হবে। এরপর আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।

নথি থেকে জানা গেছে, গত বছরের ২ জুলাই মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদ বিবরণী চেয়ে পৃথক নোটিশ পাঠায় দুদক। এসব নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ২৯ আগস্ট মতিউর, তার দুই স্ত্রী এবং ছেলে-মেয়েসহ পাঁচজনের সম্পদ বিবরণী দুদকে জমা দেন। চলতি বছর ৬ জানুয়ারি মামলা করে দুদক। আর ১৪ জানুয়ারি তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এজাহারে বলা হয়েছে, গত বছরের ৪ জুন মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অনুসন্ধানের নামে দুদক। অনুসন্ধানে মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ৬৫ বিঘা জমি, আটটি ফ্ল্যাট, দুটি রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট এবং তিনটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের তথ্য পায় দুদক। মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব, মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবার হিসাব ও শেয়ারবাজারের বিও হিসাব ক্রোক করা হয়। পরে ২৪ জুন মতিউর ও তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী এবং সন্তানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।

আ.লীগ নেতাকর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণ; দায় স্বীকার করলেন মেজর সাদিকের স্ত্রী