ঢাকা ০৫:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
স্থবির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়; শিক্ষাক্রম শুরু হবে কবে? ইসরায়েল রেড লাইন অতিক্রম করেছে : হিজবুল্লাহ প্রধান অর্থনৈতিক সংস্কারে সাহায্য করতে প্রস্তুুত বিশ্বব্যাংক ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে ৬ সংস্কার কমিশন : আইন উপদেষ্টা সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদসহ ৫ জনের নামে মামলা সাড়ে ৯ লাখ টাকার জুতা পরেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান মেগা প্রজেক্টের নামে দেশটাকে শেষ করে দিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার : বিএনপি মহাসচিব জার্মানিতে ব্যাটারিচালিত ট্রেনের যুগে টেসলার অভিষেক সেনাবাহিনীকে সবখানে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া ঠিক হবে না: ফখরুল অর্পিত দায়িত্ব পালনে সবার সহযোগিতা চাইলেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান

নেতৃত্ব সংকটে স্বাস্থ্যখাত, আশু সমাধান জরুরী

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির অভিযোগ বহু পুরনো এবং অনেকটাই ওপেন সিক্রেট। এর সঙ্গে আছে দলীয় পরিচয়ে পদায়ন, পদোন্নতিসহ অনিয়মের নানা ঘটনা। সবমিলিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া, স্বাস্থ্যখাতে সংস্কারের রূপরেখা তৈরি এবং স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে চাপ আছে অধিদপ্তর এবং মন্ত্রণালয়ের উপর। কিন্তু একদিকে যখন অধিদপ্তর অনেকটাই অকেজো, তখন স্বাস্থ্য উপদেষ্টার দপ্তর থেকেও স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে জোরালো কোনও পদক্ষেপ বা কর্মতৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।

এমনকি এসব বিষয়ে কয়েক দফা যোগাযোগের চেষ্টা করেও অধিদপ্তরের কারও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। স্বাস্থ্য উপদেষ্টার দপ্তরে যোগাযোগ করা হলে তিনিও কথা বলতে রাজি হননি।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণের অভিমত, নতুন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যখাতে কী করা হবে তার একটা পরিকল্পনা প্রণয়নের দরকার ছিল। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা একটা প্ল্যান দিতে পারতেন। বর্তমান অবস্থান উনি কী করবেন, ছয়মাস পর কী করবেন এবং দীর্ঘমেয়াদে কী করবেন এসব বিষয়ে করণীয় ঠিক করা যেতো। কিন্তু সেগুলো দেখছি না। কিছু হচ্ছে কি না, তা-ও জানা যাচ্ছে না। স্বাস্থ্যখাতে জনগণকে জানানো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ এতে আস্থা তৈরি হয়।

স্বাস্থ্যখাতে এখন যে পরিস্থিতি সেটা আশাব্যঞ্জক নয়। আগে আমাদের স্বাস্থ্যখাত একভাবে চলছিলো। দুর্নীতি ছিল, অনিয়ম ছিল। কিন্তু কাজের একটা প্রবাহ ছিল। এখন মনে হচ্ছে এটা একটা জলাশয়, যেখানে কোনো স্রোত নেই এবং ভবিষ্যৎও নেই। স্বাস্থ্যের কাজের প্রাণকেন্দ্র হচ্ছে, অধিদপ্তর। অথচ সেটা চলছে না। যদি কাউকে পরিবর্তন করতে হয়, সেটা করেন। আর যদি মনে হয় এখনকার মহাপরিচালকই থাকবেন, তাহলে তাকে কাজের সুযোগ দিন। এইটুকু যদি মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করতে না পারে তাহলে উপদেষ্টা দিয়ে কতটা, কী কাজ হচ্ছে সেটা আমরা কীভাবে বুঝবো?

দেশের স্বাস্থ্যখাতে নানা জটিলতা আগেও ছিল। তবে এবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আসার পর স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে প্রশাসনিক যে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে, সেটা নিরসনে একদিকে দৃশ্যমাণ কোনও তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। অন্যদিকে সরকার কী করতে চায় সেটাও স্পষ্ট নয়। ফলে জটিলতা আরও বাড়ছে।

এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশের জনগণ আশাহত হবেন। চিকিৎসাপ্রার্থীরা যদি যথাযথ চিকিৎসাসেবা না পান, তাহলে এর দায়ভার বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নিতে হবে। সাধারণ জনগণ চান যথাসময়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা। আর জনসাধারণের এ প্রত্যাশাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এজন্য যা যা করণীয় তা যে কোনো মূল্যে বর্তমান সরকারকেই হবে। এর ব্যত্যয় হলে জনগণের আস্থার জায়গা নষ্ট হবে- যা কোনো অবস্থাতেই কাম্য হতে পারে না।

আরো পড়ুন : এইচএসসি পরীক্ষায় ‘অটোপাস’; দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাবের সম্ভাবনা

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

নেতৃত্ব সংকটে স্বাস্থ্যখাত, আশু সমাধান জরুরী

আপডেট সময় ০৭:৩৫:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির অভিযোগ বহু পুরনো এবং অনেকটাই ওপেন সিক্রেট। এর সঙ্গে আছে দলীয় পরিচয়ে পদায়ন, পদোন্নতিসহ অনিয়মের নানা ঘটনা। সবমিলিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া, স্বাস্থ্যখাতে সংস্কারের রূপরেখা তৈরি এবং স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে চাপ আছে অধিদপ্তর এবং মন্ত্রণালয়ের উপর। কিন্তু একদিকে যখন অধিদপ্তর অনেকটাই অকেজো, তখন স্বাস্থ্য উপদেষ্টার দপ্তর থেকেও স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে জোরালো কোনও পদক্ষেপ বা কর্মতৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।

এমনকি এসব বিষয়ে কয়েক দফা যোগাযোগের চেষ্টা করেও অধিদপ্তরের কারও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। স্বাস্থ্য উপদেষ্টার দপ্তরে যোগাযোগ করা হলে তিনিও কথা বলতে রাজি হননি।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণের অভিমত, নতুন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যখাতে কী করা হবে তার একটা পরিকল্পনা প্রণয়নের দরকার ছিল। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা একটা প্ল্যান দিতে পারতেন। বর্তমান অবস্থান উনি কী করবেন, ছয়মাস পর কী করবেন এবং দীর্ঘমেয়াদে কী করবেন এসব বিষয়ে করণীয় ঠিক করা যেতো। কিন্তু সেগুলো দেখছি না। কিছু হচ্ছে কি না, তা-ও জানা যাচ্ছে না। স্বাস্থ্যখাতে জনগণকে জানানো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ এতে আস্থা তৈরি হয়।

স্বাস্থ্যখাতে এখন যে পরিস্থিতি সেটা আশাব্যঞ্জক নয়। আগে আমাদের স্বাস্থ্যখাত একভাবে চলছিলো। দুর্নীতি ছিল, অনিয়ম ছিল। কিন্তু কাজের একটা প্রবাহ ছিল। এখন মনে হচ্ছে এটা একটা জলাশয়, যেখানে কোনো স্রোত নেই এবং ভবিষ্যৎও নেই। স্বাস্থ্যের কাজের প্রাণকেন্দ্র হচ্ছে, অধিদপ্তর। অথচ সেটা চলছে না। যদি কাউকে পরিবর্তন করতে হয়, সেটা করেন। আর যদি মনে হয় এখনকার মহাপরিচালকই থাকবেন, তাহলে তাকে কাজের সুযোগ দিন। এইটুকু যদি মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করতে না পারে তাহলে উপদেষ্টা দিয়ে কতটা, কী কাজ হচ্ছে সেটা আমরা কীভাবে বুঝবো?

দেশের স্বাস্থ্যখাতে নানা জটিলতা আগেও ছিল। তবে এবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আসার পর স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে প্রশাসনিক যে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে, সেটা নিরসনে একদিকে দৃশ্যমাণ কোনও তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। অন্যদিকে সরকার কী করতে চায় সেটাও স্পষ্ট নয়। ফলে জটিলতা আরও বাড়ছে।

এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশের জনগণ আশাহত হবেন। চিকিৎসাপ্রার্থীরা যদি যথাযথ চিকিৎসাসেবা না পান, তাহলে এর দায়ভার বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নিতে হবে। সাধারণ জনগণ চান যথাসময়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা। আর জনসাধারণের এ প্রত্যাশাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এজন্য যা যা করণীয় তা যে কোনো মূল্যে বর্তমান সরকারকেই হবে। এর ব্যত্যয় হলে জনগণের আস্থার জায়গা নষ্ট হবে- যা কোনো অবস্থাতেই কাম্য হতে পারে না।

আরো পড়ুন : এইচএসসি পরীক্ষায় ‘অটোপাস’; দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাবের সম্ভাবনা