ঢাকা ১১:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
স্থবির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়; শিক্ষাক্রম শুরু হবে কবে? ইসরায়েল রেড লাইন অতিক্রম করেছে : হিজবুল্লাহ প্রধান অর্থনৈতিক সংস্কারে সাহায্য করতে প্রস্তুুত বিশ্বব্যাংক ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে ৬ সংস্কার কমিশন : আইন উপদেষ্টা সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদসহ ৫ জনের নামে মামলা সাড়ে ৯ লাখ টাকার জুতা পরেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান মেগা প্রজেক্টের নামে দেশটাকে শেষ করে দিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার : বিএনপি মহাসচিব জার্মানিতে ব্যাটারিচালিত ট্রেনের যুগে টেসলার অভিষেক সেনাবাহিনীকে সবখানে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া ঠিক হবে না: ফখরুল অর্পিত দায়িত্ব পালনে সবার সহযোগিতা চাইলেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান

স্থবির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়; শিক্ষাক্রম শুরু হবে কবে?

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পুরোদমে চালু করা যায়নি শিক্ষা কার্যক্রম। উপাচার্যসহ প্রশাসনিক ব্যক্তিদের পদত্যাগ এবং পদগুলোতে নিয়োগ দিতে দেরি হওয়ার মতো কারণে উচ্চশিক্ষায় দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। আড়াই মাসের বেশি সময় পরও ক্লাস-পরীক্ষা শুরু না হওয়ায় শঙ্কায় আছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে সম্প্রতি আন্দোলনেও নেমেছে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সবশেষ বুধবার ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এভাবে উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে ‘সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক প্রভাব’ পড়ার কথা বলছেন বিশ্লেষকরা। তবে শিগগিরই এসব সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা কর্তৃপক্ষের।

উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে গত মঙ্গলবার ‘কমপ্লিট শাটডাউনের’ ঘোষণা দেয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এর আগে, গত ১২ই অগাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু তাহের পদত্যাগ করেন। এরপর কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ হলেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো উপাচার্য নিয়োগ না দেয়ায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা কয়েক দফায় প্রশাসনকে আল্টিমেটাম দেয়। সবশেষ ১৭ই সেপ্টেম্বর ‘সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দের’ ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা। এসময় দাবি পূরণ না হওয়ায় ‘কমপ্লিট শাটডাউনের’ ঘোষণা দিয়ে প্রশাসনিক ভবনের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয় তারা। পরদিন দুপুরের দিকে নতুন উপাচার্য নিয়োগের ঘোষণা আসার পর তালা খুলে দেয়া হয়। তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, এখনও তাদের সব দাবি পূরণ হয়নি।

কোরবানি ঈদের ছুটির পর থেকে শিক্ষকদের পেনশন স্কিম এবং পরে কোটা আন্দোলনের মতো বিষয়গুলোর কারণে জুলাইয়ের শুরু থেকেই বন্ধ ছিল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্লাস পরীক্ষা। গত ১৮ই অগাস্ট থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু করার ঘোষণা এলেও কার্যকর প্রশাসন না থাকায় বিদ্যমান অচলাবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

বুধবার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্যসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে শাখাওয়াত হোসেন নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সমন্বয়ক। মামলার এজাহার মতে, গত ১১ই জুলাই আসামিরা আন্দোলনকারীদের হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর এবং ককটেল বিস্ফোরণ করে ত্রাস ও আতঙ্ক সৃষ্টি করার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তথ্যমতে, আন্দোলনের পর থেকে গত ১৮ই অগাস্ট পর্যন্ত ৩৫টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদত্যাগ করেন। তবে প্রায় এক মাস পর ১১ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কেবল ১২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে জানান ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যায় বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ১৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের প্রজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান সমস্যা দ্রুততর সময়ের মধ্যে সমাধান করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা জরুরি। ছাত্র-অভিভাবকের প্রত্যাশা শিগগিরই ক্লাস শুরু হোক এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যকার সুন্দর সম্পর্কের মধ্য দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে যাক।

আরো পড়ুন : নেতৃত্ব সংকটে স্বাস্থ্যখাত, আশু সমাধান জরুরী

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

স্থবির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়; শিক্ষাক্রম শুরু হবে কবে?

আপডেট সময় ১০:৪৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পুরোদমে চালু করা যায়নি শিক্ষা কার্যক্রম। উপাচার্যসহ প্রশাসনিক ব্যক্তিদের পদত্যাগ এবং পদগুলোতে নিয়োগ দিতে দেরি হওয়ার মতো কারণে উচ্চশিক্ষায় দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। আড়াই মাসের বেশি সময় পরও ক্লাস-পরীক্ষা শুরু না হওয়ায় শঙ্কায় আছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে সম্প্রতি আন্দোলনেও নেমেছে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সবশেষ বুধবার ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এভাবে উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে ‘সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক প্রভাব’ পড়ার কথা বলছেন বিশ্লেষকরা। তবে শিগগিরই এসব সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা কর্তৃপক্ষের।

উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে গত মঙ্গলবার ‘কমপ্লিট শাটডাউনের’ ঘোষণা দেয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এর আগে, গত ১২ই অগাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু তাহের পদত্যাগ করেন। এরপর কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ হলেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো উপাচার্য নিয়োগ না দেয়ায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা কয়েক দফায় প্রশাসনকে আল্টিমেটাম দেয়। সবশেষ ১৭ই সেপ্টেম্বর ‘সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দের’ ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা। এসময় দাবি পূরণ না হওয়ায় ‘কমপ্লিট শাটডাউনের’ ঘোষণা দিয়ে প্রশাসনিক ভবনের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয় তারা। পরদিন দুপুরের দিকে নতুন উপাচার্য নিয়োগের ঘোষণা আসার পর তালা খুলে দেয়া হয়। তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, এখনও তাদের সব দাবি পূরণ হয়নি।

কোরবানি ঈদের ছুটির পর থেকে শিক্ষকদের পেনশন স্কিম এবং পরে কোটা আন্দোলনের মতো বিষয়গুলোর কারণে জুলাইয়ের শুরু থেকেই বন্ধ ছিল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্লাস পরীক্ষা। গত ১৮ই অগাস্ট থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু করার ঘোষণা এলেও কার্যকর প্রশাসন না থাকায় বিদ্যমান অচলাবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

বুধবার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্যসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে শাখাওয়াত হোসেন নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সমন্বয়ক। মামলার এজাহার মতে, গত ১১ই জুলাই আসামিরা আন্দোলনকারীদের হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর এবং ককটেল বিস্ফোরণ করে ত্রাস ও আতঙ্ক সৃষ্টি করার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তথ্যমতে, আন্দোলনের পর থেকে গত ১৮ই অগাস্ট পর্যন্ত ৩৫টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদত্যাগ করেন। তবে প্রায় এক মাস পর ১১ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কেবল ১২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে জানান ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যায় বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ১৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের প্রজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান সমস্যা দ্রুততর সময়ের মধ্যে সমাধান করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা জরুরি। ছাত্র-অভিভাবকের প্রত্যাশা শিগগিরই ক্লাস শুরু হোক এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যকার সুন্দর সম্পর্কের মধ্য দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে যাক।

আরো পড়ুন : নেতৃত্ব সংকটে স্বাস্থ্যখাত, আশু সমাধান জরুরী