ঢাকা ০৯:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে যুগপৎ সঙ্গীদের সাথে আলোচনায় বিএনপি হামজার পর এবার আসছেন কানাডার সামিত সকল প্রকার অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের আহ্বান উপদেষ্টা আসিফের সরকারের মূল উদ্দেশ্য শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের কাছেও হার বাংলাদেশের; কঠিন সমীকরণে বিশ্বকাপ ভাগ্য পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা হাসিনাসহ ১২ জনের নামে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন মুসলিম সংখ্যলঘুদের নিয়ে বাংলাদেশের বক্তব্য ভারতের প্রত্যাখ্যান সংস্কার ও শেখ হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন নয় : গোলাম পরওয়ার

বিচারকের আদেশ জালিয়াতি, কারাগারে বেঞ্চ সহকারী

বিচারকের আদেশ জালিয়াতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৯-এর বেঞ্চ সহকারী খন্দকার মোজাম্মেল হক জনিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার (৭ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহাম্মদ এই আদেশ দেন।

তিন দিনের রিমান্ড শেষে আজ তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন চন্দ্র সরকার। শুনানি শেষে বিচারক কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি তৌহিদুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ৩ জুলাই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে খন্দকার মোজাম্মেল হক জনি নামে ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারীকে আটকের নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে একই আদালতের স্টেনোগ্রাফার মো. নূরে আলম বাদী হয়ে রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। পরদিন তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

নথি থেকে জানা গেছে, আসামি জনি শেরেবাংলা নগর থানার এক মামলায় ২০২২ সালে ৯ মার্চ ও ২১ মার্চ দুইটি ভিন্ন আদেশ নথিতে লিপিবদ্ধ করেন। যেখানে প্রদত্ত স্বাক্ষর অত্র আদালতে দায়িত্ব প্রাপ্ত বিজ্ঞ বিচারকের নয়। মামলায় ২০২২ সালের ২১ মার্চে প্রচারিত আদেশে আসামি অহিদুজ্জামানকে দ্য কোড অব ক্রিমিন্যাল প্রসিডিউর-১৮৯৮-এর ২৪৯ ধারা অনুযায়ী মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে মুক্তি প্রদানের আদেশ প্রদান করা হয়। ওই আদেশের স্বাক্ষর সেই আদালতে দায়িত্ব প্রাপ্ত বিজ্ঞ বিচারকের না হওয়া এবং আদেশ বেঞ্চ সহকারী খন্দকার মোজাম্মেল হক কর্তৃক লিখিত হওয়ায় এটি সুস্পষ্ট হয় যে, তিনি বিজ্ঞ বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে বেঞ্চ সহকারী হিসেবে তার ওপর অর্পিত দায়িত্বের বরখেলাপ করে বিজ্ঞ বিচারকের অগোচরে এমন আদেশ প্রচার করেন।

নথি থেকে আরও জানা গেছে, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে ২০২৪ সালের ৩ মার্চ যাত্রাবাড়ী থানার এক মামলার বিচার ও নিষ্পত্তির জন্য বিজ্ঞ বিচারকের আদালতে প্রেরণ করা হলে আসামি বিচারকের অগোচরে ২০২৪ সালের ৪ এপ্রিল মামলার আসামি নাসির উদ্দিন ও আশিকুর রহমানকে প্রবেশন প্রদানের আদেশ কজলিস্ট ও কোর্ট ডায়েরিতে করেন। যদিও এমন কোনো আদেশ বিচারক প্রচার করেননি। এমনকি, নথিটি শুনানির জন্য বিচারকের কাছে উপস্থাপনও করা হয়নি। আসামি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়ে এমন ন্যক্কারজনক অপরাধ সংঘঠন করেছেন বলে মনে হয়েছে। এসব বিষয়ে গত ৩০ জুন তাকে লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলে তিনি গত ১ জুলাই নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে কারণ দর্শানোর জবাব দেন। তার লিখিত ব্যাখ্যা থেকে এটি সুস্পষ্ট যে, তিনি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়ে এসব হীন অপরাধ সংঘটন করেছেন যা চাকরিবিধি ও শৃঙ্খলা বিধিমালার পরিপন্থি।

আরো পড়ুন : আরও এক বছর আইজিপি থাকছেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

বিচারকের আদেশ জালিয়াতি, কারাগারে বেঞ্চ সহকারী

আপডেট সময় ০৮:৫৩:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪

বিচারকের আদেশ জালিয়াতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৯-এর বেঞ্চ সহকারী খন্দকার মোজাম্মেল হক জনিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার (৭ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহাম্মদ এই আদেশ দেন।

তিন দিনের রিমান্ড শেষে আজ তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন চন্দ্র সরকার। শুনানি শেষে বিচারক কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি তৌহিদুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ৩ জুলাই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে খন্দকার মোজাম্মেল হক জনি নামে ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারীকে আটকের নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে একই আদালতের স্টেনোগ্রাফার মো. নূরে আলম বাদী হয়ে রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। পরদিন তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

নথি থেকে জানা গেছে, আসামি জনি শেরেবাংলা নগর থানার এক মামলায় ২০২২ সালে ৯ মার্চ ও ২১ মার্চ দুইটি ভিন্ন আদেশ নথিতে লিপিবদ্ধ করেন। যেখানে প্রদত্ত স্বাক্ষর অত্র আদালতে দায়িত্ব প্রাপ্ত বিজ্ঞ বিচারকের নয়। মামলায় ২০২২ সালের ২১ মার্চে প্রচারিত আদেশে আসামি অহিদুজ্জামানকে দ্য কোড অব ক্রিমিন্যাল প্রসিডিউর-১৮৯৮-এর ২৪৯ ধারা অনুযায়ী মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে মুক্তি প্রদানের আদেশ প্রদান করা হয়। ওই আদেশের স্বাক্ষর সেই আদালতে দায়িত্ব প্রাপ্ত বিজ্ঞ বিচারকের না হওয়া এবং আদেশ বেঞ্চ সহকারী খন্দকার মোজাম্মেল হক কর্তৃক লিখিত হওয়ায় এটি সুস্পষ্ট হয় যে, তিনি বিজ্ঞ বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে বেঞ্চ সহকারী হিসেবে তার ওপর অর্পিত দায়িত্বের বরখেলাপ করে বিজ্ঞ বিচারকের অগোচরে এমন আদেশ প্রচার করেন।

নথি থেকে আরও জানা গেছে, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে ২০২৪ সালের ৩ মার্চ যাত্রাবাড়ী থানার এক মামলার বিচার ও নিষ্পত্তির জন্য বিজ্ঞ বিচারকের আদালতে প্রেরণ করা হলে আসামি বিচারকের অগোচরে ২০২৪ সালের ৪ এপ্রিল মামলার আসামি নাসির উদ্দিন ও আশিকুর রহমানকে প্রবেশন প্রদানের আদেশ কজলিস্ট ও কোর্ট ডায়েরিতে করেন। যদিও এমন কোনো আদেশ বিচারক প্রচার করেননি। এমনকি, নথিটি শুনানির জন্য বিচারকের কাছে উপস্থাপনও করা হয়নি। আসামি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়ে এমন ন্যক্কারজনক অপরাধ সংঘঠন করেছেন বলে মনে হয়েছে। এসব বিষয়ে গত ৩০ জুন তাকে লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলে তিনি গত ১ জুলাই নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে কারণ দর্শানোর জবাব দেন। তার লিখিত ব্যাখ্যা থেকে এটি সুস্পষ্ট যে, তিনি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়ে এসব হীন অপরাধ সংঘটন করেছেন যা চাকরিবিধি ও শৃঙ্খলা বিধিমালার পরিপন্থি।

আরো পড়ুন : আরও এক বছর আইজিপি থাকছেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন