ঢাকা ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে যুগপৎ সঙ্গীদের সাথে আলোচনায় বিএনপি হামজার পর এবার আসছেন কানাডার সামিত সকল প্রকার অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের আহ্বান উপদেষ্টা আসিফের সরকারের মূল উদ্দেশ্য শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের কাছেও হার বাংলাদেশের; কঠিন সমীকরণে বিশ্বকাপ ভাগ্য পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা হাসিনাসহ ১২ জনের নামে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন মুসলিম সংখ্যলঘুদের নিয়ে বাংলাদেশের বক্তব্য ভারতের প্রত্যাখ্যান সংস্কার ও শেখ হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন নয় : গোলাম পরওয়ার

জামিন পেলেন তারেক রহমানের বন্ধু মামুন

ঋণের নামে সোনালী ব্যাংকের ৩২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে জামিন দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেছেন।

বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৩০ জানুয়ারি যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই আছেন। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, মানি লন্ডারিং, কর ফাঁকিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২০টিরও বেশি মামলা হয়।

২০১৩ সালে এক মামলায় তার সাত বছরের কারাদণ্ড হয়। এর আগে অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ বছর কারাদণ্ড হয়েছে, যা পরে হাইকোর্ট বাতিল করে দেন। এ ছাড়া অবৈধ সম্পদ অর্জনের এক মামলায়ও তিনি ১০ বছরের দণ্ডে দণ্ডিত হন।

গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের আইনজীবী হেলাল উদ্দিন জানান, সবগুলো মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। যে মামলাগুলো সাজা হয়েছিল, তার চেয়ে বেশি সময় ধরে জেলে আছেন। কাশিমপুর কারাগারে যাচ্ছি। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি কারামুক্ত হবেন।

জানা গেছে, ঋণের নামে সোনালী ব্যাংকের ৩২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের জুনে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক সুভাষ চন্দ্র দত্ত বাদী হয়ে মঙ্গলবার কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের মালিকানাধীন মেসার্স ওয়ান স্পিনিং মিলস লিমিটেডের অন্যান্য মালিক ও ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তারা পরস্পর যোগসাজশে ব্যাংকের ৩২ কোটি ৬৭ লাখ ৯৪ হাজার ৬১২ টাকা আত্মসাৎ করেন। গিয়াস উদ্দিন আল মামুন মেসার্স ওয়ান স্পিনিং মিলসের এমডি।

এজাহারে আরও বলা হয়, জামানত ছাড়াই ঋণপত্র স্থাপন, ঋণপত্রের শর্তাবলি প্রতিপালিত না হওয়ার পরও এলটিআর সৃষ্টি করে ওই পরিমাণ টাকা পরিশোধ না করা সত্ত্বেও আমদানি ডকুমেন্টের মাধ্যমে বন্দর থেকে মেশিনারিজ ছাড়িয়ে নিয়ে বর্ণিত অর্থ আত্মসাতের মাধ্যমে ব্যাংকের তথা সরকারের ক্ষতিসাধন করা হয়েছে। আসামিরা দণ্ডবিধির ৪০৯, ১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

অন্য ২০ আসামির মধ্যে মেসার্স ওয়ান স্পিনিং মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশীদ, পরিচালক নাসির উদ্দিন মিয়া, এ এইচ এম জাহাঙ্গীর ওরফে আবু হাসান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, রাজিব সিরাজ ও ওরিয়ন মাশরুম লিমিটেডের পক্ষে মনোনীত পরিচালক জি আর চৌধুরী ওরফে গোলাম রব্বানী চৌধুরী। সোনালী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন—ব্যাংকের সাবেক এমডি মুহম্মদ তাহমিলুর রহমান, সাবেক ডিএমডি মো. আমানুল্লাহ্, সাবেক জিএম মো. মিজানুর রহমান, মো. শফিকুর রহমান, সাবেক ডিজিএম খন্দকার মোশারফ আলী, মো. কামরুল ইসলাম, আবু জাফর মো. সালেহ, সাবেক এজিএম মো. আলী আরশাদ, মো. আবু মুসা, আবদুল গফুর ভূইয়া, সাবেক এসপিও মো. আতিকুর রহমান, এস এম এম আওলাদ হোসেন, ওয়াহিদ উদ্দিন আহম্মদ, সাবেক পিও মো. আবদুর রাজ্জাক ও সাবেক এসও মো. শাহ আলম।

আরো পড়ুন : বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীদের জামিন

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

জামিন পেলেন তারেক রহমানের বন্ধু মামুন

আপডেট সময় ০৮:০০:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অগাস্ট ২০২৪

ঋণের নামে সোনালী ব্যাংকের ৩২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে জামিন দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেছেন।

বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৩০ জানুয়ারি যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই আছেন। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, মানি লন্ডারিং, কর ফাঁকিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২০টিরও বেশি মামলা হয়।

২০১৩ সালে এক মামলায় তার সাত বছরের কারাদণ্ড হয়। এর আগে অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ বছর কারাদণ্ড হয়েছে, যা পরে হাইকোর্ট বাতিল করে দেন। এ ছাড়া অবৈধ সম্পদ অর্জনের এক মামলায়ও তিনি ১০ বছরের দণ্ডে দণ্ডিত হন।

গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের আইনজীবী হেলাল উদ্দিন জানান, সবগুলো মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। যে মামলাগুলো সাজা হয়েছিল, তার চেয়ে বেশি সময় ধরে জেলে আছেন। কাশিমপুর কারাগারে যাচ্ছি। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি কারামুক্ত হবেন।

জানা গেছে, ঋণের নামে সোনালী ব্যাংকের ৩২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের জুনে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক সুভাষ চন্দ্র দত্ত বাদী হয়ে মঙ্গলবার কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের মালিকানাধীন মেসার্স ওয়ান স্পিনিং মিলস লিমিটেডের অন্যান্য মালিক ও ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তারা পরস্পর যোগসাজশে ব্যাংকের ৩২ কোটি ৬৭ লাখ ৯৪ হাজার ৬১২ টাকা আত্মসাৎ করেন। গিয়াস উদ্দিন আল মামুন মেসার্স ওয়ান স্পিনিং মিলসের এমডি।

এজাহারে আরও বলা হয়, জামানত ছাড়াই ঋণপত্র স্থাপন, ঋণপত্রের শর্তাবলি প্রতিপালিত না হওয়ার পরও এলটিআর সৃষ্টি করে ওই পরিমাণ টাকা পরিশোধ না করা সত্ত্বেও আমদানি ডকুমেন্টের মাধ্যমে বন্দর থেকে মেশিনারিজ ছাড়িয়ে নিয়ে বর্ণিত অর্থ আত্মসাতের মাধ্যমে ব্যাংকের তথা সরকারের ক্ষতিসাধন করা হয়েছে। আসামিরা দণ্ডবিধির ৪০৯, ১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

অন্য ২০ আসামির মধ্যে মেসার্স ওয়ান স্পিনিং মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশীদ, পরিচালক নাসির উদ্দিন মিয়া, এ এইচ এম জাহাঙ্গীর ওরফে আবু হাসান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, রাজিব সিরাজ ও ওরিয়ন মাশরুম লিমিটেডের পক্ষে মনোনীত পরিচালক জি আর চৌধুরী ওরফে গোলাম রব্বানী চৌধুরী। সোনালী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন—ব্যাংকের সাবেক এমডি মুহম্মদ তাহমিলুর রহমান, সাবেক ডিএমডি মো. আমানুল্লাহ্, সাবেক জিএম মো. মিজানুর রহমান, মো. শফিকুর রহমান, সাবেক ডিজিএম খন্দকার মোশারফ আলী, মো. কামরুল ইসলাম, আবু জাফর মো. সালেহ, সাবেক এজিএম মো. আলী আরশাদ, মো. আবু মুসা, আবদুল গফুর ভূইয়া, সাবেক এসপিও মো. আতিকুর রহমান, এস এম এম আওলাদ হোসেন, ওয়াহিদ উদ্দিন আহম্মদ, সাবেক পিও মো. আবদুর রাজ্জাক ও সাবেক এসও মো. শাহ আলম।

আরো পড়ুন : বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীদের জামিন