ঢাকা ১২:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ভাড়া চাওয়ায় বিএনপি কর্মীদের হাতে দোকান মালিক খুন, আতঙ্কে মৃতের পরিবার মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ বাংলাদেশি নিহত ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফের গাজা সফর রুশ সাবেক প্রেসিডেন্টের মন্তব্যে নিউক্লিয়ার সাবমেরিন মোতায়েনের নির্দেশ ট্রাম্পের জুলাই পদযাত্রায় কতটা সাড়া ফেললো এনসিপি? মার্কিন শুল্কের হার কমিয়ে আনা রপ্তানি খাতের জন্য সন্তোষজনক: আমীর খসরু আটক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত আদালত গঠন ‘বন্ধু’ ভারতের ওপর আবারো চড়াও যুক্তরাষ্ট্র, আরও ৬ কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি উল্লেখযোগ্য বিজয় : প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের ওপর থেকে ১৫ শতাংশ শুল্ক কমালো যুক্তরাষ্ট্র

মোংলায় একজন মানুষও না খেয়ে থাকবেনা : খুলনা সিটি মেয়র

মাসুদ রানা, মোংলা প্রতিনিধি
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আঃ খালেক বলেছেন, মোংলা ও সুন্দরবনকে ক্ষতবিক্ষত করেছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল, ২৪ ঘন্টা ব্যাপি চালিছে তান্ডব, ধ্বংশ করেছে সুন্দরবন সহ উপক’লীয় এলাকা। তাই এখানকার ক্ষতিগ্রস্থ কোন মানুষ না খেয়ে থাকবেনা। সরকারী-বেসরকারী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো এগিয়ে এসছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় চিলা ইউনিয়নের উপকুলীয় ক্ষতিগ্রস্থ জয়মনি এলাকায় পরির্দশন শেষে ওয়াল্ড ফুড প্রোগ্রামের এক বিশেষ আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, গত ২৬ মে বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে র্ঘূণিঝড় রেমাল ব্যাপক তান্ডব শুরু করে মোংলা উপকুলীয় এলাকা ও সুন্দরবন জুড়ে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জাড়ি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংকেত পাওয়ার পর পরই মোংলা উপজেলা, পৌরসভা ও উপকুলীয় নদীর পাড়ের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ ঘর বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নেয় সাইক্লোন সেল্টারে। সুন্দরবন ও মোংলা উপক’লীয় এলাকায় ধ্বংশযজ্ঞ চালিয়ে এদিন রাত ৪টার দিকে অতিক্রম করলেও ২৭ মে পুরো দিনব্যাপি ধ্বংশলীলা চালিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে পুরো মোংলা ও সুন্দরবন। অসহায় এ মানুষগুলো এ সাইক্লোন সেল্টারে আশ্রয় থাকে প্রায় ৩৬ ঘন্টা। সকালে এসে দেখে প্রলংকারী ঘূর্ণিঝড় রেমাল কেড়ে নিয়েছে উপকুলে বসবাসকারীদের শেষ আশ্রয় ঘরবাড়ি, মূল্যবান মালামাল ও আসবাস পত্র। ক্ষুধার্ত ও অসহায় হয়ে পরে এখানকার নারী-পুরুষ ও শিশুরা। ক্ষতবিক্ষত করে পুরো সুন্দরবন, ব্যাপক ক্ষতি হয় প্রানীকুলের। তাই এ সকল অসহায় বন্যায় দুর্গতদের জরুরী ত্রান সহায়তার জন্য এগিয়ে আসে ওয়াল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডাব্লি এফ পি)’র প্রতিনিধিরা।

বুহস্পতিবার বিকালে জয়মনি এলাকায় প্রাথমিক পরিদর্শন শেষে জরুরী কাদ্য সহায়তায় ওয়াল্ড ফুড’র বিস্কুট বিতারণ করা হয়। খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আঃ খালেক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রায় শহাস্রাধিক অসহায় মানুষের মাঝে এ খাদ্য সামগ্রী বিতদারণ করেণ। এর পর আরো খাদ্য সহায়তার আশ্বাস্ত করেণ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। পরবর্তী পর্যায় ওয়াল্ড ফুড প্রোগ্রামের আওতায় ত্রান সহায়তার জন্য তালিকো তৈরীরও নির্দেশনা দেন সিটি মেয়র।

খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আঃ খালেক, ওয়াল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডাব্লু এফ পি)’র কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কয়েক হাজার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ নারী-পুরুষ ও মিশুরা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন :  মোংলায় দূর্গতদের পাশে বসুন্ধরা গ্রুপ

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

জনপ্রিয় সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

মোংলায় একজন মানুষও না খেয়ে থাকবেনা : খুলনা সিটি মেয়র

আপডেট সময় ১০:২২:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪

মাসুদ রানা, মোংলা প্রতিনিধি
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আঃ খালেক বলেছেন, মোংলা ও সুন্দরবনকে ক্ষতবিক্ষত করেছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল, ২৪ ঘন্টা ব্যাপি চালিছে তান্ডব, ধ্বংশ করেছে সুন্দরবন সহ উপক’লীয় এলাকা। তাই এখানকার ক্ষতিগ্রস্থ কোন মানুষ না খেয়ে থাকবেনা। সরকারী-বেসরকারী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো এগিয়ে এসছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় চিলা ইউনিয়নের উপকুলীয় ক্ষতিগ্রস্থ জয়মনি এলাকায় পরির্দশন শেষে ওয়াল্ড ফুড প্রোগ্রামের এক বিশেষ আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, গত ২৬ মে বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে র্ঘূণিঝড় রেমাল ব্যাপক তান্ডব শুরু করে মোংলা উপকুলীয় এলাকা ও সুন্দরবন জুড়ে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জাড়ি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংকেত পাওয়ার পর পরই মোংলা উপজেলা, পৌরসভা ও উপকুলীয় নদীর পাড়ের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ ঘর বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নেয় সাইক্লোন সেল্টারে। সুন্দরবন ও মোংলা উপক’লীয় এলাকায় ধ্বংশযজ্ঞ চালিয়ে এদিন রাত ৪টার দিকে অতিক্রম করলেও ২৭ মে পুরো দিনব্যাপি ধ্বংশলীলা চালিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে পুরো মোংলা ও সুন্দরবন। অসহায় এ মানুষগুলো এ সাইক্লোন সেল্টারে আশ্রয় থাকে প্রায় ৩৬ ঘন্টা। সকালে এসে দেখে প্রলংকারী ঘূর্ণিঝড় রেমাল কেড়ে নিয়েছে উপকুলে বসবাসকারীদের শেষ আশ্রয় ঘরবাড়ি, মূল্যবান মালামাল ও আসবাস পত্র। ক্ষুধার্ত ও অসহায় হয়ে পরে এখানকার নারী-পুরুষ ও শিশুরা। ক্ষতবিক্ষত করে পুরো সুন্দরবন, ব্যাপক ক্ষতি হয় প্রানীকুলের। তাই এ সকল অসহায় বন্যায় দুর্গতদের জরুরী ত্রান সহায়তার জন্য এগিয়ে আসে ওয়াল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডাব্লি এফ পি)’র প্রতিনিধিরা।

বুহস্পতিবার বিকালে জয়মনি এলাকায় প্রাথমিক পরিদর্শন শেষে জরুরী কাদ্য সহায়তায় ওয়াল্ড ফুড’র বিস্কুট বিতারণ করা হয়। খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আঃ খালেক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রায় শহাস্রাধিক অসহায় মানুষের মাঝে এ খাদ্য সামগ্রী বিতদারণ করেণ। এর পর আরো খাদ্য সহায়তার আশ্বাস্ত করেণ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। পরবর্তী পর্যায় ওয়াল্ড ফুড প্রোগ্রামের আওতায় ত্রান সহায়তার জন্য তালিকো তৈরীরও নির্দেশনা দেন সিটি মেয়র।

খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আঃ খালেক, ওয়াল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডাব্লু এফ পি)’র কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কয়েক হাজার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ নারী-পুরুষ ও মিশুরা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন :  মোংলায় দূর্গতদের পাশে বসুন্ধরা গ্রুপ